সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাইয়ে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে চেন্নাইও কলকাতা।
খাতায়-কলমে এবং এ বারের আইপিএলের পারফরম্যান্সের নিরিখে দুই দলের মধ্যে তেমন কোনো তফাৎ নেই। তার মধ্যেও দুটি বিভাগে দুটি দলকে এগিয়ে রাখা যায়। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে চেন্নাই অবশ্যই কলকাতা থেকে এগিয়ে শুরু করবে। আর কলকাতা এগিয়ে থাকবে স্পিন বোলিংয়ে।
শিরোপার লড়াইয়ে চেন্নাইয়ের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে কী ভাবে তারা কলকাতার তিন স্পিনারের ১২টি ওভার সামলাতে পারে, তার উপর। লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ওভার পিছু রান দিয়েছেন ৬.৪০। অফ স্পিনার সুনীল নারাইনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬.৬৪। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানের ওভার পিছু রান দেওয়ার সংখ্যা ৬.৪৪। তিন জন মিলে মোট ৩৬টি উইকেট নিয়েছেন।
ফর্মে থাকা রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ফ্যাফ দু’প্লেসিরা কী করে এই তিনজনকে সামলান, তার উপর চেন্নাইয়ের ব্যাটিং নির্ভর করে রয়েছে। উল্টো দিকে শুরু থেকে, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে রুতুরাজরা ছন্দ পেয়ে গেলে চাপের মুখে মর্গ্যানের দলের এই তিন স্পিনার কী ভাবে বল করেন, তার উপর নির্ভর করে রয়েছে কলকাতার ভাগ্য।
চেন্নাই অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে অভিজ্ঞতায়। কলকাতার যেখানে শুধু সাকিব এবং নারাইনের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে, সেখানে চেন্নাইয়ের এই দলের ১১ জন এর আগে কোনো না কোনো ফাইনালে খেলেছেন। এর একটি সহজ কারণ, চেন্নাইয়ের নয় বার ফাইনালে ওঠা। কলকাতা সেখানে এ নিয়ে মাত্র তিন বার ফাইনালে উঠেছে।
আইপিএলে ১৫০ এর উপর ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা চেন্নাইয়ে ছয় জন। কেকেআর দলে দেড়শোর উপর আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু দীনেশ কার্তিক এবং হরভজন সিংহের।
দুবাইয়ে ফাইনাল হওয়ায় সেটাও বাড়তি সুবিধে হতে পারে ধোনিদের। এই বছর এই মাঠে ধোনিরা চারটি ম্যাচ খেলেছেন। জিতেছেন দুটি। কলকাতা খেলেছে দু’টি ম্যাচ, জিতেছে একটি। গত আইপিএল ধরলে চেন্নাই এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও এগিয়ে। তারা গত বছর দুবাইতে সাতটি ম্যাচ খেলে চারটি জিতেছিল। কলকাতা সেখানে দুবাইতে খেলেছিল মাত্র তিনটি ম্যাচ, জিতেছিল দু’টি।
সব মিলিয়ে আজকের ফাইনাল তাই লড়াই চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞতার সঙ্গে কলকাতার স্পিনারদের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন