চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের তিনটি বাজারকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে। একই সঙ্গে চসিক নগরের পলিথিন কারখানাগুলো বন্ধ করার ঘোষণাও দেয়। কিন্তু কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো চসিক নিজেই পলিথিন ব্যবহার করছে। এ নিয়ে বাজারে অভিযানও হয়। পলিথিন ব্যবহার করে সংগ্রহ করছে নগরের বর্জ্যগুলো। ফলে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। শঙ্কা বাড়ছে জলাবদ্ধতার।
অভিযোগ আছে, চসিক পলিথিন বন্ধে ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়নে আন্তরিকতার অভাব দেখা দেয়। মাঝে মাঝে অভিযান ছাড়া আর কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। উৎপাদন বন্ধে সরাসরি কারখানা এবং মূল বিপণন কেন্দ্রে অভিযান না চালিয়ে কেবল খুচরা বাজারে অভিযান চালানো হয়। ফলে সুফল মেলেনি।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নগরের কাজীর দেউড়ি, চকবাজার ও কর্ণফুলী মার্কেটে শতভাগ পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে চসিক। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরের সবগুলো বাজার পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে। গত বছরের ৩০ জুন ‘পলিথিনমুক্ত চট্টগ্রাম’ বিষয়ক আলোচনা সভায়ও পলিথিন কারখানা বন্ধে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করার কথা বলেছিল সংস্থাটি। নগরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজেদের ওয়ার্ডের পলিথিন কারখানার তালিকা পরিবেশ অধিদফতরে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়। কিন্তু এসব কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বন্ধ হয়ে যায় পলিথিনবিরোধী অভিযানও। উল্টো চসিক এখন নিজেই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে ব্যবহার করছে পলিথিন। নগরের ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ এবং ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলোশহর ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারি দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে চসিক। চুক্তি অনুযায়ী এ দুই ওয়ার্ডের বাসা থেকে পৃথক তিন রঙের বিন সরবরাহ করে বর্জ্য অপসারণের কথা। কিন্তু তারা তা না করে পলিথিন ব্যবহার করেই বর্জ্য সংগ্রহ করছে।