চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর ঢাকা টেস্টেও পরাজয় মেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ হতে হল। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রানের জবাবে ব্যাট হাতে ১১১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৯৭ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ফের বিপর্যয়ে সফরকারীরা। টাইগারদের সম্মিলিত স্পিন আক্রমণের মুখে পড়ে তৃতীয় দিনেই ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে ইনিংস ও ১৮৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই নিয়ে টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০০৯ সালে ক্যারীবীয় সফরে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টে এই জয়ে ব্যাটিংয়ে টাইগারদের সবাই দারুণ ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরির টাইগারদের রানের পাহাড় গড়তে সাহায্য করে। এরপর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এই ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে নিজেকেই ছাপিয়ে যান এই অফ স্পিনার। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট ম্যাচ সেরা হন তিনি। সিরিজ সেরা হন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটিই টাইগারদের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে কখনও ইনিংস ব্যবধানে জেতেনি তারা। এর আগে ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২৬ রানের ব্যবধানে জয় পায় সাকিবরা। রানের ব্যবধানে উইন্ডিজের বিপক্ষে এই জয়টি চতুর্থ সর্বোচ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৫০৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৩৬.৪ ওভারে ১১১ (হেটমায়ার ৩৯, ডাওরিচ ৩৭, বিশু ১, রোচ ১, ওয়ারিক্যান ৫*, লুইস ০; সাকিব ১৫.৪-৪-২৭-৩, মিরাজ ১৬-১-৫৮-৭, নাঈম ৩-০-৯-০, তাইজুল ১-০-১০-০, মাহমুদউল্লাহ ১-১-০-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : ৫৯.২ ওভারে ২১৩ (ব্র্যাথওয়েট ১, পাওয়েল ৬, হোপ ২৫, আমব্রিস ৪, চেইস ৩, হেটমায়ার ৯৩, ডাওরিচ ৩, রোচ ৩৭*, ওয়ারিক্যান ০, লুইস ২০; সাকিব ১৪-৩-৬৫-১, মিরাজ ২০-২-৫৯-৫, তাইজুল ১০.২-১-৪০-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৬-০, নাঈম ১৪-২-৩৪-১)
ফলাফল : বাংলাদেশ ১৮৪ রানে জয়ী।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত