টেবিলের ওপর সাজানো ছোট ছোট প্লাস্টিকের পাত্র। এগুলো মাটি দিয়ে ভরা। পাশে রাখা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাটি থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুৎ দিয়ে জ্বালানো হচ্ছে ছোট ছোট বাল্ব। 'সয়েল এনার্জি' নামের এই প্রকল্পটি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিন শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত, ওয়াস্তি ওয়াসি মোস্তাক এবং মোস্তফা রাফিদের।
খুদে বিজ্ঞানীদের এরকম শতাধিক চমকপ্রদ আবিষ্কার নিয়ে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) বা সাইন্সল্যাব প্রাঙ্গণে বসেছে বিজ্ঞান মেলা। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্বোধনের পর থেকেই মেলার বিভিন্ন স্টল ঘিরে ছিল দর্শনাথী ও খুদে বিজ্ঞানীদের ভিড়। যেখানে তারা নিজেদের আবিষ্কার সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় করছেন অন্য খুদে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে। ফলে পুরো বিসিএসআইআর প্রাঙ্গণ পরিণত হয় খুদে বিজ্ঞানীদের মিলনমেলায়।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম অনেক আধুনিক। আমাদের সময়ে আমরা যা কল্পনা করতাম বর্তমান প্রজন্ম তা বাস্তবায়ন করে দেখাচ্ছে। তাদের চিন্তার সঙ্গে আমাদের চিন্তার সমন্বয় করতে হবে। আমাদের কাজ হবে তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করা।
ফজলে নূর তাপস বলেন, এই মেলার মাধ্যমে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চার আগ্রহ বাড়বে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হবে।
ফারুক আহমেদ বলেন, তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞান চর্চাসহ সৃজনশীল কাজে আগ্রহ সৃষ্টি করতেই এই আয়োজন। এর মাধ্যমে তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে সহজ হবে।
মেলায় নটরডেম, হলিক্রস, আইডিয়াল, ভিকারুন্নেসাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্বশিক্ষিত উদ্ভাবকরা ১৪৬টি প্রকল্প নিয়ে অংশ নিয়েছে। মেলা চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। মেলা শেষে চারটি বিভাগে মোট ১২জনকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা