মার্কিন আইটি (তথ্য-প্রযুক্তি) সেক্টরে উচ্চ বেতনে ৪ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে চাকরির ব্যবস্থা করিয়ে দিয়ে কম্যুনিটিতে খ্যাতি অর্জনকারী ‘পিপল এন টেক’-এর পক্ষ থেকে গত এক বছরে ৫০০ প্রবাসী বাংলাদেশীকে ২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬ কোটি টাকা) এর বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
উচ্চ শিক্ষিত এবং উদ্যমী যুবক-যুবতীদের আইটি সেক্টরে চাকরির উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানকারী ‘পিপল এন টেক’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ গত রবিবার ব্রুকলীনে বৈশাখী মেলায় অর্ধ লক্ষাধিক প্রবাসীর বিপুল করতালির মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, ‘পিপল এন টেক'-এর ৭টি শাখা থেকে উদ্যমী এবং মেধাবি বাংলাদেশিদের বিনা ফি-তে কোর্স প্রদানের এই কর্মসূচি (বৃত্তি) অব্যাহত থাকবে। এ মেলাতেও হাজারো প্রবাসী ফরম পূরণ করেছিলেন বৃত্তির জন্য। লটারিতে উঠেছে মো. জিয়াউদ্দিন এবং কামরুল হোসাইনের নাম। তারা ফ্রি কোর্স নেবেন উচ্চ বেতনে চাকরির জন্য।’
আবু হানিফ বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা ৪ হাজার বাংলাদেশীকে মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরি নিয়ে দিয়েছি। এরা সকলেই বার্ষিক বেতন পাচ্ছেন ৮০ হাজার ডলার থেকে দু’লাখ ডলার পর্যন্ত। এর আগে তাদের প্রায় সকলেই অডজব করতেন। উচ্চ শিক্ষা থাকা সত্বেও অনেকে মূলধারার চাকরির সুযোগ নিতে পারেন নি। আমরা পিপল এন টেকের মাধ্যমে উদ্যমী শিক্ষিত বাংলাদেশী যুবকদের পথ প্রদর্শকের দায়িত্ব পালন করছি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেও আমাদের শাখা চালু করেছি। সেখানে আইটি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। মার্কিন কোম্পানীতে চাকরির উপযোগী শিক্ষা গ্রহণ শেষে তারা পিপল এন টেকের মাধ্যমেই চাকরির ভিসাসহ আমেরিকায় আসার সুযোগ পাবেন।’
আবু হানিফ উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশেও আমরা স্কলারশিপের সুযোগ রেখেছি। অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষিত এবং উদ্যমী যুবক-যুবতীদের মার্কিন আইটি সেক্টরে চাকরির আরেকটি এভিনিউ খুলে দিয়েছে পিপল এন টেক এবং এটি সম্ভব হয়েছে প্রবাসীদের অকুণ্ঠ সমর্থনে।’
তিনি বলেন, ‘স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসে আমাকেও অডজব করতে হয়েছে। সে যন্ত্রণা আমারও রয়েছে। সে থেকেই আমি অন্যদের কষ্ট অনুধাবন করতে পারি। আমি চাই প্রতিটি উদ্যমী প্রবাসীই মূলধারার আইটি সেক্টরের বিশাল কর্মজগতে ঢুকে পড়ুক। এ জন্যে যত রকমের সহায়তা দরকার তা আমি দিতে বদ্ধ পরিকর।’
আবু হানিফ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পিপল এন টেক চালু হয়েছে মুনাফার জন্যে নয়। সেখান থেকে কোন অর্থ আমেরিকায় নিয়ে আসার ইচ্ছাও নেই। আমি বাংলাদেশে অর্জিত অর্থ বাংলাদেশেই বিনিয়োগ করবো। আমেরিকার অভিজ্ঞতাকে জন্মভূমির সার্বিক কল্যাণে ব্যয় করতে চাই। এটি আমার জন্মের দায়বদ্ধতা।’
বিডি-প্রতিদিন/২০ মে, ২০১৫/মাহবুব