নেতৃত্বের বিবেচনায় ছিলেন বেশ কজন। তাদের মধ্যে বেছে নেওয়া হলো এমন একজনকে, যার নেতৃত্বের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন জশ ইংলিস। তার অধিনায়কত্বের অধ্যায় শুরু হবে অবশ্য এর আগেই। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও দলের ভার থাকবে এই কিপার-ব্যাটসম্যানের কাঁধেই।
এই সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল মার্শের পাশাপাশি প্যাট কামিন্স, স্টিভেন স্মিথসহ আরও বেশ কজনকে সেই দলে রাখা হয়নি ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রস্তুতির জন্য। তখন বলা হয়েছিল, অধিনায়কের নাম জানানো হবে পরে। সেটিই এখন চূড়ান্ত করা হলো। অস্ট্রেলিয়ার ১৪তম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হবেন ইংলিস।
ওয়ানডের নেতৃত্বের ব্যাপারটি সিদ্ধান্তটি খানিকটা চমক হয়েই এসেছে। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষটির দলে নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের পাশাপাশি থাকছেন না স্টিভেন স্মিথ, জশ হেইজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেন। ওই ম্যাচটি না খেলে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির জন্য প্রস্তুতি নেবেন তারা। পিতৃত্বকালীন ছুটি ও বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রস্তুতি মিলিয়ে আগে থেকেই গোটা সিরিজে নেই মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। সব মিলিয়েই শেষ ওয়ানডের নেতৃত্ব পেয়ে গেছেন ইংলিস। অস্ট্রেলিয়ার ৩০তম ওয়ানডে অধিনায়ক হবেন ২৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বের বিবেচনায় ছিলেন অভিজ্ঞ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, অ্যাডাম জ্যাম্পা, অ্যারন হার্ডি ও ম্যাথু শর্ট। তাদের সবারই বিগ ব্যাশে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি এই অভিজ্ঞতা আছে ন্যাথান এলিসেরও। ইংলিসের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা বলতে আছে কেবল ২০২২ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রাইম মিনিস্টার’স একাদশকে নেতৃত্ব দেওয়া। গত মৌসুমে বিগ ব্যাশে পার্থ স্কর্চার্সের সহ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তবে নেতৃত্বের সহজাত গুণ ও ট্যাকটিক্যাল মেধার জন্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে পরিচিতি আছে ইংলিসের। প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির কথায়ও তা ফুটে উঠল।
জর্জ বেইলি বলেন, “আমাদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ জশ। মাঠের ভেতরে-বাইরে দারুণ সম্মানও পায় সবার কাছ থেকে। আগে সে প্রাইম মিনিস্টার’স একাদশকে নেতৃতব দিয়েছে এবং এই ভূমিকায় সে ট্যাকটিকাল মনন ও ইতিবাচক মানসিকতা বয়ে আনবে। মাঠে ম্যাথু শর্ট, অ্যাডাম জ্যাম্পার পাশাপাশি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টয়নিসের কাছ থেকেও সবরকম সহায়তা পাবে জশ।”
ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিতে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। আগামী শুক্রবার অ্যাডি লেইডে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলে টেস্টের প্রস্তুতি চলে যাবেন কামিন্স-স্মিথরা। রোববার পার্থে শেষ ম্যাচে টস করবেন ইংলিস। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৪ নভেম্বর।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ