পাবলিক ওয়াইফাই দিয়ে যারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বা কোনও ওয়েবসাইট ব্যবহার করার কথা ভাবছেন, তারা একবার এই ব্যবস্থার নেতিবাচক দিকগুলো জেনে নেবেন। কখন, কোথায় কীভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে যাবে, খেয়ালও করতে পারবেন না। তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন নিজের স্বার্থেই।
প্রথমত, এসব ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথড অ্যালোকেশন কম থাকলে স্পিড কমে যায়। ফায়ারওয়াল ব্লকেজ না থাকায় স্প্যাম বা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আছে আরও কিছু সমস্যাও।
• কফি শপ, লাইব্রেরি, এয়ারপোর্ট, হোটেল, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য পাবলিক প্লেসে ওয়াইফাই ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ এক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে না। ওয়াইফাইয়ের দৌলতে সহজেই আপনার ফোন বা ল্যাপটপের তথ্য নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিতে পারেন হ্যাকাররা। যদি করতেই হয়, তাহলে এমন সাইটে যান, যা আপনার কাজকে সংকেতে পরিণত করে দেবে। এই ওয়াইফাই ব্যবহার করে ব্যক্তিগত কিছু শেয়ার করা যায় এমন অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল।
• কফি শপ, এয়ারপোর্টে বসে খুব প্রয়োজনে ফোন বা ল্যাপটপে ওয়াইফাই দিয়ে ইন্টারনেট অন করলেন। আপনি হয়ত জানলেনও না পেশায় হ্যাকার কেউ ওই নেটওয়ার্কই ব্যবহার করছেন। আপনার সবকিছু হ্যাক হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। আপনার ক্রিয়াকলাপ ট্যাপ করে তথ্য বের করে আনাও কোনও কঠিন কাজ নয় তাদের পক্ষে। তাই লগইনের সময় পাসওয়ার্ড বা কোনও গাইডলাইন চাইলেও রিস্কটা থেকেই যায়।
• ম্যাক, ওএস এক্স ও উইন্ডোজে ইনবিল্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। সিকিউরিটি সেটিংসের মাধ্যমে ফায়ারওয়ালটা অ্যাক্টিভ করে ব্লক অল ইনকামিং ট্রাফিক চেক করে নেবেন।
• পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা জরুরি। আপনি যেভাবে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করবেন, সেটা হ্যাকাররাও পেয়ে যেতে পারে। 'লাস্টপাস'-এর মতো কোনও ব্রাউজার ইনস্টল করে নিন। কোনওভাবেই ডিভাইসে আপনার পাসওয়ার্ড সেভ হবে না।
• কোনও ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে এইচটিটিপি (HTTP) আপনার কাজ সংকেত হিসেবে নেয়। তখন ওখানে যেটা করছেন সেটা কনফিডেনশিয়াল হয়ে যায়। তাই এইচটিটিপি এভরিহোয়্যার (HTTPS Everywhere) ইনস্টল করে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটে আপনার ক্রিয়াকলাপ সংকেত হিসেবে পৌঁছাতে বাধ্য হবে।
• হ্যাকাররা 'ফ্রি পাবলিক ওয়াই-ই' বা 'স্টারবাকস ফ্রি' নামে ভুয়ো নেটওয়ার্ক তৈরি করে। তাই কোনও জায়গার ওয়াইফাই ব্যবহার করার আগে সেখানকার কর্মীদের কাছ থেকে নেটওয়ার্কের নাম যাচাই করে নিন।
• ঘরের বাইরের ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাঙ্কিং, শপিং বা অন্য কিছু করবেন না, ব্যক্তিগত তথ্য বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তাতে থেকেই যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫/ এস আহমেদ