২০২২-এর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষদের নাম্বার ওয়ান জোকারই ছিলেন ফেভারিট। অথচ টিকা না নেয়ায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলতে পারেননি। আদালতের দারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে সার্বিয়ায়। বলা চলে অস্ট্রেলিয়ার মতোই একেবারে নাছোড়বান্দা নোভাক জোকোভিচ।
গত মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সে ঘটনা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন নয়বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন। অবশ্য সবার আগে ২১তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রীকে দায়ী করে তিনি বলেন, মন্ত্রী এক চিঠিতে লিখেছিলেন জোকোভিচকে খেলতে দিলে টিকার বিরুদ্ধে আন্দোলনরতরা উৎসাহ পাবেন সে কারণেই আসর শুরুর আগে নিজের দেশ সার্বিয়ায় ফিরতে বাধ্য করা হয় তাকে।
তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মিস করলেও টিকার বিষয়ে নিজের অবস্থান থেকে একেবারেই সরেননি জোকোভিচ। বিবিসিকে জানিয়েছেন, টিকা না নেয়ার কারণে যদি বছরের বাকি তিন গ্র্যান্ডস্ল্যাম অর্থাৎ ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন আর ইউএস ওপেনও মিস করতে হয়, মেনে নেবেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী টেনিস তারকার কাছে প্রশ্ন ছিল তিনি কি টিকা-বিরোধী? উত্তরে জোকোর বলেন, না, আমি কখনোই টিকা-বিরোধী ছিলাম না। ছোটবেলায় তো কত টিকাই নিয়েছি। তবে যে কোনো মানুষেরই টিকা নেয়ার ব্যাপারটিতে তার সমর্থন থাকবে। কারণ তিনি মনে করেন, টিকা নেয়া বা না নেয়া ব্যক্তির একান্ত নিজের পছন্দের ব্যাপার।
তাহলে এখন কেন টিকা নিচ্ছেন না? টিকা না নিয়ে কেন টেনিসের সবচেয়ে বড় আসরগুলো মিস করার ঝুঁকিও নিচ্ছেন? নোভাক জোকোভিচ বললেন, আমার কাছে নিজের শরীরের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার গুরুত্ব কোনো শিরোপা বা অন্য যে-কোনো কিছুর চেয়ে বেশি।
জোকোভিচের এক কথা, কেউ তাকে টিকা নিতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি তা মেনে নেবেন না। তবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে কোনো এক সময় তিনি করোনার টিকা নিতেও পারেন।