কুমিল্লা নগরীতে বাড়ছে ছাদবাগান। বাগানে ঝুলছে পালমার, রেড আইভরি, ব্যানানা ম্যাংগো, আম্রপালি হাঁড়িভাঙা, বারি ৪, ৯, ১১ ও কাটিমনসহ বিভিন্ন প্রকারের আম। রয়েছে কলা, লিচু, পেয়ারা, ডালিমসহ বিভিন্ন ফল। নগরীর ধর্মসাগর পাড়, চৌধুরীপাড়া, বাগিচাগাঁও, পুরাতন চৌধুরীপাড়া ও হাউজিংয়ের বিভিন্ন এলাকার ছাদে এই দৃশ্য দেখা গেছে। গ্রীষ্মের ফল আম ছাদ থেকে সংগ্রহ করছেন বাগানিরা। বিষমুক্ত সুস্বাদু আম পেয়ে খুশি তারা।
নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের চেয়ারম্যান গলির ফারহান নীড়ের ছাদে দেখা যায়, সেই ছাদে যেন আমের মেলা বসেছে। ড্রামে বসানো দেড় থেকে দুই হাত লম্বা আম গাছ। ফলের ভারে গাছ নুয়ে পড়েছে। কোনোটির রং গোলাপি, কোনোটি দেখতে কলার মতো। আমের সঙ্গে আছে লিচু, কলা, পেয়ারা ও ডালিম গাছ রয়েছে। এই বাগানটি করেছেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর কবীর আহমদ। তিনি বলেন, আমার বাবা কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। কৃষির প্রতি টান শৈশব থেকেই। ইচ্ছা ছিল সামনে বড় বাগানসহ একটি বাড়ি করব। সেটি হয়ে ওঠেনি। তাই ছাদকে বেছে নিয়েছি। দুই বছর আগে বাগান করেছি। কয়েক দফা পাকা আম পেড়েছি। স্বাদ অতুলনীয়। ছাদের বাগান এখন অনেকে দেখতে আসেন। অনেকে উৎসাহিত হয়েছেন। অবসরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাগান পরিচর্যা করি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত বলেন, আমরা প্রফেসর কবীর আহমদকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়েছি। তিনি ড্রামে মাটি প্রস্তুত করেছেন। নিয়মিত পরিচর্যা করছেন। তাই ভালো ফল পেয়েছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, নগর জীবনে আশঙ্কুাজনকভাবে সবুজ কমে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। ছাদবাগান সেই সংকট কিছুটা হলেও কমাতে পারে। সবার খালি ছাদ ও বারান্দায় বাগান করা উচিত।
