বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক তার ট্রাম্প-সমর্থক রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটি ‘আমেরিকা প্যাক’ এর মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত রিপাবলিকান ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে নিবন্ধন করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মাস্ক শনিবার পেনসিলভানিয়ার একটি টাউন হল ইভেন্টে প্রথম বিজয়ীর হাতে লটারি-স্টাইল চেক তুলে দিয়ে এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলে মাস্কের ব্যয় হতে পারে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার। এই পদক্ষেপটি বিশেষত পেনসিলভানিয়ার ভোটারদের প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর পক্ষে সমর্থন জানাতে উদ্বুদ্ধ করছে। এই পিটিশন সাইন করলে ভোটারদের ১ মিলিয়ন ডলারের ড্র-তে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পিটিশন সাইন করার জন্যে শুধুমাত্র রিপাবলিকান হতে হবে এমন নয়, যে কোনো নিবন্ধিত ভোটার, এমনকি ডেমোক্র্যাটরাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমেরিকা প্যাক ভোটারদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে ট্রাম্পের জন্য তাদের ভোট নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে মাস্ক এই প্যাকের জন্য ৭৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন। তবে এই কার্যক্রমে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখা দিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকা প্যাকের গ্রাউন্ড গেমের অন্তর্গত অ্যারিজোনা ও নেভাডায় প্রায় ২৫% বাড়িতে ভোটারদের সাথে যোগাযোগের দাবিগুলো ভুয়া হতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়েছে। যদিও প্যাকের সাথে জড়িতরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবুও এটি পরিষ্কার যে আউটসোর্সড গ্রাউন্ড গেম কর্মসূচি নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে।
মাস্কের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ট্রাম্প সমর্থকদের মধ্যে যারা সাধারণত ভোট দেন না, তাদের ভোটার নিবন্ধনে উৎসাহিত করা এবং নির্বাচনের ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা। সূত্র : গার্ডিয়ান
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল