শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৫ এপ্রিল, ২০২০ আপডেট:

কেমন হবে করোনা-পরবর্তী বিশ্ব

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। করোনাভাইরাসের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া, যার প্রভাব দেখা যাবে ভবিষ্যতেও। করোনা মহামারীর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্ব যেভাবে বদলে যেতে পারে তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া নানা মতামত নিয়েই আজকের রকমারি...
সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
কেমন হবে করোনা-পরবর্তী বিশ্ব

জাতীয় নিরাপত্তা  এবং গুপ্তচরবৃত্তি

অনেক দিন থেকেই মানুষের একটা আশঙ্কা ছিল যে, সন্ত্রাসীরা বা কোনো গোষ্ঠী হয়তো যে কোনো সময় জীবাণু অস্ত্র ছেড়ে দিতে পারে। এখন এ আশঙ্কা অনেকে বাস্তব মনে করছেন। তা ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক গোষ্ঠী হয়তো জীবাণু অস্ত্রের কথা নতুন করে ভাবতে বসবে। ফলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য যথাযথ দক্ষতাসম্পন্ন লোকের প্রয়োজন হবে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কাজ করতে হবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরও। বার্তা সংস্থা বিবিসি বলছে, বর্তমান করোনা সংকটের পর এ ধারণা আরও বদ্ধমূল হবে। কারণ ইতিমধ্যেই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, কোনো কোনো চরম দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাস ছড়ানোর কথা ভেবেছে। তবে আমেরিকার বিচার বিভাগ বলেছে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ আনা যাবে। বর্তমান সংকটের পর একটা প্রশ্ন সামনে আসতে পারে যে যেসব দেশের অভ্যন্তরীণ নজরদারি ব্যবস্থা উন্নত তারা এ ধরনের ভাইরাসের বিস্তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে কতটা আগ্রহী বা উদ্যোগী হবে!

বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা গর্ডন করেরা বলছেন, গোয়েন্দারা যত গোপন তথ্যই সরবরাহ করুক না কেন, ক্ষমতার শীর্ষে যারা আছে তারা এসব তথ্য কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে এবং তা কাজে লাগাচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে এসব তথ্য শেষ পর্যন্ত মানুষের কতটা উপকারে আসবে। যে তথ্য মানুষের চলাচল সীমিত করে এর আরও ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে কাজে লাগবে। সোজা কথায়, স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য দেশগুলোর ওপর ভবিষ্যতে দেশের ভিতরে যেমন, তেমনি বাইরেও আন্তর্জাতিক পরিসরে চাপ বাড়বে। তবে ভবিষ্যতে আসল পরিবর্তন আমরা দেখব আরও জটিল তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে। যেমন একটা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কোনো ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে কিনা, তা বুঝতে বা খুঁজতে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বজুড়ে যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে নিশ্চিত করেই বলা যায়, ভবিষ্যতে মানুষের নিরাপত্তায় অনেকখানি মাথাব্যথার কারণ হবে জৈব-অস্ত্র। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে দেশে দেশে আলাদা এক বা একাধিক সংস্থাকে কাজ করতে হবে। আবার এমনটাও হতে পারে যে, এ ধরনের সমস্যা যেহেতু বৈশ্বিক। তাই আন্তর্জাতিকভাবেও এক বা একাধিক সংস্থা প্রতিটি দেশে এবং বিপজ্জনক গোষ্ঠীগুলোর ওপর নজরদারি শুরু করবে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের জন্য এ মুহূর্তে বড় প্রশ্ন- এ সংক্রমণের ধাক্কা সরকারের প্রশাসন ও তার সামরিক শক্তিকে কতটা দুর্বল করে দিতে পারে এবং তার থেকে কে কোন দিক দিয়ে কী ধরনের সুযোগ নিতে পারে। কিছু গোয়েন্দা সংস্থা এ ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই কিছু কাজ করেছে। যেমন জানা গেছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এক অভিযান চালিয়ে এক লাখ টেস্টিং কিট বিদেশ থেকে আনিয়েছে। এখন সময়ই বলে দেবে ভবিষ্যতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তি কোন পথে এগোচ্ছে।

নিশ্ছিদ্র নজরদারি

ইতিমধ্যেই বদলে গেছে পৃথিবীর চেহারা। পুরো মানব জাতি আজ সংকটের মুখে। করোনা-পরবর্তী সময়ে কেমন হবে বিশ্ব, তা নিয়ে গবেষকরা দিচ্ছেন নানা মত। অনেকে মনে করছেন ভবিষ্যতে নাগরিকদের কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হতে পারে। শুধু আপনি কী করছেন তা-ই নয়। এমনকি আপনার শারীরিক অবস্থার সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে সরকারের কাছে। ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়াহ হারারি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বলেছেন, এখন পর্যন্ত আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনে কোনো লিঙ্কে আপনি যখনই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিক করেছেন, সরকার শুধু জানতে চেয়েছে, কিসের লিঙ্কে আপনি ক্লিক করেছেন। কিন্তু এই করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের ফোকাসটা সরে গেছে অন্যদিকে। এখন সরকার জানতে চায়, আপনার আঙ্গুলের তাপমাত্রা কত, ত্বকের নিচে আপনার রক্তের চাপ কত।

মহামারী আটকাতে হলে গোটা জনগোষ্ঠীকে একটা নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। না হলে বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না। ইউভাল নোয়াহ হারারি দুটি উপায়ের কথা বলেছেন। একটা হচ্ছে সরকার তার জনগণকে নজরদারির মধ্যে রাখবে এবং নিয়মকানুন মেনে না চললেই শাস্তির ব্যবস্থা। আগে নাগরিকের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারির কথা ভাবতেও পারত না কেউ। এখন সরকারগুলো দেশের সবখানে ছড়িয়ে থাকা সেন্সর আর শক্তিশালী অ্যালগরিদমের মাধ্যমে কাজটা করতে পারে খুব সহজেই।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে বেশ কয়েকটি দেশের সরকার ইতিমধ্যেই নতুন সব সারভেইল্যান্স টুল ব্যবহার করেছে এবং করছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে চীনে। আমজনতার স্মার্টফোন খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে, কয়েক শ মিলিয়ন ফেস-রিকগনাইজিং ক্যামেরা ব্যবহার করে, জনগণকে নিজেদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং অবস্থা রিপোর্টে বাধ্য করে চাইনিজ সরকার শুধু দ্রুত ভাইরাস বাহক শনাক্তকরণই নয়, সেই বাহকের চলাফেরা ট্র্যাক থেকে শুরু করে কাদের সংস্পর্শে ভাইরাস বাহক ছিল তাও বের করে ফেলেছে অসম্ভব দ্রুতগতিতে। ফলে করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশে দেশে এ ব্যবস্থা সব নাগরিকের ওপর প্রয়োগ করা হলে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না।

গুরুত্ব বাড়ছে রোবটের

শিল্প-কারখানায় উৎপাদনকাজে ক্রমেই রোবটের ব্যবহার বাড়ছে। ধীরে ধীরে যন্ত্রের দখলে চলে যাচ্ছে শ্রমবাজার। আর এবার করোনার প্রাদুর্ভাবে আরও প্রকট আকার দেখা দিচ্ছে। কারণ মানবকর্মীর কারণে বন্ধ রাখতে হচ্ছে কলকারখানা। এদিক থেকে রোবটের কাছে হেরে যাচ্ছে মানুষ। তাই মানবশ্রমিকের প্রয়োজন ফুরিয়ে যেতে বসেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে শ্রমবাজারের ৫২ ভাগই চলে যাবে রোবটের দখলে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এ খবর জানিয়েছে আরও আগেই। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যত মানুষ কর্মরত রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের অর্ধেকই ছাঁটাইয়ের কবলে পড়বেন। সেই জায়গায় কাজ করবে যন্ত্রচালিত রোবট। আর এ আশঙ্কা বাস্তবে পরিণত করতে এর পেছনে কাজ করতে পারে করোনার প্রাদুর্ভাবও।

পতনের দিকে আমেরিকা

করোনার সংক্রমণ ও এর বিশ্বায়নের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে বড় সংকটে পড়তে যাচ্ছে এককেন্দ্রিক বিশ্বকাঠামোর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুরুতে তেমন একটা পাত্তা না দিলেও বর্তমানে আমেরিকায় করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪০৬ জনের। তবে আমেরিকার শক্তির অবক্ষয়ের পেছনে বেশ কিছু উপাদান সক্রিয়। এগুলো হচ্ছেÑ চীনের অর্থনীতির বিস্ময়কর উত্থান। আরও রয়েছে পারমাণবিক শক্তির ক্রমবিস্তৃতি, মুক্তবাণিজ্যে অনেক দেশের অনীহা, সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয় বেড়ে যাওয়া, ফলে অনিবার্যভাবে সামরিক খাতে ব্যয় সংকোচন করতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত মিত্র যেমন ইউরোপ ও জাপানের শক্তি কমে যাওয়া।

বিশ্ব নেতৃত্বে চীন!

করোনা পরবর্তী বিশ্বে বৈশ্বিক নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র না চীন? চীনের উহানে করোনা সংক্রমণ শুরু হলেও সেখান থেকে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরো চীনেই এখন অর্থনীতির চাকা সচল। তাদের অর্থনীতিবিদরা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আগামী মাস থেকে তাদের অর্থনীতির গতিপথ নতুন দিকে যাবে। করোনা শনাক্তের কিট থেকে শুরু করে এর সংক্রমণ রোধে কার্যকর উপায়, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহসহ এ দুর্যোগকালীন সবাই চীনের দিকে তাকিয়ে আছে। সা¤প্রতিক সময়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিংয়ের দেওয়া দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্ব বহন করছে। বৈশ্বিক নেতৃত্বের বদলের ধরনটি হচ্ছে, শুরুতে অতি ধীরগতিতে এর বদল শুরু হয়। পরে হঠাৎ করেই দেখা যায় সব ওলটপালট হয়ে গেছে। এতদিনের চিরচেনা বিশ্ব করোনা পরবর্তী সময়ে যে আগের মতো থাকবে না এটা নিশ্চিত। যার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব নেতৃত্বে- এ কথা বলাই যায়। বিশ্বের নেতৃত্ব যে গোষ্ঠীর হাতে ছিল এখন আর তা নেই। অনেকেই মনে করছেন ভবিষ্যতের পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে চীন।

অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা

বিগত কয়েক বছর ধরেই ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা আর তথ্যের প্রাচুর্যতার কারণে অনলাইন এডুকেশন ব্যাপারটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে তারা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন যাদের জন্য সময়, অর্থ এবং শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের সব কিছু ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক দেশ তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে অনলাইন এডুকেশন চালু করেছে। এটি ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকহারে চালু হতে পারে। শিক্ষা এখন সার্বজনীন, এখন কোনো নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোর্স করার জন্য সুদূর পথ পাড়ি দিতে হয় না, বরং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই সেই শিক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব। ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ইউনিভার্সিটি অব ফিওনিক্স-এর মাধ্যমে অনলাইন এডুকেশনের যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এটি প্রায় ৩৪ বিলিয়নের ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে অনলাইন এডুকেশনের হাত ধরেই লাখ লাখ শিক্ষার্থী তাদের জীবনকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ঘরে বসেই অফিস

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়ে চলায় এবার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কর্মীদের ঘরে বসেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। যেমন আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের ইউরোপিয়ান প্রধান কার্যালয় থেকে প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। গুগলের এমন সিদ্ধান্তের পর বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করা মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার সারা বিশ্বে থাকা নিজেদের কর্মীদের ঘরে বসেই অফিসের কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। করোনার কারণে ছুটে চলা মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছেন ঘরের চার দেয়ালের মাঝে। গতানুগতিক জীবনে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন, যা মানুষ নিজের চিন্তার জগতে সীমাবদ্ধ রখেছিল এত দিন। এক সময় স্বপ্ন বলে ভাবা পন্থাগুলো সময়ের হাত বদলে বাস্তব হয়ে সামনে দাঁড়িয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘরে বসে অফিস করলে ১৬.৮ ভাগ বেশি কাজ করতে পারছে মানুষ। বছরে সামগ্রিকভাবে এ কাজের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। ফলে এখন এটা নিয়ে অনেকেই মনে করছেনÑ বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলো এমন সিদ্ধান্তে স্থায়ীভাবে চলে আসতে পারে। আবার দেখা গেছে, বাসায় বসে অফিসের কাজ করলে মানুষের জীবনযাত্রাও অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। মানসিক দিক থেকেও অনেকখানি ভালো থাকতে পারবে মানুষ।

বাড়বে বেকারত্ব

করোনার কারণে পুরো বিশ্বে নেমে এসেছে অর্থনৈতিক ধস। প্রতিনিয়তই দেশে দেশে বাতিল হচ্ছে কলকারখানার অর্ডার। সবকিছু কবে স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কেউ কিছু জানে না। করোনা-পরবর্তী সময়ে বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে শুরু করতে পারলেও ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে চিরতরে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়বে মানুষ। উৎপাদন না হলে, বিক্রি হবে না। মানে লাভ হবে না। যার অর্থ, কর্মী নিয়োগ হবে না। ব্যবসাগুলো স্বল্প সময়ের জন্য অনাবশ্যক কর্মীদের ধরে রাখে এ আশায় যে, পরিস্থিতি ফিরে এলে যাতে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বেশি খারাপের দিকে এগোলে তারা আর কর্মীদের ধরে রাখে না। মানুষ চাকরি হারানোর ভয়ে থাকে। ফলে তারা পণ্য কেনেও কম। আর পুরো চক্র নতুন করে শুরু হয়। আমরা এগোতে থাকি অর্থনৈতিক মন্দার দিকে। এখন পুরো বিশ্ব সেদিকেই যাচ্ছে। ফলে রোবট নিয়োগ বৃদ্ধি পেতে পারে কলকারখানাগুলোয়। এতে চাকরি হারাবে কোটি কোটি মানুষ। করোনা প্রাদুর্ভাবের ফলে যে বেকারত্ব তৈরি হবে, এতে কত লোক যে বেকার হবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।

 

বাড়বে সচেতনতা, কমবে অর্থহীন কাজ

মানুষ নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে জীবনধারণ করতে পারে না। তাকে নানা রকম বৈচিত্র্যময় কাজ করতে হয়। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ অর্থহীন কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতির করুণ অবস্থার একাংশের জন্য দায়ী এসব কাজ। এ মহামারী বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, অনেক কাজের কোনো দরকার নেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাজে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। যে সমাজে অর্থনীতির মূল নীতিমালা হচ্ছে বিনিময়মূল্য। যেখানে জীবনযাপনের মৌলিক প্রয়োজন বাজারেই পাওয়া যায় সেখানে মানুষ অর্থহীন কাজ করতে আকর্ষণ বোধ করে। কিন্তু ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের পর মানুষ এসব কাজ থেকে দূরে সরে আসবে। এতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে।

ভ্রমণের ক্ষেত্রে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা-পরবর্তী বিশ্বে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন। ইউভাল নোয়াহ হারারি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বলেছেন, যে জিনিস দরকার তা হচ্ছে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক চুক্তি। মাসের পর মাস আন্তর্জাতিক ভ্রমণসূচি বাতিল করে দিলে কঠিন একটি অবস্থা তৈরি হবে। জরুরি কাজে ভ্রমণার্থী যেমন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীদের জন্য দেশগুলোর দরকার একে অপরকে সহযোগিতা করা। এক্ষেত্রে ভ্রমণার্থীদের প্রথমেই নিজেদের দেশে প্রি-স্ক্রিনিং করে ছাড়পত্র দেওয়ার পর গন্তব্যের দেশটি অনুমতি দেবে, এ শর্তে খুব সহজেই দেশগুলো একটি মতৈক্যে পৌঁছাতে পারে। খুব সাবধানে এবং যতœ নিয়ে স্ক্রিনিং করার পর ছাড়পত্র পাওয়া একজন ভ্রমণার্থীকে আরেকটি দেশ সাদরেই গ্রহণ করতে পারে।

অর্থনৈতিক সংকট হবে দীর্ঘমেয়াদি

ওইসিডি-প্রধান বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে অনেক বছর সময় লেগে যাবে। ওইসিডির মহাপরিচালক এঞ্জেল গুরিয়া বলেছেন, এ মহামারী থেকে যে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তার থেকে বেশি বড় হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এর আকস্মিকতা। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ওইসিডি সরকারগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা যেন তাদের ব্যয়নীতি ভুলে গিয়ে দ্রুত ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে এবং ভাইরাসের চিকিৎসার পেছনে মনোযোগ দেয়। করোনাভাইরাস গুরুতর আকারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেকে কমে তা ১ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে স¤প্রতি যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, গুরিয়া বলেছেন তা এখন খুবই আশাবাদী একটা পূর্বাভাস বলেই মনে হচ্ছে। মি. গুরিয়া বলেছেন, কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন এবং কোম্পানিগুলোর কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এই বিভাগের আরও খবর
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের  মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের মৃত্যুদন্ডের ইতিহাস
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
সর্বশেষ খবর
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১৯ মিনিট আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

২২ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

৩২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম