প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারানোর পরিকল্পনা না থাকলেও সকালের সেশনেই মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দলকে আর বিপদে পড়তে দেয়নি লিটন ও সাকিব। তাদের জুটিতে ভর করে শ্রীলঙ্কার রান পেরিয়ে লিডও নেয় বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৪৯। লিড হয় ৮ রানের। ৩৩ ওভারের লম্বা সেশনে ১১৫ রান তুলে বাংলাদেশ।
তবে লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। আশিথা ফার্নান্দোকে ফিরতি শটে ক্যাচ দেন তিনি। ডানে ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন আসিথা। ১৩৫ বলে ৩ চারে ৫২ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লিটনের পর আশিথা ফার্নান্দোর শিকার সাকিব। ডানহাতি পেসারের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিং মেলাতে পারেননি। বল তার ডানহাতের গ্লাভসে লেগে উইকেটের পেছনে যায়। ডিকাভেলা সহজ ক্যাচ ধরে সাকিবকে সাজঘরের পথ দেখান।
৭২ বলে ৫৮ রান করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেছেন। ম্যাচ বাঁচাতে তিন ঘণ্টা ব্যাটিংয়ে থাকার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। উইকেটের চারিপাশে দারুণ সব শটে ইনিংসটি মেরামত করলেও ১৪১ মিনিটেই শেষ তার ইনিংস। সাকিবের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেনও। রামেশ মেন্ডিসের শর্ট বলে টার্ণ ছিল। মোসাদ্দেক পেছনের পায়ে ভর করে পুল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল মিস করেন। তার প্যাডে আঘাত করলে শ্রীলঙ্কার আবেদনে আম্পায়ার জো উইলসন সাড়া দেন। রিভিউ থাকায় সুযোগ নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু তাতে উইকেট ‘বাঁচাতে’ পারেননি। ২২ বলে ৯ রান করে ফেরেন তিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া এ ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো করতে পারলেন না।
মোসাদ্দেকের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ১৬৯ রানে বিদায় নেন তিনি। দলীয় ওই একই রানে বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম (১) ও খালেদ আহমেদ (০)। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়ে যায় ১৬৯ রানে। লিড ২৮ রানের। শ্রীলঙ্কাকে জয়ের জন্য দরকার ২৯ রান। বৃষ্টি ব্যাঘাত না ঘটালে বাংলাদেশের পরাজয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ