রাসেল ডমিঙ্গো দেশের একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর আবারও পরিষ্কার হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে তার সম্পর্কটা দা-কুমড়োর মতো। ডোমিঙ্গোর সেই সাক্ষাৎকারে বিসিবির ভেতকার অনেক কথা বলেছেন। দাবি করেছেন, ক্রিকেটার চাপে রাখতে বলেছে বিসিবির কোন কোন পরিচালক। আবার বলেছেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররা জুনিয়দের দমিয়ে রাখত।
এই ঘটনার পর বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ডমিঙ্গোর কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বিসিবি।
এই আলাপের মাঝেই আরেকটি গণমাধ্যম দাবি করেছিল ডমিঙ্গো সাউথ আফ্রিকা থেকে তাদের ফোনে জানিয়েছিল, ‘বিসিবির চাকরি তিনি ছেড়ে দিয়েছেন।’ সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পরিবারের সাথে কথা বলেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডমিঙ্গো। তবে পরে নাকি ডমিঙ্গো বিসিবির কাছে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
চাকরি ছাড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। আমার চুক্তি শেষ হবে আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বরে। ততদিন পর্যন্ত আমি বোর্ডের সঙ্গে থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি টেস্ট ও ওয়ানডেতে আমার দায়িত্ব ডিসেম্বর থেকে ফের পালন করা শুরু করব।’
সবমিলিয়ে ডমিঙ্গো চাকরিতে বলা আছেন নাকি নেই, সে নিয়ে একরকম ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আজ এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ডমিঙ্গোর চাকরি ছাড়ার বিষয়টিকে সরাসরি মিথ্যা দাবি করেননি। তবে বলেছেন, এটা ভুলবোঝাবুঝি। ডোমিঙ্গো এখনও জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবেই আছেন।
প্রধান কোচের এমন আচরণে আক্ষরিক অর্থেই বিপাকে বিসিবি। দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সংশ্লিষ্টরা যখন এমন আচরণ করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তবে কী অনিশ্চিয়তায় দুলছে বিসিবির পেন্ডুলাম? আর সেই অনিশ্চয়তা থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার কোন উপায় আদৌ বিসিবির সামনে আছে কী? বহু কারণে সমালোচিত ডমিঙ্গোকে এমন আদর যত্নে পোষার কারণটাও যেমন অনেকে খুঁজে পাচ্ছেন না, তেমন অনেকে বুঝতে পারছেন না ডমিঙ্গো এমন থাকা না থাকার নাটকটাইবা করছেন কেনো?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল