তিনি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করা ব্যাটসম্যান। সেই কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার সম্প্রতি জানালেন কেন তাকে কখনও ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দেখা যায়নি। মদন লাল, বিষাণ সিং বেদী, সন্দীপ পাটিলের মতো তার জাতীয় দলের বহু সতীর্থ ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর ভারতের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু সেই তালিকায় এখনও নাম লেখাননি সুনীল গাভাস্কার।
১৯৮৭ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার, কলামনিস্ট হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। ২০০৪-২০০৫ মৌসুমের ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময় গাভাস্কার ভারতীয় দলের পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। কিন্তু এত বছরে কখনওই ভারতীয় দলের কোচ পদের জন্য আবেদন জানাননি। তার এই সিদ্ধান্তের কারণ কী? সম্প্রতি তা নিজেই জানিয়েছেন লিটল মাস্টার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি বরাবরই ক্রিকেটের খুব ধৈর্যহীন দর্শক। যখন আমি নিজে খেলতাম সেই সময়েও আমি আউট হয়ে যাওয়ার পর থেমে থেকে ম্যাচটা দেখতাম। কিছুক্ষণ হয়তো দেখতাম, তারপর ড্রেসিংরুমে চলে যেতাম বা কিছু পড়তাম কিংবা চিঠির উত্তর দিতাম। এসব হয়ে গেলে আবার বাইরে এসে ম্যাচ দেখতাম। আর তুমি যদি কোচ বা নির্বাচক হতে চাও, তবে তোমায় পুরো ম্যাচ ভালোভাবে দেখতে হবে। এই কারণেই আমি কখনও কোচ হওয়ার ব্যাপারে ভাবিনি।
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের অন্যতম সুনীল গাভাস্কার ভারতের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ না করলেও, তিনি কিন্তু ভারতীয় দলের একাধিক ব্যাটসম্যানকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছেন। তবে এই প্রজন্মের কোনও ব্যাটসম্যান নয়, তার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত