আসন্ন মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে কমলা হ্যারিসবিরোধী পোস্ট প্রচারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাধা দিচ্ছে ফেসবুক। মেটার জ্যেষ্ঠ সফটওয়্যার প্রকৌশলী জীবন গ্যাওয়ালি এই তথ্য জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির পোস্টও নিয়ন্ত্রণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জেমস ও’কিফের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, জীবন গ্যাওয়ালি রেস্তোরাঁয় একজন নারীর সঙ্গে গল্প করছেন। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি জানান, মেটার অ্যালগরিদম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অবহিত না করেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পোস্টের উপস্থিতি কমিয়ে দেয়; অর্থাৎ কেউ যদি পোস্ট করেন, ‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য কমলা অযোগ্য, কারণ তার সন্তান নেই’ বা অন্য কোনো খারাপ মন্তব্য করেন, তবে পোস্টটির প্রচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাধাপ্রাপ্ত করে দেয় মেটা। বিষয়টিকে ছদ্মবেশী নিষেধাজ্ঞা বা শ্যাডোব্যানিং হিসেবে আখ্যা দেন তিনি।
জীবন গ্যাওয়ালি দাবি করেছেন, মেটা ২০২৪ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। তিনি জানান, মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ডেমোক্র্যাটদের সাহায্য করার জন্য পোস্ট প্রকাশে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। কমলা হ্যারিসবিরোধী প্রায় সব কনটেন্ট বা আধেয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে শতভাগ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও যে ব্যবহারকারীর পোস্ট প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তাকে কিছুই জানানো হয় না। মেটার বিশেষ একটি দল নাগরিকদের শ্রেণিবিন্যাস করে। রাজনৈতিক সব বিষয়বস্তু মেটার এই বিশেষ দল সব সময় পর্যবেক্ষণ করে থাকে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল