মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

অরক্ষিত পাহাড় রক্ষার প্রকল্প

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

অরক্ষিত পাহাড় রক্ষার প্রকল্প

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১৮ সালে বিন্না ঘাসের মাধ্যমে পাহাড় ক্ষয় রোধ ও নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি প্রকল্প নেয়। কিন্তু অর্থাভাব এবং চসিকের অনীহায় পাহাড় রক্ষার প্রকল্পটি এখন নিজেই অরক্ষিত। আড়াই বছর ধরে প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি নেই।

২০১৮ সালের ৩০ মে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা মাহা ছাকরি সিরিনধরন তৎকালীন পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের হাতে বিন্না ঘাসের চারা তুলে দিয়ে সেন্টারটির উদ্বোধন করেন। দ্রুত বর্ধনশীল ও জলবায়ু সহিষ্ণু বিন্না ঘাস লাগিয়ে ভূমিক্ষয় রোধ ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি কমাতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০ লাখ টাকা দেয় থাইল্যান্ডের সাইপাতানা ফাউন্ডেশন ও বাকি টাকা চসিক দেওয়ার কথা। এর কিছুদিন পর চসিকের পক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি অনুমোদন পায়নি। মন্ত্রণালয়ও এ প্রকল্পে অর্থ দেয়নি। তাছাড়া পাইলট প্রকল্পে চসিকের প্রতিশ্রুত ২০ লাখ টাকাও দেওয়া হয়নি। ফলে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়ে। পাইলট প্রকল্পের সেন্টারটি এখন নিরাপত্তারক্ষীদের কক্ষ। এক পাশে রাখা তেলের ড্রাম। পাহাড়ের ঢালুতে তেমন নেই বিন্না ঘাস। চলছে সবজি চাষ।    

প্রকল্প শুরুর পর এটি সচলই ছিল। প্রথম দিকে ঘাসগুলোর বেড়ে ওঠা, চারা গজানো, শিকড়ের গভীরতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণসহ ডাটাবেজ তৈরি, বিভিন্ন পদ্ধতিতে চাষ করে কোন পদ্ধতিটির চাষ বেশি কার্যকর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতো। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও বিন্না ঘাস দেওয়া হতো। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।    

প্রকল্পের পরিচালক চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ বলেন, ৩ কোটি টাকার ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন না হওয়ায় প্রকল্পটি নিয়ে আর এগুনো যায়নি। প্রকল্প বন্ধ না করে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তবে বিন্না ঘাস পাহাড়ের মাটি ক্ষয়রোধে কার্যকর, এর প্রমাণ মিলেছে। পাহাড়ের যে অংশে বিন্না ঘাস লাগানো হয়েছে, সে অংশে মাটিক্ষয় অনেক কম হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এখান থেকে বিনামূল্যে ঘাস দেওয়া হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর