ওয়াহাব রিয়াজের অফ স্টাম্পের বাইরের খাটো লেংথের বল কাট করায় চেষ্টায় গড়মিল করে ফেললেন শুভাগত হোম। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে গেল থার্ড ম্যানে। ত্রিশ গজ বৃত্তের মাথায় দাঁড়িয়ে বাম দিকে লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন নাহিদুল ইসলাম। তাতে দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন পাকিস্তানি এই পেসার।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৪০০ উইকেট পূরণ হলো তার। বিশ্বের ষষ্ঠ ও পাকিস্তানের প্রথম বোলার হিসেবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটে ৪শ উইকেটের মালিক হলেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। তার আগে ৪০০ উইকেট নেওয়া অন্যরা হলেন ডোয়াইন ব্রাভো (৬১৪), রশিদ খান (৪৯৬), সুনিল নারাইন (৪৭৪), ইমরান তাহির (৪৬৬) ও সাকিব আল হাসান (৪৩৬)।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৯তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ। নিজের প্রথম ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন ওয়াহাব, দেন ১৩ রান। পরের ওভারে ৫ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। ষোড়শ ওভারে আক্রমণে ফিরে প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ করে দেন আফিফকে। একই ওভারের পঞ্চম বলে ইয়াসির আলি চৌধুরির হাতে ক্যাচ দেন খাওয়াজা নাফে। শেষ ওভারে নিজের কোটা পূরণ করতে এসে পরপর দুই বলে শুভাগত ও মেহেদিকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান অভিজ্ঞ এই পেসার। হ্যাটট্রিক না হলেও ওই বলে রান আউট হন নিহাদউজ্জামান।টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩৩৫ ম্যাচের ৩৩১ ইনিংসে এখন ৪০১ উইকেট আছে ওয়াহাবের। টি-টোয়েন্টিতে পাঁচবার ৪ উইকেট ও তিনবার ৩ উইকেট করে নেন তিনি। এরমধ্যে দেশের হয়ে ৩৬ টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ উইকেট রয়েছে এই বাঁ-হাতি পেসারের। উইকেট শিকারের তালিকায় সবার উপরে ব্রাভো। ৫৫৬ ম্যাচে ৬১৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এরপর রশিদ ৩৬৯ ম্যাচে ৪৯৬ উইকেট, নারাইন ৪৩৫ ম্যাচে ৪৭৪ উইকেট, ইমরান ৩৭৩ ম্যাচে ৪৬৬ উইকেট ও সাকিব ৩৮৮ ম্যাচে ৪৩৬ উইকেট নিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ