গাজীপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কক্ষের টেবিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেমের বার্তা বিনিময় হচ্ছে। বিশেষ করে ছাত্ররা তাদের সহপাঠীদের উদ্দেশ করে টেবিলে লিখে রাখছে মনের আকুলতা। হৃদয়ে লেখা নাম কাঠের বেঞ্চে এঁকে রাখছে অনেক ছাত্র। এতে ছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। বালিকা বিদ্যালয়গুলোর বেঞ্চে মেয়েরাও লিখে রাখছে ছেলেদের নাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলছেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের কিছু বলা যায় না। এ কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
নগরীর আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়, শিলমুন আবদুল হাকিম মাস্টার উচ্চবিদ্যালয়, সাহাজ উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ, অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়, আমজাদ আলী সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষার্থী পাঠদান কক্ষে পড়ার বেঞ্চে লিখে রাখছেন প্রেমের বার্তা, পছন্দের মানুষের নাম। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের যথাযথ শাসন না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। এক অভিভাবক শামিমা আক্তার বলেন, স্কুলে শিক্ষকরা ছেলে-মেয়েদের শাসন না করায় খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আগের মতো পিটুনি দিলে আবার ঠিক হয়ে যাবে। এর জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি। টঙ্গী আশরাফ টেক্সটাইল মিলস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পোলাপান এখন খারাপ, কাউকে মানে না। শিক্ষার্থীদের শাসন করলে উল্টো শিক্ষকদের নাজেহাল হতে হয়। পোলাপান দিন দিন খারাপ হইতেছে। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের বার বার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু ছেলে-মেয়েরা মানছে না। এখন শিক্ষার্থীদের পেটানোও নিষেধ।