রাজধানীর রাস্তা-ফুটপাথে দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখায় হাঁটাচলাই দায়। বাড়ি-অফিস বানানোর জন্য আনা রড, সিমেন্ট, ইট রাখা হয় ফুটপাথে। রাস্তা হরহামেশাই ব্যবহার হয় বালু-সিমেন্টের মিশ্রণ বানানোর কাজে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।
গত রবিবার ফুটপাথে মালামাল রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি মামলা দায়ের করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর আগে দফায় দফায় অভিযান চালালেও পাল্টায়নি পরিস্থিতি।
উত্তরা আজমপুর এলাকায় ফুটপাথ দখল করে রাখা হয়েছে রড এবং বালুর বস্তা। যাতায়াত করতে পারছেন না পথচারীরা। রাস্তায় রড কাটার কাজ করছেন শ্রমিকরা। এতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পিচ উঠে গেছে। আজমপুর এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলী বলেন, যে কোনো বাড়ির কাজ শুরু হলেই তার পাশের ফুটপাথ-রাস্তা দিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে যায়, বৃষ্টি হলেই বালুতে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। বাড়ির কাজ এক সময় শেষ হয় কিন্তু রাস্তা-ফুটপাথের ক্ষতি কেউ পূরণ করে না।’
রাজধানীজুড়েই এ চিত্র দেখা যায়। ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণ কিংবা উন্নয়ন কাজে এই অরাজকতা চলছে। নির্মাণসামগ্রী সব সময় রাস্তায় রাখা হয়। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। জব্দ করা হয় অবৈধভাবে রাস্তা দখলে রাখা মালামাল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাস্তা, ফুটপাথ এবং নালার ওপর কোনো মালামাল রাখলে তা জব্দ করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কয়েকটি স্থানে এমন চিত্র পাওয়ার পর মালামাল বিক্রিও করেছি।