বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে পৃথিবীর আর একটি উপগ্রহের কথা। অবশেষে জানা গেল, জল্পনা নয়। নাসা ঘোষণা করল সত্যিই আরও একটি ক্ষুদ্র চাঁদ রয়েছে পৃথিবীর। জেনে নিন এই নতুন উপগ্রহ সম্পর্কে তথ্য।
পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি একটি অ্যাস্টেরয়েডের উপস্থিতি বহুদিন ধরেই টের পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেটি আদৌ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে কি না সেই নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ এই অ্যাস্টেরয়েডের কক্ষপথটি একটু বিচিত্র। তার ফলে কখনও কখনও সে পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে সরে যায় যে তাকে মহাকাশবিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী ঠিক উপগ্রহ বলা যায় না।
কিন্তু মজার বিষয় হল সে আবার অন্য সময় পৃথিবীর যথেষ্ট কাছে চলে আসে এবং সেটি ঘটে পৃথিবীর অভিকর্ষের কারণেই। সম্প্রতি তার প্রমাণ পেয়েছেন নাসা বিজ্ঞানীরা। তবে যেহেতু এক একটি সময়ে এই অ্যাস্টেরয়েড অনেকটাই দূরে চলে যায় এবং চাঁদের মতো সারাবছর পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না, তাই একে সরাসরি ‘স্যাটেলাইট’ আখ্যা দেননি বিজ্ঞানীরা।
'২০১৬ এইচওথ্রি' নামের অ্যাস্টেরয়েডকে তাই 'কোয়াসি-স্যাটেলাইট' বা 'মিনি মুন' নামেই ডাকা হচ্ছে। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ১০০ বছর আগে এই অ্যাস্টেরয়েডটি এসে পড়ে পৃথিবীর কাছে এবং তখন থেকেই পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে সে। এও জানা গেছে যে, আগামী বেশ কয়েকটি শতাব্দী এভাবেই পৃথিবীর মিনি মুন হয়ে বিরাজ করবে এটি।
সম্প্রতি নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি থেকে প্রকাশিত হয়েছে একটি ভিডিও যেখানে এই মিনি মুন-এর কক্ষপথ এবং পৃথিবীর কক্ষপথের অবস্থান ঠিক কেমন সেটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই মিনি মুনের সঙ্গে আমাদের চাঁদের পার্থক্য হল- পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পাশাপাশি মিনি মুনটি সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ