শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬

নিষ্ঠুর শাসক জোসেফ স্ট্যালিন

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
নিষ্ঠুর শাসক জোসেফ স্ট্যালিন

বিশ্বের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসকের মধ্যে এডলফ হিটলারের অবস্থান সবার শীর্ষে। এরপরই রয়েছেন জর্জিয়ান জোসেফ স্ট্যালিন। ইতিহাস সোভিয়েত ইউনিয়নের এ নেতার ভয়ঙ্কর সব অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে আছে। ‘জোসেফ স্ট্যালিন’-কে নিয়ে আজকের আয়োজন। লিখেছেন— জিয়াউদ্দীন চৌধুরী

 

ছেলেবেলার স্ট্যালিন

রুশ ভাষায় ‘স্ট্যাল’ অর্থ ইস্পাত ‘স্ট্যালনোই’ অর্থ ইস্পাত কঠিন! ‘লৌহমানব’ খ্যাত নিষ্ঠুর শাসক জোসেফ স্ট্যালিন। ১৮৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জন্ম। তিনি একজন সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন। দরিদ্র মুচির ঘরে জন্ম নেওয়া স্ট্যালিন ছেলেবেলা থেকেই ডানপিঠে। তিনি মূলত জর্জিয়ান। তার আসল নাম ‘জোসেফ বেসারিওনি জুগাসভিলি’। বহু কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতার মতো স্ট্যালিন হলো তার ছদ্ম নাম। ‘স্ট্যালিন’ ছদ্মনামের আগে তাকে  ‘কোবা’ এবং ‘সোসেলো’ নামে ডাকা হতো। সাত বছর বয়সে পক্সে আক্রান্ত হন। ১০ বছর বয়সে মিশন চার্চ স্কুল দিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। স্কুলে জর্জিয়ান শিশুদের রুশ ভাষা শিখতে বাধ্য করা হতো। ১২ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় বাম হাতটি চিরদিনের জন্য অচল হয়ে যায়। ১৬ বছর বয়সে জর্জিয়ান অর্থাডক্স বৃত্তি পান। কিন্তু সেখানে তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মীয় শাসনের বিরুদ্ধাচরণ করেন। ১৮৯৯ সালে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকায় তিনি বহিষ্কার হন। তবে সোভিয়েত নথি থেকে জানা যায়, তত্কালীন নিষিদ্ধ বই পড়ার দায়ে এবং গণতান্ত্রিক পাঠচক্র গড়ে তোলায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। স্কুল ছাড়ার পর লেনিনের লেখা পড়ে মার্কসবাদী বিপ্লবী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

 

>> রাজনৈতিক উত্থান

১৯০৩ সালে লেনিনের বলশেভিকে যোগ দেন স্ট্যালিন। কিছুকাল পরই তার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য জারের সিক্রেট পুলিশের নজরে পড়েন। বলাবাহুল্য, রুশ ভাষায় পুলিশকে ‘আখরান’ বলা হতো। এরপর তিনি পরিপূর্ণ বিপ্লবী হিসেবে গুপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বলশেভিক থেকে তাকে ককেশাস অঞ্চলের বিপ্লবী প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে তিনি গুপ্ত আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলেন। বিভিন্ন রকমের গুপ্তহত্যাসহ ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯০৭ সালে তিনি ‘তিফিলস’ ব্যাংক ডাকাতির জন্য চরমভাবে নিন্দিত হন। এ ঘটনায় প্রচুর হতাহত এবং দুই লাখ ৫০ হাজার রুবল বা সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার চৌর্যবৃত্তির জন্য তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিপ্লবের সময় তিনি বহুবার ধরা পড়েন ও সাইবেরিয়াতে নির্বাসিত হন। কিন্তু প্রতিবারই তিনি কোনো না কোনোভাবে পালিয়ে আসতে সমর্থ হন। শেষবার যখন তিনি আটক হন তখন তাকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বাধ্যতামূলক রুশীয় সেনাদলে যোগদানের আদেশ করা হয়। কিন্তু এতদিনের বয়ে বেড়ানো সেই ‘ভয়ঙ্কর অভিশাপ’ অচল হয়ে যাওয়া বাম হাত তাকে বাঁচিয়ে দেয়।

১৯২১ সালের রেড আর্মি (১৯১৮-১৯২২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সিভিল ওয়ারের কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের আধা সামরিক সংগঠনকে বলা হতো রেড আর্মি যা ১৯৩০ সালে বিশ্বের বৃহত্ সেনাবাহিনীর স্বীকৃতি পায়) জর্জিয়া আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন স্ট্যালিন। যার সফলতায় লেনিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। পার্টির প্রতি আনুগত্য, সাহসিকতা, নির্ভীক কর্মঠ স্ট্যালিনকে লেনিন ট্রটেস্কিসহ অন্যান্য বয়স্ক ও উচ্চপদস্থ পার্টি নেতাদের টপকে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে মনোনয়ন পান। ১৯২২ সালে লেনিনের প্রথম স্ট্রোকের পর স্ট্যালিন পার্টির প্রায় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি লেনিনকে বাইরের পৃথিবী থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এতে পার্টির বড় নেতারা বিরাগভাজন হন। লেনিনও ধীরে ধীরে স্ট্যালিনের স্বেচ্ছাচারিতা, অসুলভ আচরণ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পরিশেষে পার্টির সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্ট্যালিনের কূটচালে তা আর কখনো সম্ভব হয়নি। জনসম্মুখে লেনিনের শেষ ইচ্ছাপত্র সম্পূর্ণরূপে আর কখনো প্রকাশ পায়নি। উল্টোদিকে স্ট্যালিন হয়ে ওঠেন চরম প্রভাবশালী নেতা। তার বিরুদ্ধাচরণ করায় সেসব নেতাদের বহিষ্কার করেন। ট্রটেস্কিকে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। সেই থেকে স্ট্যালিনের দাম্ভিকতা শুরু। শুরু হয় চরম স্বেচ্ছাচারিতা আর নৃশংসতা। চলে ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত।

তিনি হত্যা করেছেন লেনিনগ্রাদের পার্টি প্রধান সের্গেই কিরভকে। তার তৈরি রুশ সিক্রেট পুলিশ ১৯৫৪ সালে কেগ্যাব্যা (কেজিবি) বা কমিতেত গসুদারস্তবিন্নি বেজাপাদনোস্তির জন্ম নেয়। যাদের মাধ্যমে স্ট্যালিন সুদূর মেক্সিকোতে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিভা ও লেনিনের ঘনিষ্ঠ সহচর লিওন ট্রটেস্কিকে হত্যা করেন। ট্রটেস্কি রুশ বিপ্লবের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি লেনিনের শিষ্য ছিলেন। লাল ফৌজ গঠনে তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। ১৯১২-১৩ সাল অবধি বল্কান যুদ্ধে সাংবাদিকতা করেন। এর মাঝে দু-দুবার সাইবেরিয়ায় নির্বাসন দণ্ড থেকে পালিয়ে আসেন। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। তিনি জার্মানির সঙ্গে বিশ্বযুদ্ধকালীন সন্ধি করেন। তিনি পলিটব্যুরোর সদস্য ছিলেন। ১৯২০ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হলেও স্ট্যালিনের সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। লেনিন অসুস্থ হলে ট্রটেস্কি বিপাকে পড়েন। লেনিনের মৃত্যুর পর স্ট্যালিন তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনেন। ১৯২৮ সালে সব ট্রটেস্কিপন্থি বহিষ্কৃত হন। ট্রটেস্কি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেন। এরপর ১৯৩৩ সালে ফ্রান্সে যান। ১৯৩৫ সালে নরওয়েতে যান, কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হন। এরপর মেক্সিকোতে আশ্রয় নেন।

স্ট্যালিন লেনিনের পাশাপাশি নিজের একটা ভিন্নধর্মী ইমেজ তৈরি করতে সচেষ্ট হন। তিনি নিজের নামে সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক শহর ও গ্রামের নামকরণ করেন। স্ট্যালিন শান্তি পুরস্কার নামে একটি পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। স্ট্যালিন সোভিয়েত ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি ব্যবস্থার প্রচলন করেন। তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় সবটুকুই অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ছিল। স্ট্যালিন দ্রুত শিল্পায়ন ও কৃষিকার্যের কেন্দ্রীয়করণের মাধ্যমে পুরো দেশটি অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন। কিন্তু একই সময়ে অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের দরুন কোটি কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যান। ১৯৩০-এর দশকে স্ট্যালিন নিজের ক্ষমতা শক্ত করার জন্য নিপীড়ন শুরু করেন, যার ফলে কমিউনিস্ট পার্টির শত্রু সন্দেহে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করা হয়, অথবা সাইবেরিয়া ও কেন্দ্রীয় এশিয়ার নির্যাতন কেন্দ্রে নির্বাসিত করা হয়। রাশিয়ার অনেক জাতিগোষ্ঠীকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উত্খাত করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।

স্ট্যালিনের শাসনকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয় এবং নািস জার্মানির পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের দুই পরাশক্তির একটিতে পরিণত হয়, যা ৪০ বছর পর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পূর্ব পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

‘মানবতার এক উজ্জ্বল প্রতিভা’ ‘সমাজতন্ত্রের গোড়াপত্তনকারী’ ‘জাতির পিতা’সহ অনেক উপাধি সাদরে বরণ করেছিলেন। সেই সঙ্গে নতুন করে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস লিখতে বাধ্য করেন, যা ১৯১৭ বিপ্লব থেকে শুরু করে পরবর্তীকাল পর্যন্ত তাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্ট্যালিন জাতীয় সংগীতে নিজের নাম ঢুকিয়ে দেন। তার মহত্কর্ম মানুষের হূদয়ে প্রথিত করার জন্য তিনি কবিতা, সাহিত্য, নাটক, সিনেমায় তাকে ভক্তি ভরে উপস্থাপনা ও তার মহান কর্মকাণ্ড ফলাও করে প্রচার করায় বাধ্য করেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, স্ট্যালিন ১৯৪৮ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন!

 

>> ভয়াবহতায় স্ট্যালিন

স্ট্যালিন শুধু দেশের সাধারণ মানুষের কাছেই নন, তিনি তার ঘরের মানুষের কাছেও খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার অত্যাচার-নিপীড়নে পরিবারের কেউ তাকে সমর্থন করত না। স্ট্যালিনের আমলে চার্চের ওপর দুর্যোগ নেমে আসে। ১৯১৭ সালে চার্চের সংখ্যা ছিল ৫৪ হাজার। পরবর্তীতে তার সংখ্যা কয়েকশতে নেমে আসে। বহু চার্চ তার নির্দেশে ধ্বংস করা হয়। হাজার হাজার পুরোহিত, যাজক ও ধর্মযাজীবাকে হত্যা এবং আটক করা হয়। তার মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগেও কয়েকটি ধর্মীয় গোষ্ঠী নিষিদ্ধ করেন। স্ট্যালিনের পীড়নে সাইবেরিয়া, মধ্য এশিয়া ও ককেশাস অঞ্চলে বহু ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর গতানুগতিক জীবন ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হয়। কথিত জাতীয়তাবাদী উত্থান দমন অভিযানে সোভিয়েত জনগোষ্ঠীর একটি অংশ উদ্বাস্তু হয়ে নানা দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। রোমান ক্যাথলিক চার্চ ব্যালস্টি, ইসলাম ও বৌদ্ধ ধর্মসহ অন্যান্য ধর্ম নিগৃহীত হয়। হাজার হাজার চার্চ, ইহুদি, গির্জা, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধবিহার মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এককথায় তিনি ধর্মদ্রোহী শাসকে রূপান্তরিত হন। সরকারিভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ, সোভিয়েত শাসনের বিরোধিতা এবং আগ্রাসী জার্মানদের সঙ্গে সহযোগিতাকে নির্বাসনে পাঠানোর মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, সেসব জাতিগোষ্ঠীকে পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জাতীয় পরিচয় নির্বিশেষে বিপুলসংখ্যক লোককে সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ায় নির্বাসনে পাঠানো হয়। স্ট্যালিনের শাসনামলে কত লাখ লোকের মৃত্যু ঘটেছে তা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ১৯২৬-৩৭ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অতিরিক্ত ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি লোকের মৃত্যু হয়। ১৯৩১-৩৪ সালের দুর্ভিক্ষে অধিকাংশ লোকের মৃত্যু হওয়ায় এ হার ছিল স্বাভাবিক। ১৯২৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সোভিয়েত ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৭০ লাখ, ১৯৩৭ সালের আদমশুমারিতে লোকসংখ্যা দাঁড়ায় প্রচারিত লোকসংখ্যার চেয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ। এ আদমশুমারিকে চৌর্যবৃত্তির শুমারি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। গণনাকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ১৯৩৯ সালে আবার আদমশুমারি করা হয়। স্ট্যালিনের সরাসরি সিদ্ধান্তে এ আদমশুমারির লোকসংখ্যা ১৭ কোটি বলে অপপ্রচার করা হয়। ব্যাপক লোকের মৃত্যুতে জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় সত্যতা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্ট্যালিনের দখলিকৃত ভূখণ্ডেও তার নিপীড়নমূলক নীতি সম্প্রসারিত হয়। তবে তা কখনো ১৯৩০-এর দশকের মতো চরম মাত্রায় পৌঁছেনি। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ১৯৪৮-৫৩ সালে ইহুদিবিরোধী অভিযান ছিল কেবলমাত্র ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক নির্যাতনের পূর্বাভাস মাত্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সত্যি হয়ে থাকলে বলতে হয় যে, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার আগে স্ট্যালিনের মৃত্যু হয়েছে।

 

 

>> বিবাহিত জীবন

তার পুরো জীবনের ঘটনাপ্রবাহ এবং দৈনন্দিন রুটিন দেখলে মনে হওয়ার কথা নয় যে, এই মানুষটার মনেও দয়ামায়া কিংবা প্রেম বলতে কিছু একটা থাকতে পারে। অসীম ক্ষমতাশালী এই মানুষটির জীবনে যুদ্ধবিগ্রহ ছাপিয়ে প্রেমও এসেছিল। বলা হয়ে থাকে স্ট্যালিন যখন ৩০ বছরের তরুণ তখন ১৩ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়েছিল। অবশ্য অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়, মেয়েটিকে স্ট্যালিন ধর্ষণ করেছিলেন। লিডিয়া নামের ওই মেয়েটিকে কেন্দ্র করে প্রচলিত এই গল্পকে স্ট্যালিনবিরোধীদের প্রচারণা বলে উড়িয়ে দেওয়া হলেও স্ট্যালিনের ব্যক্তিগত জীবনের দিকে তাকালেও প্রেমের অনেক চিহ্ন নজরে আসবে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ট্যালিন দুটি বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন ক্যাটরিনা ভ্যানিজ এবং দ্বিতীয় অ্যাডিজডা অ্যালিয়েভা। এর মধ্যে ক্যাটরিনার সঙ্গে মাত্র এক বছরের দাম্পত্যজীবন হলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে মোটামুটি এক যুগ সংসার করেন স্ট্যালিন। যার ঘরে তার প্রথম সন্তান ‘ইয়াকভ’-এর জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের অল্পকাল পরেই ইয়াকভ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। 

 

>> করুণ মৃত্যু

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি শুরু হয়। অতিরিক্ত ধূমপানের জন্য ‘অথেরোসেক্লরোসিস’ রোগে আক্রান্ত হন! ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে স্যালুট নেওয়ার সময় তিনি মস্তিষ্ক প্রদাহে আক্রান্ত হন! ১৯৪৫ সালে তিনি ফের হূদরোগে আক্রান্ত হন! ১৯৫৩ সালের পয়লা মার্চ ভোরে তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেরিয়া, ভাবী প্রধানমন্ত্রী জর্জি মালেকভ, নিকিতা খ্রুশ্চেভের সঙ্গে সারা রাত আড্ডা ও মুভি দেখা শেষে মস্কো সেন্টার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তার কুন্তোসভো রেস্ট হাউসে ঘুমাতে যান। ধারণা করা হয়, শোবার খানিকক্ষণ পরই তিনি ম্যাসিভ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন! স্ট্যালিনের কড়া আদেশ ছিল তিনি নিজ ইচ্ছায় ঘুম থেকে না উঠলে কেউ যেন না জাগায়। তার দেহরক্ষী ও পাহারাদাররা ভেবেছিলেন রাত জাগার কারণে তিনি দীর্ঘক্ষণ ঘুমাচ্ছেন। রাত তখন ১০টা প্রায়-স্ট্যালিন তখনো তার শয়নকক্ষে জেগে আছেন কি ঘুমাচ্ছেন কারও কোনো ধারণা নেই। সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন। কারোই সাহসে কুলোচ্ছে না তাকে জাগানোর। অবশেষে ঝুঁকি নিয়ে ‘কুন্তোসভো’র সহকারী কমান্ডার স্ট্যালিনের শয়নকক্ষের দরজা খোলা মাত্রই ভয়ে আতঙ্কে তার মিলিটারি খোলস থেকে বেরিয়ে চিত্কার করে উঠলেন! দৃশ্যটা সত্যিই আতঙ্কিত করার মতো ছিল; লৌহমানব স্ট্যালিন তার নিজের মূত্র গায়ে মেখে মেঝেতে জবুথবু হয়ে পড়ে আছেন। সবাই ভেবেছিল স্ট্যালিন মারা গেছেন, কিন্তু তিনি তখনো বেঁচে ছিলেন। ২ মার্চ সকালে ডাক্তার এসে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি। শুধু পোশাক পাল্টে পরিষ্কার

বিছানায় শুইয়ে দেওয়া ছাড়া তার আর কিছুই করার ছিল না। ৫ মার্চ ১৯৫৩ সালে ৭৪ বছর বয়সে স্ট্যালিন মৃত্যুবরণ করেন।

 

>> শৌখিন স্ট্যালিন

স্ট্যালিন মদ খেতেন কিন্তু কখনই বেএখতিয়ার হতেন না। তার রাশিয়ান ভদকার থেকে জর্জিয়ান ওয়াইন অনেক প্রিয় ছিল। তবে রাশিয়ান ঐতিহ্যবাহী খাবার তিনি বেশ পছন্দ করতেন। তার প্রিয় ছবি ছিল আমেরিকান ‘ওয়েস্টার্ন ফিল্ম’। ছুটির অবসরে তিনি তার উচ্চ পদমর্যাদার রাজনৈতিক সহচরদের নিয়ে ‘ক্রেমলিন মুভি থিয়েটারে’ সিনেমা  দেখতেন। বিদেশি ছবির সরাসরি অনুবাদক ছিলেন ‘ইভান বলশাখভ’। সদা হাস্যময় ইভান বলশাখভের মোহনীয় অনুবাদে সবাই দারুণ আমোদিত হতেন! স্ট্যালিনের প্রিয় মুভির তালিকায় ছিল ‘চার্লি চ্যাপলিন’। তবে তিনি কখনই চলচ্চিত্রে নগ্নতাকে প্রশ্রয় দিতেন না। কোনো মুভিতে নগ্নতা প্রদর্শিত হলে তিনি খানিকটা রেগে গিয়ে উচ্চৈঃস্বরে বলতেন, ইভান তুমি কি এটাকে বেশ্যালয় বানাতে চাইছ’? স্ট্যালিনের ২০ হাজার বইয়ে ঠাসা একখানা ব্যক্তিগত লাইব্রেরি ছিল। তিনি নাকি একদিনে পাঁচশ পৃষ্ঠা অবধি পড়তেন!

 

>> ভাষা বিতর্ক

স্ট্যালিন বলেন, ভাষা সামাজিক ভিত্তির কোনো অবকাঠামো নয়। সমাজের ভিত্তি হলো অর্থনৈতিক কাঠামো এবং সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক, দার্শনিক, আইনগত, ধর্মীয়, শিল্প সাংস্কৃতিক বিভিন্ন মত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ  সেই অর্থনৈতিক কাঠামোর অবকাঠামো। এ কারণে কাঠামো যখন পাল্টায়, তখন অনিবার্য কারণেই অবকাঠামো পাল্টায় বা পর্যায়ক্রমে অপসৃত হয়। নতুন কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করে নতুন এক অবকাঠামো। কিন্তু ভাষা এ রকম পরিবর্তনশীলতার স্রোতে পড়ে না, কেননা ভাষা অবকাঠামোর চেয়ে রেডিক্যালি আলাদা। ভাষার এই  রেডিক্যাল দিক তুলে ধরেন স্ট্যালিন সোভিয়েত রাশিয়ার সমাজ বিপ্লবের উদাহরণ দিয়ে। তিনি বলেন, এখানে বিপ্লব হয়েছে, বিপ্লব-পূর্ব পুঁজিবাদী কাঠামো ও অবকাঠামোগুলোও অপসৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার ভাষার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি, পরিবর্তন হয়নি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্য কোনো ভাষারও। নতুন এক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা, উত্পাদন ব্যবস্থা এবং নতুন সামাজিক সম্পর্ক এবং নৈতিকতার কারণে, তা ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশের সঙ্গে সম্পৃক্তি ঘটায় বিভিন্ন ভাষার শব্দভাণ্ডারে। অবশ্য অনিবার্যভাবেই যুক্ত হয়েছে নতুন অনেক শব্দ, নতুন অনেক প্রকাশ ভঙ্গিমা। এর ফলে অনেক শব্দ ও প্রকাশ ভঙ্গিমার অর্থ পাল্টে গেছে, অনেক শব্দ নতুন করে তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং কিছু শব্দ বাদও পড়ে গেছে শব্দের ভাণ্ডার  থেকে। কিন্তু তার মানে এই নয়, ভাষা বদলে গেছে, কেননা ভাষার বুনিয়াদ নির্মিত হয় তার মৌলিক শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে, যা সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরও কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ছাড়াই নিজের সামগ্রিকতা সংরক্ষণ করতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
ঢাকা কলেজে শুভসংঘের উদ্যোগে ‘দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা
ঢাকা কলেজে শুভসংঘের উদ্যোগে ‘দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা

এই মাত্র | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্বে শোয়েব আখতার
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্বে শোয়েব আখতার

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাতে কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা সামগ্রী উপহার
শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাতে কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা সামগ্রী উপহার

২০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজায় ইসরায়েলের হামলা 'বিপজ্জনক উসকানি' : হামাস
গাজায় ইসরায়েলের হামলা 'বিপজ্জনক উসকানি' : হামাস

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯৭ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯৭ মামলা

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

২৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩
নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর
জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে সাহিত্য আড্ডা
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে সাহিত্য আড্ডা

৪০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ
দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে
পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৮৩
ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৮৩

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি
অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা