লেগ স্পিনারের কদর বিশ্বজুড়ে, তবে বাংলাদেশে এই তকমা গায়ে মাখা বোলাররা পড়েন দারুণ বিপাকে। জাতীয় দল তো দূরের কথা, ঘরোয়াতেও তাদের ম্যাচ মেলা ভার।
রিশাদ হোসেনের কথাই ধরুন। তার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৮ সালে, কিন্তু বিধিবাম! গত চার বছরে রিশাদ খেলতে পেরেছেন মাত্র ১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এর মধ্যে দুবার ৫ উইকেটসহ ১৮ উইকেটও নিয়েছেন এই লেগি। কিন্তু তবুও তার ঘরোয়াতেও নিয়মিত হওয়া হলো না। হয়তো লেগ স্পিনার বলেই এমন বিড়ম্বনা।
তবে বৈশ্বিক আসর যখন সামনে আসে, নামকরা লেগিদের দাপটের কথা মনে করেই বাংলাদেশি অনেক ব্যাটারের বুক কাঁপে। আর সেই কাঁপুনি সামাল দিতেই নেটে রিশাদদের ডাক পড়ে।
এবারও তেমনটাই হয়েছে, এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য রিশাদকে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি নেটে বল করে সাকিবদের পোক্ত করবেন।
যাওয়ার আগে রিশাদ বলে গেলে, ‘আসলে আমি কোনো কিছু নেতিবাচকভাবে নিই না। যা কিছু হয় ভালোর জন্যই হয়। চেষ্টা করব এই সুযোগ যেন কাজে লাগাতে পারি। আমার কাছে এটা বড় সুযোগ, সেরাটা দিয়ে দলকে সাহায্য করতে চাইব। স্বাভাবিক, সবারই ভালো লাগা কাজ করে, আমারও লাগছে।’ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের যেন প্রস্তুতিটা ভালো মতো হয়, সেই চেষ্টার কথাও বলছিলেন তিনি, ‘যেহেতু বড় বড় লেগ স্পিনারের বিপক্ষে খেলবে। আমার চেষ্টা থাকবে ব্যাটসম্যানদের সম্ভাব্য সেরাটা (চ্যালেঞ্জটা) দেওয়া।’
রিশাদকে ঘেঁটে সাকিবরা শক্ত হবেন নেটে, কথা ঠিকই। কিন্তু রিশাদের মতো লেগ স্পিনারদের পায়ের মাটি শক্ত হবে কীসে, কোন মন্ত্র জপলে তারাও থাকবেন এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের দলে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানেন না রিশাদরা, ওদের কাজ কী কেবল সলতের মতো নিজেকে পুড়িয়ে অন্যকে আলো দেওয়া, নিজের বুক পকেটে পুরে রাখা হতাশার আঁধার-ঢাকা মহাকাল?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল