৭ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি, রান ১৬০। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম চার ম্যাচে এই ছিল পৃথ্বী শ্বাহ'র ব্যাটিং পরিসংখ্যান। এবার এক ইনিংসেই তিনি করে ফেললেন আগের সাত ইনিংসের দ্বিগুণের বেশি রান। ভারতের তরুণ ব্যাটসম্যান খেললেন ৩৮৩ বলে ৩৭৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। নাম তুললেন রেকর্ড বইয়ে।
মুম্বাইয়ের হয়ে আসামের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছেন পৃথ্বী। গুয়াহাটিতে যেভাবে তিনি খেলছিলেন তাতে কোয়াড্রপল সেঞ্চুরিও মনে হচ্ছিল খুব সম্ভব। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতির আগে শেষ ওভারে লেগ স্পিনার রিয়ান পরাগের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সেই সম্ভাবনার ইতি ঘটে। প্রথম দিনেই ডাবল সেঞ্চুরি করে এই ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ২৪০ রানে। গত বুধবার দ্বিতীয় দিন আউট হওয়ার আগে ৯৯ বলে তিনি করেন ১৩৯ রান। ৪৯ চার ও ৪ ছক্কায় গড়া তার ৩৭৯ রানের ইনিংসটি।
রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। আর সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটি ভাওসাহেব বাবাসাহেব নিম্বলকারের। ১৯৪৮ সালে মহারাষ্ট্রের হয়ে তিনি খেলেছিলেন ৪৪৩ রানের ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডও এটি। এই তালিকায়ও এখন দুইয়ে আছেন পৃথ্বী।
আরেকটি জায়গায় অবশ্য চূড়ায় উঠে গেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস এখন তার। তিনি পেছনে ফেলেছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের ৩৭৭ রানকে। ১৯৯১ সালে হায়দরাবাদের বিপক্ষে খেলা মাঞ্জরেকারের ইনিংসটি এখন রঞ্জির রেকর্ডের তালিকায় তিনে আছে।
আসামের বিপক্ষে প্রথম তিন উইকেট জুটিতেই আধিপত্য ছিল পৃথ্বীর। মুশির খানের সঙ্গে ১২৩ রানের শুরুর জুটিতে পৃথ্বীর অবদান ৭৫, আরমান জাফরের সঙ্গে ৭৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ ও অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ৪০১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে তার রান ২৬২।
ভারতের হয়ে পৃথ্বী এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৫ টেস্ট, ৬ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি। যার সবশেষটি ২০২১ সালের জুলাইয়ে, শ্রীলঙ্কা সফরে সীমিত ওভারের সিরিজে। সামনেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিতে সেই দলে জায়গার পাওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলেন পৃথ্বী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ