বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কার্ডে কেনাকাটা

কার্ডে কেনাকাটা

♦ মডেল : বুশরা ♦ ছবি : মনজু আলম

সরাসরি শপিং কিংবা অনলাইনে শপিং; কেনাকাটায় এখন অনেকেই কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। মূলত নগদ অর্থের ঝামেলা এড়াতে ক্রেডিট কিংবা ডেভিট কার্ড এখন বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।  এতে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি আছে নানান অসুবিধাও; যদি না একটু সতর্কতা অবলম্বন না করেন। রইল বিস্তারিত...

 

আজকাল নগদ অর্থ বহনে অনেক ঝামেলা। তবে দিনবদলের পালায় কেনাকাটায় এখন আর নগদ অর্থের ঝক্কি নেই। শুধু কি তাই! রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বিল, বিমানের টিকিট কেনা, হোটেল বুকিংসহ সব কাজেই এখন হরহামেশা চলে কার্ডের ব্যবহার। তাই কার্ডে কেনাকাটায় জীবন এখন বেশ সহজ।

 

অনলাইনে কেনাকাটা কিংবা সরাসরি দোকানে গিয়ে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা ঘরে বসেই ই-কমার্সের মাধ্যমে যে কোনো লাইফস্টাইল পণ্য, টিকিট, খাবার কেনার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশে এখন বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা বিভিন্ন মার্চেন্ট আউটলেটে, হোটেলে, রেস্তোরাঁয়, আসবাব ও বৈদ্যুতিক কেনাকাটায় ছাড় পাবেন। সঙ্গে রয়েছে ৩ থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদ ও কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগ।

 

দেশের বাইরে গেলে : কার্ড যখন আছে, জীবন তখন খুব সহজ। দেশের বাইরেও খুব সহজে কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজন সেরে নেওয়া সম্ভব। টাকার পাশাপাশি ডলারেও লেনদেন করা যায়। হোটেল বুকিং, বিমান ভাড়া, রেস্টুরেন্ট ও কেনাকাটায় মেলে নানা ছাড় ও পয়েন্ট জেতার সুযোগ। বিদেশে থাকাকালীন কিংবা ভ্রমণে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

কার্ডে রেস্তোরাঁর বিল : টাকা বহন না করে কার্ডের মাধ্যমে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার বিল দিতে পারেন। বেশ কয়েকটি নামিদামি হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিল পরিশোধে রয়েছে ছাড়ের সুবিধাও।

 

কার্ডে হোটেল বুকিং : পরিবার নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে ঘুরতে যান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হোটেলের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুক করা যায়। এ ক্ষেত্রেও আপনি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। তবে বিদেশে হোটেল বুকিংয়ে ডুয়েল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড প্রয়োজন হবে।

 

কোন কার্ডে কী সুবিধা : কার্ড নেওয়ার আগে কোন কার্ডে কী সুবিধা আছে, তা জেনে নেওয়া ভালো। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্ডের বিভিন্ন সুবিধার কথা জানতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। জেনে-বুঝে সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি আপনার কার্ডটি বেছে নেবেন।

 

কার্ড নেবেন যেভাবে : ক্রেডিট কার্ড বিষয়টি এমন, যার সাহায্যে আপনি একটি ব্যাংক থেকে টাকা ধার করেন খরচ করার জন্য। এই ধার করা টাকার পরিমাণটিকেই মূলত ক্রেডিট কার্ডের ‘ক্রেডিট লিমিট’ বলা হয়ে থাকে। মাসিক আয় ৩০ হাজারের বেশি হলেই ব্যাংক আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দেবে। সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে ধার শোধ করলে সুদ গুনতে হবে না।

 

সতর্কতা : ক্রেডিট কার্ডের দিকে কিন্তু অপরাধীদেরও নজর আছে। এ জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সতর্কতা কমিয়ে দেবে কার্ডের তথ্য চুরি বা প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা। এ জন্য অনলাইনে কেবল পরিচিত ওয়েবসাইট থেকেই কেনাকাটা করা উচিত। সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটার ল্যাব বা এমন কোনো কম্পিউটার থেকে কোনো ধরনের কেনাকাটা করা উচিত নয়, যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ব্যবহার করে থাকে। একইভাবে দোকানে বা উন্মুক্ত স্থানে বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই থেকেও একই ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। যে পণ্য বা সেবার জন্য টাকা পরিশোধ করছেন, ঠিক সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মেশিনে ওঠানো হয়েছে কি না, তা মিলিয়ে নেওয়া উচিত। পাশাপাশি টাকা পরিশোধ করার যে নিশ্চিতকরণ ই-মেইল ও এসএমএস পেয়েছেন, সেটির সঙ্গেও মূল্য পরিশোধের পরিমাণ একই আছে কি না, দেখে নিন। কখনো যদি একই লেনদেনের জন্য একাধিকবার টাকা প্রদানের ঘটনা ঘটে, তবে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনলাইনে বা অফলাইনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেখানেই টাকা প্রদান করা হোক না কেন, মূল সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে নিন।

 

লিখেছেন : ফেরদৌস আরা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর