গত ১৪ বছরের আইপিএল ক্যারিয়ারে যা করেননি, তাই এবার করেছেন। আর তা দেখতে ভক্তকুল বলতে শুরু করেছেন- এত ভুল কেন? সব মিলিয়ে এবারের আইপিএলের ১৬টা ম্যাচে ৩৪১ রান করেছেন। গড় ২২.৭৩। হাফসেঞ্চুরি মাত্র দুইটি। প্লে-অফের দুই ম্যাচে আরসিবিকে রানই এনে দিতে পারেননি তিনি। তারই খেসারত দিতে হয়েছে টিমকে। আরও একবার প্লে-অফ থেকেই বিদায় নিয়েছে আরসিবি।
এবারের পুরো আইপিএল জুড়েই আলোচনায় ছিলেন তিনি। আইপিএলে তার এবং টিমের যাত্রা শেষ হওয়ার পরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ভুলের পর ভুল করে যাওয়া বিরাট কোহলিকে নিয়ে এবার সোচ্চার আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার। যিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে বললেন, এই বিরাট কোহলিকে আমি চিনি না। গত ১৪ বছর ধরে কোহলি এত ভুল করেননি, যা এ বার করেছেন।
যিনি সমালোচনায় মুখর, তিনি কে? বীরেন্দ্র শেবাগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর হয়ে গেল কোনও ফর্ম্যাটেই সেঞ্চুরি পাননি কোহলি। টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি- সব কিছুতেই ব্যাটিং গড় কমতে শুরু করেছে তার। শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড যিনি ভাঙতে পারেন, সেই তিনিই কেন এমন রান খরার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে শেবাগ বলছেন, এই বিরাট কোহলিকে আমরা চিনি না। এই মৌসুমে এক অন্য বিরাটকে খেলতে দেখলাম। যে ভুল এবারের আইপিএলে সে করেছে, সারা আইপিএল ক্যারিয়ারে এত ভুল করেনি।
বিরাট কোহলির আগের প্রজন্মের ক্রিকেটার শেবাগ ছিলেন ভারতের অন্যতম ম্যাচ উইনার। একজন ব্যাটার কেন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যান, তা তিনি ভালোই জানেন। তাই তিনি বলছেন, কেউ যখন রান পায় না, তখন এই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যাড প্যাচের মধ্যে পড়লে যে কেউ বের হয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তখন নানা রকম ভাবে সে আউট হয়। এই মৌসুমে বিরাট যত রকম ভাবে আউট হওয়া যায়, তত রকম ভাবে হয়েছে।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রসিধ কৃষ্ণার বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েছেন কোহলি। তার আউট হওয়ার ধরন দেখে শেবাগ বলছেন, যে ফর্মে নেই, সে সব সময় চেষ্টা করে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলার। ব্যাটার ভাবে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলতে পারলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে। সে প্রথম ওভারে বেশ কয়েকটা বল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু ফর্মে না থাকা ব্যাটাররাই বল তাড়া করার চেষ্টা করে। যখন কপাল সঙ্গে থাকে, অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করার সময় খোঁচা লাগে না। বিরাটের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। বিরাটের উচিত ছিল বলটা ছেড়ে দেওয়া। না হলে সজোরে মারা। তেমন ভাবে মারতে পারলে কিপারের মাথার উপর দিয়ে বলটা উড়ে যেতে পারত। কিন্তু বিরাট যে ভাবে আউট হয়েছে, যেন ক্য়াচিং প্র্যাক্টিস করাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ