চুলের যত্নে তেল সবচেয়ে উপকারী। কিন্তু কোন তেল বেশি উপকারী, কোন তেল ব্যবহার করলে চুলের কী উপকারে আসবে তা অনেকেই জানেন না। জেনে নিন সেসব তেল সম্পর্কে...
কারও চুল রুক্ষ, কেউ ভোগেন অকালপক্বতায়। কারও চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা, আবার কেউ খুসকিতে নাজেহাল। কিন্তু চুলের অনেক সমস্যারই দাওয়াই তেল। যদিও একেক চুলের একেক রকম উপকারিতা। এ জন্য দরকার শুধু সঠিক তেল এবং সঠিক নিয়মে প্রয়োগ।
ফেমিনা ডটইন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভারতীয় ‘দ্য স্কিন সেন্স, স্কিন অ্যান্ড হেয়ার ক্লিনিক’-এর কসমেটোলজিস্ট বলেন, চুলের বৃদ্ধি ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রাচীনকাল থেকেই তেলের ব্যবহার প্রচলিত। চুল ফাটা, রুক্ষতা কমানো এমনকি খুশকির সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে চুল ঘন, শক্ত, সুন্দর ও লম্বা করতে তেল ব্যবহার করা উপকারী। রইল বিভিন্ন তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার-
নারিকেল তেল : এই তেলের ব্যবহার মাথার ত্বক মসৃণ রাখার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। চুল ঘন ও সুস্থ রাখতে এই তেল উপকারী। চুলের ক্ষয়রোধ ও শুষ্কতা দূর করতেও নারিকেল তেল চমৎকার কাজ করে।
ব্যবহারবিধি : আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে নারিকেল তেল মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে সারা রাত এই তেল মাথায় দিয়ে রাখতে পারেন।
তেল ছাড়া নিয়মিত চুলের পরিচর্যার ধাপ সম্পূর্ণ হয় না। আর অনেক উপকারি তেল রয়েছে যেগুলো এই কাজে ব্যবহার করা যায়
জলপাইয়ের তেল : চুল মসৃণ ও কোমল রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই এবং অলিয়েক অ্যাসিড চুলের জন্য উপকারী। এই তেল চুলকে গভীর থেকে মসৃণ করে আর্দ্র রাখে। আর কোমলতা ধরে রাখে। এ ছাড়াও চুল পাতলা হওয়ার প্রবণতা থেকে রক্ষা করে।
ব্যবহারবিধি : মাথার ত্বক ও চুলের শুষ্ক অংশে তেল ব্যবহার করতে হবে। তেল ব্যবহারের পর শাওয়ার ক্যাপ পরে ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
কাঠবাদামের তেল : চুলকে কোমল ও মসৃণ রাখে। এতে থাকা ভিটামিন-ই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আগা ফাটার সমস্যা রোধ করে চুলের ক্ষয়পূরণ করতে পারে। মাথার ত্বক খুব বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হলে এই তেল মাথার ত্বক ও চুলের সুরক্ষক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ব্যবহারবিধি : উজ্জ্বলতা বাড়াতে সামান্য পরিমাণ কাঠবাদামের তেল হাতের তালুতে মালিশ করে চুলে ব্যবহার করা উপকারী।
জোজোবা অয়েল : এই তেল গভীরভাবে চুল হাইড্রেট করে, ময়েশ্চার করে এবং চুলের গ্রন্থিকোষের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। খুশকি ও চুলের শুষ্কতা দূর করে চুলকে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। ফলে চুল সিল্কি দেখায়।
ব্যবহারবিধি : তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বক এড়িয়ে কেবল চুলে মালিশ করতে হবে। মাথার ত্বকের এই তেল লোমকূপকে আবদ্ধ করে চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
লেখা : উম্মে হানি