জেতার জন্য ৮৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শুরুতেই ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের বেশ চাপে ফেলেছিলেন খালেদ আহমেদ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে জন ক্যাম্পবেল ও জেরমাইন ব্ল্যাকউড সে চাপ কমিয়ে এনেছেন অনেকটাই। দুজনের ৪০ রানের জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই তৃতীয় দিন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আর ৩৫ রান।
শনিবার রাতে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
খালেদ প্রথম আঘাত করেন নিজের প্রথম বলেই, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। তার বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট। সে ওভারেই আসে দ্বিতীয় উইকেট। আউট হন রেমন রিফার।
পরের ওভারে এসে আবার চ্যালেঞ্জ জানান খালেদ। প্রথম এনক্রুমা বোনারের বিপক্ষে কট-বিহাইন্ডের রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তবে সেটি সফল হয়নি। খালেদ অবশ্য সময় নেননি বেশি। এক বল পরই দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোনারকে বোল্ড করেন।
তবে খালেদের সে চাপ অব্যাহত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। চাপ সামলে ক্যারিবীয়রা এখন জয়ের পথে। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ৩৫ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট। খেলতে পারবেন আরও দুদিন।
এর আগে, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের ১২৩ রানের লড়াকু জুটিতে ভর করেই ইনিংস হারের শঙ্কায় থাকা ম্যাচে ৮৩ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। এতে জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন হয় ৮৪ রান।
শনিবার ৫০ রানে ২ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ সকালের সেশনেই হারিয়েছে ৪ উইকেট-নাজমুল হোসেন (১৭), মুমিনুল হক (৪), লিটন দাস (১৭) ও মাহমুদুল হাসান জয়কে (৪২)। একপর্যায়ে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কাই জেগেছিল।
তবে সেটি হতে দেননি সাকিব ও নুরুল। তাদের ব্যাটে ভর করে লিড নেয় টাইগাররা। সাকিব আর সোহানের লড়াকু এই জুটিতেই ছিল বাংলাদেশের সব আশা-ভরসা। দলের স্বীকৃত ব্যাটারদের শেষ জুটি যে এটিই। অবশেষে শতরানের জুটিটি ভেঙেছেন ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ। ২৩১ বলে গড়া জুটিটি ছিল ১২৩ রানের। সাকিব আউট হন ৬৩ রানে।
এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি সোহানও। এই উইকেটও নিয়েছেন রোচ। ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার আউটের পরই খেলা একপ্রকার শেষ হয়ে যায়। পরে এবাদত (১), মুস্তাফিজ (৭) ও খালেদ (০) কেউ ইনিংসটাকে আর লম্বা করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে কেমার রোচ ৫৩ রানে ৫টি উইকেট শিকার করেন। ৩টি উইকেট পান আলজেরি জোসেফ। আর দুই উইকেট নেন কাইল মায়ার্স।
শুক্রবার প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১০৩ রানের জবাবে ক্যারিবীয়দের ইনিংস থামে ২৬৫ রানে। ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে ওইদিনই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় লড়াইয়ে ফেরার আশা দেখায়।
কিন্তু খানিক পরই তামিম ও মিরাজের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তামিম ২২ রান আর মিরাজ দুই রানে আউট হন। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ২ উইকেটে হারিয়ে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫০ রান। শনিবার ১১২ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই