চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থেকে আগ্রাবাদ বারিক বিল্ডিং মোড়। স্ট্যান্ড রোড নামের সড়কটির দৈর্ঘ্য ২ কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদীর তীর হয়ে গড়ে ওঠা এ সড়কটি ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকসহ নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্ণফুলী নদীর পাড়েই আছে ছয়টি জেটি, আছে বাংলাবাজার, মাঝিরঘাটসহ ১৬টি ঘাট, আছে পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ভোগ্যপণ্যের গুদাম ও পোশাক কারখানা। এ সড়ক দিয়েই চলাচল করে শত শত ভারী যানবাহন এবং অসংখ্য মানুষ। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির অবস্থাই বেহাল। ফলে যাতায়াতকারী ও যানবাহনগুলোকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রায় দুই বছর আগে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু হলেও শেষ হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই ক্ষতবিক্ষত সড়কে জমে যায় পানি, সড়ক হয়ে যায় কর্দমাক্ত। বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। সড়কের কাজের ধীর গতির কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, স্ট্যান্ড রোডের পুরাতন কাস্টম হতে নজুমিয়া মসজিদের আগ পর্যন্ত অংশটি খারাপ। তাছাড়া মাঝির ঘাট, আনু মাঝির হতে পান বাজার পর্যন্ত অংশটিও খারাপ। এ কারণে সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেগ পেতে হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) সূত্রে জানা যায়, স্ট্যান্ড রোডের পুরনো কাস্টমসের সামনের ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের কালভার্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১ কোটি ৮২ টাকা ব্যয়ে এবং সড়কের ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৫ ফুট প্রস্থের অন্য কালভার্টটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কালভার্টের কাজ শেষ হলেও বেহাল সড়কের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন সড়কের ওপরের ঢালাইয়ের কাজ বাকি আছে। এ জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি আছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজটি করা হচ্ছে না। আগামী দুই মাসের মধ্যে সড়কটির কাজ শেষ করার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, সেবা সংস্থাগুলোর কাজ শেষ না হওয়া এবং সড়কটি খুব ব্যস্ত থাকার কারণে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। জানা যায়, বিদেশ থেকে আসা পণ্যবাহী বড় জাহাজগুলো প্রথমে বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করে। এসব জাহাজের পণ্য লাইটার জাহাজে স্থানান্তর করা হয়।
লাইটার জাহাজগুলোর পণ্য স্ট্যান্ড রোড এলাকার জেটি ও ঘাটে খালাস করা হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পণ্য মাঝিরঘাটের বিভিন্ন গুদামে রাখা হয়। আর চট্টগ্রামের বাইরে পণ্য ঘাট থেকে গাড়ি করে সরাসরি নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পণ্য পরিবহনের কারণে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও লরি চলাচল করে।