অ্যাপলের পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন সিরিজ আইফোন ১৭ নিয়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। ২০২৫ সালের অন্যতম প্রযুক্তিগত চমক হিসেবে বিবেচিত এই সিরিজ আগামী দুই মাসের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে—এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।
সম্ভাব্য লঞ্চ সময়
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে আইফোন ১৭ সিরিজের লঞ্চ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। ব্লুমবার্গের মার্ক গুরম্যানের মতে, অ্যাপল ৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) অথবা ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিরিজের মোবাইল বাজারে আনতে পারে। সাধারণত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই অ্যাপলের নতুন আইফোন উন্মোচনের ঐতিহ্য রয়েছে।
একদম নতুন ডিজাইন: আইফোন ১৭ এয়ার
এবারের সিরিজে সবচেয়ে আলোচিত মডেল হলো আইফোন ১৭ এয়ার। এটি হবে আগের যেকোনো আইফোনের তুলনায় সবচেয়ে পাতলা ও হালকা। সূত্র বলছে, এটিকে ‘অ্যাপলের সবচেয়ে স্লিম আইফোন’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাতলা হলেও পারফরম্যান্সে কোনো আপস করা হচ্ছে না।
নতুন রঙ ও উন্নত ডিসপ্লে প্রযুক্তি
এই সিরিজে আসতে পারে নতুন কমলা, সবুজ এবং বেগুনি রঙের ভ্যারিয়েন্ট, যা পূর্বের কোনো মডেলে দেখা যায়নি। পাশাপাশি, স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী অ্যান্টি-রিফ্লেক্টিভ ডিসপ্লে কোটিং যুক্ত করা হতে পারে, যা রোদে সরাসরি আলোতেও স্ক্রিন পরিষ্কার দেখতে সহায়তা করবে।
উন্নত ক্যামেরা ও শক্তিশালী ব্যাটারি
ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৪ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা থাকতে পারে, যা সেলফি ও ভিডিও কলের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। প্রো মডেলগুলোতে থাকছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স, যা উচ্চমানের জুম সুবিধা দেবে।
এছাড়া, আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সে থাকতে পারে ৫,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি—যা আইফোনে ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় ব্যাটারি হিসেবে বিবেচিত।
শক্তিশালী হার্ডওয়্যার ও উন্নত কুলিং সিস্টেম
এই সিরিজে অ্যাপল ব্যবহার করতে পারে নতুন A19 চিপসেট ও ১২ জিবি র্যাম, যা গেমিং, এআই এবং হাই পারফরম্যান্স কাজের জন্য উপযোগী। পাশাপাশি, নতুন থার্মাল কুলিং প্রযুক্তি ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে সুরক্ষা দেবে।
প্রোমোশন ডিসপ্লে ও বড় স্ক্রিন
সিরিজের প্রতিটি মডেলেই এবার থাকবে ১২০ হার্টজ প্রোমোশন রিফ্রেশ রেট, যা আগে কেবল প্রো মডেলেই সীমাবদ্ধ ছিল। এছাড়া, স্ট্যান্ডার্ড আইফোন ১৭-এ থাকতে পারে ৬.৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে, যা আগের তুলনায় বড়।
মূল্য বৃদ্ধি: শুল্ক ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব
শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বেস মডেলের আইফোনের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অ্যাপল যেসব দেশে আইফোন উৎপাদন করে—বিশেষ করে চীনসহ কয়েকটি দেশে—সেখানে ইতিমধ্যেই উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে, যা শেষ পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ