গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট। এজবাস্টনে টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্রিটিশ অধিনায়ক জো রুট। শুরুতে অ্যালিস্টার কুকের উইকেটটা বাদ দিলে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি তাদের। প্রথম সেশনে আধিপত্য বিস্তার করেছিল রুট আর জেনিনিংস জুটি।
সামি-উমেশ-ঈশান্ত-হার্দিকদের দেখেই খেলছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। প্রেস বক্সে ধারা ভাষ্যকাররা বলাবলি করছিলেন, এই উইকেটে একটা বিরাটদের সামনে বিশাল স্কোর গড়ার ভিত্তি করে ফেলেছেন অধিনায়ক রুট এবং ওপেনার জেনিনিংস। ঠিক এই সময়েই ইংল্যান্ডের জন্য অভিশাপ হয়ে এল এক পায়রা। আর তাকে সরাতে গিয়েই মনোযোগ ভাঙল জেনিনিংসের। লাভ হল ভারতের। রুটের সঙ্গীকে ফেরালেন মোহম্মদ শামি। এখান থেকেই বাঁক নেওয়া শুরু এজবাস্টন টেস্টের।
এজবাস্টন টেস্টে তখন প্রথম দিনের খেলা ৩৫ ওভারে গড়িয়েছে। প্রথম স্পেলের পর দ্বিতীয় স্পেলে শামিকে আক্রমণে নিয়ে এসেছেন বিরাট। ওভারের প্রথম ডেলিভারির আগে ওয়ার্ম আপ করছেন ভারতীয় স্পিডস্টার। হঠাৎ সবার নজর এক পায়রার দিকে। জেনিনিংস স্টান্ট নেওয়ার আগে তারও চোখ সেই পায়রার দিকে। এগিয়ে গেলেন। তাকে দেখে ব্যাট উঁচিয়ে এগিয়ে এলন রুটও। দু’জনেই চেষ্টা করলেন বটে, পায়রাকে ওড়ানো গেল না।
২২ গজ থেকে পায়রাটি নিজের দূরত্ব বাড়ালেও বসে রইল প্র্যাকটিস পিচেই। তারপর খেলা শুরু হলে শামির প্রথম ডেলিভারিতেই আউট হন জেনিনিংস (৪২)। ইংল্যান্ডের অনেকেই ব্রিটিশ ওপেনারের এভাবে আউট হওয়ার পিছনে সেই পায়রার হাত আছে বলেই দেখছেন। তখন মনোনিবেশ না ভাঙলে একটা বড় স্কোর করার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সেই স্পেলেই মালানের উইকেটও তুলে নেন শামি। যার ফলে ৯৮ রানে ১ উইকেট থেকে ইংল্যান্ডের স্কোর এক ধাক্কায় আরও ২ উইকেট হারিয়ে দাঁড়ায় ১১২ রানে ৩। ‘রহস্যজনকভাবে’ ব্রিটিশদের এমন উইকেট পতনের পর আর দেখা যায়নি সেই পায়রাকে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর