বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের নির্দিষ্ট সময় পর প্রি-অ্যাক্টিভ কোনো সিম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সেলুলার ফোন অপারেটরসকে বড় অংকের জরিমানা গুণতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকারে এমন হুঁশিয়ারি দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি বলেন, প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করেছে সরকার। তাই নিবন্ধনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বাজারে কোনো প্রি-অ্যাক্টিভ সিম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সেলুলার অপারেটরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিগুলো যথাযথ সিম নিবন্ধন করেছে কিনা- তা নিশ্চিত করতে 'ক্রস চেক' করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা কোনো ত্রুটি রাখতে চাই না বলেই এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,' ত্রুটিযুক্ত কোনো সিম পাওয়া গেলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।'
ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট দেখিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করা যাচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। সূত্র: বাসস
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ