মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়ক দখলে বর্জ্যের কনটেইনার

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

সড়ক দখলে বর্জ্যের কনটেইনার

চট্টগ্রাম নগরে সড়কের মাঝখানেই যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বসানো হয়েছে ময়লার ডিপো। বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে সড়কের ওপর থাকা কনটেইনারে রাখছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে দুর্গন্ধে মানুষের চলাচল মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও সড়কের একপাশের একটি অংশ দখল করে রাখার কারণে যানবাহন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটছে। এসব বিষয় নিয়ে নীরব স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চসিক।

নগরীর আরাকান সড়কের বাদুরতলা-চকবাজার সড়কের জঙ্গিশাহ মাজার এলাকার সড়কের একপাশ দখল করে রাখা হয়েছে ময়লার একটি কনটেইনার। বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন চাকার ভ্যান গাড়ি করে ময়লা এনে রাখা হয় এই কনটেইনারে। সারা দিন এ সড়কে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে ময়লার কনটেইনার হয়ে। দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরার পরও রক্ষা পাওয়া যায় না। তার ওপর থাকে সড়কে চলাচল করা বাস টেম্পুর ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে ময়লা এনে এখানে রাখা হয়।  দুর্গন্ধে এ পথ দিয়ে হাঁটা যায় না। সিটি করপোরেশন ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও নিজেরা সড়কের মাঝখানে ময়লার কনটেইনার বসিয়েছে। অথচ চাইলে ভিতরে কোনো একটি এলাকায় এটা বসানো যেত। রাস্তার ওপর খোলা বর্জ্যরে কনটেইনার বসিয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে।

একই চিত্র দেখা যায় নগরের চকবাজার কাঁচা বাজারের ধুনিলপুলের ওপরে। এ সড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে আড়াআড়িভাবে বসানো হয়েছে ময়লা-আবর্জনার খোলা কনটেইনার। এ ডাস্টবিনের পাশ ঘেঁষেই তীব্র দুর্গন্ধে নাকে হাত দিয়েই চলতে হয় এ সড়কে চলাচল করা কয়েক হাজার পথচারীকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনেক সময় কনটেইনারে ময়লা রাখার চেয়ে নিচে পড়ে থাকে বেশি। আবার এসব ময়লা-আবর্জনার পানি বের হয়ে পুরো সড়ক হয়ে যায় দুর্গন্ধের নগরী। শুধু নগরের বাদুরতলা বা চকবাজার নয় নগরের আলমাস সিনেমার মোড়সহ নগরের কাতালগঞ্জ আবাসিকের মুখ, শাহ আমানত সেতু সড়কের আহাদ কমিউনিটি সেন্টার, আন্দরকিল্লা, ফলমন্ডির প্রবেশ মুখে, বিআরটিসি, পোস্তারপাড়, দক্ষিণ আগ্রাবাদ নাছির খান খাল এলাকার জাম্বুরি পার্ক সংলগ্ন, পুরাতন কাউন্সিলর অফিস, কর্ণফুলী বাজার, এফআইডিসি রোড, কালুরঘাট বড়ুয়া পাড়ার প্রবেশ মুখে ও বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ রোডের নেপচুন ক্লাব সংলগ্ন এলাকাসহ ১২০টি ময়লার  খোলা কনটেইনার রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। চসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, এসব ময়লার কনটেইনার সরানোর জন্য মেয়র মহোদয় নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। চসিকের সাধারণ সভায়ও তিনি কাউন্সিলরদের জায়গা নির্ধারণ করার জন্য বলেছেন। কিন্তু জনবসতিপূর্ণ শহরে এত বড় জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কনটেইনার বসানোর জায়গা থাকলেও তা লোড আনলোড করার জন্য যে স্পেস দরকার তা নেই। যার কারণে জনগণের দুর্ভোগের পরও এসব সরানো সম্ভব হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর