শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১ আপডেট:

রহস্যময়ী নেফারতিতি

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রহস্যময়ী নেফারতিতি

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় সভ্যতা হচ্ছে মিসরীয় সভ্যতা। আর সেই রহস্যে ঘেরা সভ্যতার এক ঐতিহাসিক চরিত্র নেফারতিতি। মিসর তো বটেই গোটা পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সুন্দরীদের একজন মানা হয় নেফারতিতিকে। আর মিসরীয় সভ্যতার ‘সিগনেচার’ বা চিহ্ন হিসেবে পিরামিড আর মমির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই সুন্দরীর আবক্ষ মূর্তির ছবি বা প্রতিলিপি।  এই ফারাও সম্রাজ্ঞীর প্রহেলিকাময় আবক্ষ মূর্তিটি সারা বিশ্বে প্রচন্ড জনপ্রিয় এবং আগ্রহের বিষয়। মিসরের ফারাও সম্রাজ্ঞীদের মধ্যে,  এমনকি তখনকার মিসরবাসীর মধ্যেও তার রূপ ছিল কিংবদন্তির মতো

 

আখেনাতেন-নেফারতিতি

সেই আবক্ষ মূর্তির নারীটি...

মিসর তো বটেই গোটা পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সুন্দরীদের একজন মানা হয় নেফারতিতিকে। আর মিসরীয় সভ্যতার ‘সিগনেচার’ বা চিহ্ন হিসেবে পিরামিড আর মমির পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই সুন্দরীর আবক্ষ মূর্তির ছবি বা প্রতিলিপি। এই ফারাও সম্রাজ্ঞীর প্রহলিকাময় আবক্ষ মূর্তিটি সারা বিশ্বে প্রচন্ড জনপ্রিয় এবং আগ্রহের বিষয়। মিসরের ফারাও সম্রাজ্ঞীদের মধ্যে, এমনকি তখনকার মিসরবাসীর মধ্যেও তার রূপ ছিল কিংবদন্তির মতো। যিশুখ্রিস্টের জন্মেরও ১৩৭০ থেকে ১৩৩০ বছর আগ পর্যন্ত নেফারতিতির ইতিহাস খুঁজে পাওয়া গেছে। আর ঠিক এরপর থেকেই মিসরের সব ঐতিহাসিক দলিল, দস্তাবেজ থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। প্রত্নতাত্তি¡ক জিনিসপত্রে তার আর কোনো চিহ্ন রক্ষিত হয়নি যেমন রক্ষিত রয়েছে অন্য ফারাও আর তাদের সম্রাজ্ঞীদের স্মৃতি। নেফারতিতি নামের অর্থ হলো সুন্দর আসছে। নেফারতিতি বিয়ে করেন ফারাও তৃতীয় আমেনহোটেপের সন্তান আখেনাতেনকে যিনি পরবর্তী ফারাও হিসেবে রাজত্ব করেন চতুর্থ আমেনহোটেপ হিসেবে। তিনি ছিলেন মিসরের অষ্টাদশ রাজবংশের ফারাও। তার সঙ্গে একাত্ম হয়েই মিসর শাসন করেন নেফারতিতি। ধারণা করা হয় নেফারতিতি ও আখেনাতেনের মধ্যে ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না যা সাধারণত মিসরীয় ফারাওদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। নেফারতিতির জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায়নি বলেই তিনি এত রহস্যের কারণ। তবে ধারণা করা হয়, তিনি রাজ রাজবংশের একজন ছিলেন। তিনি ঠিক কোথায় জন্মেছিলেন এখনো সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গেছে। কারও কারও মতে তিনি আখমিম শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন তিনি মিসরের বাইরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বেশির ভাগের মত হলো নেফারতিতি ছিলেন আয়ের কন্যা। আয় ছিলেন ফারাওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি তিন তিনজন ফারাওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন এবং ধরা হয় তিনি ফারাও তুতেনখামেনের রাজ্যের অন্যতম শক্তি ছিলেন। এই তুতেনখামেন হচ্ছে নেফারতিতির সৎ ছেলে। আর পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র তার মমি বা সমাধিই অবিকৃত অবস্থায় আবিষ্কৃত হয়।  আর এই মমির অভিশাপে অনেক মানুষের মৃত্যু হয় যেটি ইতিহাসে তুতেনখামেনের মমির অভিশাপ নামে বিখ্যাত।

 

পাল্টে দিলেন ধর্ম ব্যবস্থা

বহু ঈশ্বরের ধারা ভেঙে দেওয়া সেই সময়ের মিসরে সহজ কাজ ছিল না। শক্তিশালী পুরোহিতদের বিরোধিতা এবং জনগণের আপত্তির মুখেও এই কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গেছেন আখেনাতেন। কিন্তু তার একার পক্ষে সব করা সম্ভব ছিল না। স্ত্রী নেফারতিতি সব সময় তার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। আবার কারও কারও মতে, এই বিশাল কর্মকান্ডের মূল হোতা ছিলেন নেফারতিতিই। নতুন ধর্ম মতে আমূল বদলে গেল মিসরীয় জীবনধারা। প্রথমত আমেনহোটেপ তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন, আখেনাতেন। আখেনাতেন মানে হচ্ছে আতেনের পুত্র। আতেন [সূর্য দেবতা]-এর উপাসনার ধরন একটু অন্যরকম ছিল। এই দেবতার উপাসনা দিনের আলোতে বাইরে সবার সামনে হতো। এর আগে আমুন-রা এর উপাসনা পুরোহিতেরা অন্ধকার মন্দিরগুলোর ভিতরে রহস্যময় কায়দায় করতেন। সাধারণ মানুষের সেই উপাসনার সঙ্গে তেমন যোগাযোগ থাকত না। নতুন দেবতা এবং নতুন উপাসনার ফলে সৃষ্টিকর্তা এবং জনগণের মাঝে শুধু একটি সত্তাই রয়ে গেল। তিনি হলেন ফারাও আমেনহোটেপ বা আখেনাতেন স্বয়ং। ফলে পুরোহিতদের গুরুত্ব চরমভাবে হ্রাস পেল। উপাসনার জন্য দেবতাকে উৎসর্গে পুরোহিতরা যে অর্থ জনগণ থেকে নিতেন, সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, আখেনাতেন হুকুম দিলেন কার্নাকের মন্দিরের সব জৌলুস সরিয়ে দিতে। সাম্রাজ্যের নানা প্রান্তে তার আদেশে আমুন-রা এবং অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তি সরিয়ে ফেলা শুরু হলো। থেকে গেল শুধু এক ঈশ্বর আতেন বা সূর্য। আর সেই সঙ্গে বাড়তে থাকল পুরোহিতদের ক্ষোভ। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না আখেনাতেনের।

খুব বেশি দিন বেঁচে থাকতে পারলেন না তিনি। সূর্য দেবতার শহরের কাজ শেষ হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। এরপরই ঘটে সেই অবিস্মরণীয় পরিবর্তন। মিসরের ফারাও হন নেফারতিতি।  নেফারতিতির তত্ত¡ বধানে আতেন দেবতার আখেতাতেন শহরের কাজ আরও জোরেশোরে শুরু হয়। এর মধ্যেই নেফারতিতির মৃত্যু হয়। আখেনাতেন এবং নেফারতিতির কোনো ছেলে ছিল না, ছিল ছয় মেয়ে। তাই নেফারতিতির মৃত্যুর পর পুরোহিতেরা আখেনাতেনের অন্য রানীর আট বছর বয়স্ক ছোট ছেলে তুতেনখামেনকে মিসরের ফারাও নির্বাচন করেন। বালক তুতেনখামেনকে সিংহাসনে বসিয়ে, পুরোহিতরা সমগ্র মিসরকে আগের অবস্থায় নিয়ে যান। আখেতাতেন শহরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়, আবার পুরোদমে উপাসনা শুরু হয় কার্নাকের মন্দিরে। সূর্য দেবতা আতেনের বিদায় হয় এবং  আবার শুরু হয় দেবতা আমুন-রা এবং অন্য সব দেবদেবীর উপাসনা।

 

চলছে সূর্য দেবতা আতেনের উপাসনা

বহু ঈশ্বর থেকে একেশ্বরে

ফারাওরা মিসরে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা হিসেবে শাসন করতেন। তাদের ছিল অনেক দেবদেবী, অর্থাৎ তারা বহু ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। ফারাওয়ের পরই ছিল শক্তিশালী পুরোহিত গোষ্ঠী। মূলত এদের দ্বারাই শাসিত হতো মিসর। তারা নানা দেবদেবীর উপাসনা করতেন। মন্দিরগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকত। জনগণ এবং ঈশ্বরের মাঝে থাকতেন শুধু ফারাও এবং তার পুরোহিত বাহিনী। এই বহু ঈশ্বরবাদে পরিবর্তন আসে নেফারতিতি-আখেনাতেনের সময়। তখন মিসরে নানা দেবদেবী এবং সবচেয়ে শক্তিশালী দেবতা আমুন-রায়ের উপাসনা হতো। কার্নাকের মন্দির ছিল প্রধান উপাসনালয়। আমেনহোটেপ [আখেনাতেন] আমুন-রাকে দেবতা হিসেবে অস্বীকার করেন এবং অন্য সব দেবদেবীকেও নাকচ করে দেন। তিনি নিয়ে আসেন নতুন সৃষ্টিকর্তা আতেনের ধারণা। মিসরের এটাই প্রথম এলো একেশ্বরবাদী চিন্তাধারা। আতেন মূলত সূর্য দেবতা। আমেনহোটেপ একমাত্র দেবতা আতেনের উপাসনা করতেন। তখনই তার নাম পাল্টে আখেনাতেন হয়। এক্ষেত্রে তার স্ত্রী নেফারতিতিও অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তারা দুজনে মিলে সূর্য পূজার নতুন ধর্মের প্রচলন করেন এবং তারা দুজন ছিলেন এই ধর্মের কান্ডারি। তাদের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ সূর্য দেবতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করত।  তারা একটি শহরও প্রতিষ্ঠা করেন এই সূর্য দেবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এই শহরে খোলা আকাশের নিচে এখনো কিছু সূর্য দেবের উপাসনালয় আছে।

 

ক্লিওপেট্রার চেয়েও সুন্দরী!

জন্ম বা বংশ বৃত্তান্ত যা-ই থাক তিনি যে সুন্দরী হিসেবে কিংবদন্তি ছিলেন তাতে দ্বিমত ছিল না কারও। পুরুষকে নাচানো তো বটেই রাজ্য শাসন এবং কূটনীতিতেও অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন নেফারতিতি। ক্লিওপেট্রার সঙ্গে তার তুলনা চলে না, কারণ নেফারতিতি ছিলেন ক্লিওপেট্রার চেয়েও প্রায় দেড় হাজার বছর আগের রানী। তবুও ইতিহাস দুজনকে এক বিন্দুতে দাঁড় করালে বারবার নেফারতিতির দিকেই পাল্লা ভারী হয়ে ওঠে। কারণ ইতিহাসের প্রথম নারী ফারাও, ধর্ম সংস্কার, আখেনাতেনের প্রতি ভালোবাসা আর সর্বোপরি মোহনীয় সৌন্দর্যের কারণে অধিকাংশ দিক থেকেই ক্লিওপেট্রাকে হারিয়ে দিয়েছেন নেফারতিতি। জীবৎকালে মিসরের রাজনীতির জটিল পাশাখেলার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিলেন নেফারতিতি। ফারাও আখেনাতেনের প্রধান স্ত্রী হয়ে মিসরের বহু ঈশ্বরবাদী ধর্মচেতনা থেকে একেশ্বরবাদী ধর্মের দিকে প্রত্যাবর্তনের নেতৃত্বে ছিলেন নেফারতিতি। প্রাচীন হায়োরিগ্লিফিতে তাকে বলা হতো উত্তরাধিকারিণী, মধুরতার দয়িতা, মধুভাষিণী। নেফারতিতি মানে দুই ভূ-খন্ডের নারী। মিসরের উচ্চ ও নিম্নভূমির প্রিয় পাত্রী ছিলেন বলেই সম্ভবত তাকে এটা বলা হতো। অনেকেই বিশ্বাস করেন, আখেনাতেনের মৃত্যুর পর এবং তুতানখামেনের সিংহাসন আরোহণের আগে তিনি মিসর শাসন করেছিলেন।  আর এসব কিছুই আসলে নেফারতিতিকে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে দিয়েছে।

 

ঐতিহাসিক জুটি

ইতিহাস বলছে মিসরীয় ফারাওদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার বিষয়টি কখনই মুখ্য ছিল না। বিশেষ করে ক্লিওপেট্রার আগের সময় পর্যন্ত। তখনকার মিসরীয় ফারাওদের একাধিক পত্নী এবং অসংখ্য উপপত্নী থাকত। ফলে এতজনের মাঝখান থেকে বেরিয়ে এসে একজন নারী ফারাওয়ের আকুণ্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত হবেন, এমনটা মোটামুটি অসম্ভবই ছিল। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন নেফারতিতি। তার স্বামী আখেনাতেনের প্রধান স্ত্রী ছিলেন তিনি। আর কেবল নামেই প্রধান স্ত্রী নয়, সত্যিকার স্ত্রী হিসেবে নিজের অধিকারের প্রায় পুরোটাই আদায় করে নিতে পেরেছিলেন তিনি।  আর মিসরের ইতিহাসে তাই প্রেমিক দম্পতি হিসেবে অন্যরকম স্থান দখল করে আছেন আখেনাতেন-নেফারতিতি দম্পতি।

 

আজও রহস্য সমাধি ঘিরে

পুরাতত্ত্ববিদরা প্রাচীন মিসরের রানী নেফারতিতির সমাধির খোঁজ করছেন বহুদিন ধরে। কিন্তু কিছুতেই খোঁজ পাননি। নানান সময়ে এটির খোঁজ পাওয়ার দাবি উঠলেও অধিকাংশ সময় এই দাবি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে যে কথাটি না বললেই নয়, সেটি হলো এখন পর্যন্ত এ ক্ষমতাশালী নারীর মৃতদেহ বা সমাধি নিয়ে রহস্যই থেকে গেছে। বিভিন্ন ইতিহাসবিদ এখনো এ নিয়ে গবেষণা করছেন। দ্বিতীয় আমেনহোতেপের মন্দিরে যাকে ‘কেভি ৩৫’ বলা হয়, সেখানে তিনটি মমি পাওয়া যায়। যার মধ্যে দুটি ছিল নারীর এবং একটি ছিল অল্প বয়সী কোনো ছেলের। তখন চারদিকে হইচই পড়ে যায়। বলা হয়ে থাকে এই মমিগুলোর মধ্যে একটি আখেনাতেনের মা তুতেন খামেনের দাদি এবং আমেনহোতেপ তৃতীয় স্ত্রী রানী তিয়ার। আর একটি ছিল তারই ছেলে। ধারণা করা হয় তিনি আখেনাতেনের ছোটভাই ছিলেন। তৃতীয় মমিটা ছিল খুবই আশ্চর্যজনক। ডক্টর ফ্লেচার বলে একজন গবেষক ধারণা করেন মমিটা ছিল রানী নেফারতিতির। ফ্লেচার প্রাচীন মিসরীয় নারীদের চুল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। প্রাচীন রানীরা বিভিন্ন পরচুলা এবং মুকুট পরিধান করতেন যা তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উৎসব বা আয়োজনে বিভিন্নভাবে উপস্থাপিত করত। এই পরচুলা এবং মুকুট নিয়ে গবেষণা করে নিজের মতবাদ দাঁড় করান ড. ফ্লেচার। তিনি খেয়াল করে দেখেন এক ধরনের বিশেষ মুকুট পরলে মাথার একটা অংশে দাগ তৈরি হয়। আশ্চর্যজনকভাবে অচিহ্নিত মমির গায়ে এরকমই একটি দাগ রয়েছে। এই যুক্তিকে সামনে রেখে ড. ফ্লেচার দাবি করলেন এই মমিটি নেফারতিতির। আর সেই অনুসারে কেভি থার্টি ফাইভই আসলে নেফারতিতির সমাধিক্ষেত্র। তবে ফ্লেচারের এই দাবিকে রীতিবিরুদ্ধ বলে মানা হয়। এই মমিটার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সম্পূর্ণ মমিটা ক্ষতবিক্ষত ছিল। কে বা কারা যেন এর মুখমন্ডলে আঘাতের পর আঘাত করে তার একপাশ ধসিয়ে দিয়েছে। তার বক্ষজোড়া যেন কারা কেটে নিয়ে গিয়েছিল এবং সেই মমির শরীরে কোনো ব্যান্ডেজ ছিল না। প্রাচীন মিসরের বিশ্বাস অনুযায়ী ‘যদি কোনো মমিকে নষ্ট বা তাতে ক্ষত তৈরি করা হয়, তাহলে পরবর্তী জীবনে দেবতারা তাকে চিনতে পারবেন না এবং সে দেবতাদের সামনে নিজের নাম বলতে পারবে না। এর ফলে সে মৃত্যুর পর জীবন ও মৃত্যুর জগতের মাঝে আটকা পড়ে যাবে।’ তার মানে যারা এই মৃতদেহটিকে মমি করেছে, তারা প্রচন্ড ঘেন্নাভরে কাজটি করেছে। তারা কখনই চায়নি মৃত্যুর পরের জীবনে এই মানুষটি দেবতাদের অনুগ্রহ পাক। আর নেফারতিতির মৃত্যুর পর তার চিহ্ন মুছে ফেলাসহ ঐতিহাসিক দলিল দস্তাবেজ থেকে গায়েব করে দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত। ফলে ওই সময়ের লোকজন কোনো মতেই চায়নি রানী নেফারতিতি পরবর্তী জীবনে স্বর্গে যান। এমনকি এটাও চায়নি যে তার মমি কেউ শনাক্ত করতে পারুক। এসব যুক্তি দিয়ে ডক্টর জোয়ান ফ্লেচার ক্ষত-বিক্ষত মমিটিকে নেফারতিতির মমি প্রমাণের চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত ফ্লেচারের গবেষণা ভুল প্রমাণিত হয়। আদতে ওই মমিটি নেফারতিতির ছিল না। ফ্লেচারের ভুল পথে গবেষণার জন্য তাকে বর্তমানে মিসরে গবেষণার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাহলে এই ক্ষতবিক্ষত মমিটি কার?

ধারণা করা হয় রানী নেফারতিতি নিজের প্রধান রানীর ক্ষমতা রক্ষা করতে কোনো এক সময় তুতেনখামেনের মা এবং তার স্বামী আখেনাতেনের বোন ও স্ত্রী ‘দ্য ইয়ংগার লেডি’-কে হত্যা করেন। গবেষকরা দেখেছেন সেই নারীর মৃত্যু হয় সে জীবিত থাকা অবস্থায়। তার বুকের বামদিক দিয়ে ছুরির ঘায়ের দাগ থেকে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু মমিফিকেশনের অনেক পরে তার মুখমন্ডলের ওপর আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে বক্ষ ছিন্ন করে ফেলা হয়। কারও কারও মতে সেই খুন নেফারতিতি সংগঠিত করেন অথবা কাউকে দিয়ে করিয়ে নেন। আর কোনোভাবে সেই লাশকে নিজের নামে চালিয়ে দেন। কারণ সেই মমির মৃত্যুর সময়কাল রানী নেফারতিতির গায়েব হওয়ার সময়কাল এক ছিল। এ ধারণার সঙ্গে আরও বেশ কিছু ইজিপ্টোলজিস্ট সমর্থন দিয়েছেন। তারা তাদের জার্নালেও একই কথা উল্লেখ করেছেন।

কিছুদিন আগে বিশেষজ্ঞরা সম্রাট তুতেনখামেনের সমাধির ভিতরেই তার গোপন কবরের কিছু ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। সেই অনুসন্ধানের সূত্র ধরেই এই সমাধির ভিতরে ফাঁপা জায়গার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে এবং সেখানে সম্ভাব্য জৈব পদার্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিসরীয় অনুসন্ধানকারীরা। তবে বহু অনুসন্ধান চালানোর পরও গবেষকদের শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছে। কারণ সেখানে নেফারতিতির মমির কোনো অস্তিত্ব এখনো পাওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিহাস থেকে যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছিল নেফারতিতিকে তেমনই যেন হাওয়ায় মিইয়ে গেছে তার মৃতদেহ কিংবা সমাধি। এমন করে নেফারতিতির সমাধি গায়েব হয়ে যাওয়ার কোনো ব্যাখ্যাই  এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

 

মুছে দেওয়া রানী!

রহস্যে ঘেরা এই রানী নেফারতিতির রহস্যময় জীবনের মতো তার মৃত্যুও রহস্যময়। ঠিক কবে তার মৃত্যু হয়েছিল জানা যায়নি। ঠিক কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল তাও কেউ জানে না। অনেকটা হঠাৎ করেই ইতিহাস থেকে হারিয়ে যান এই রানী। এরপর আর তার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া হয় তখন তার মৃত্যুই ঘটেছিল।   নেফারতিতির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার সব মূর্তি, স্তম্ভ, প্রাসাদ অর্থাৎ নেফারতিতির বানানো সব সভ্যতার চিহ্নকে ধ্বংস করা হয়। এই ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন পুরোহিতরা। কারণ ‘আতেন’-কে পেতে হলে ফারাও আর তার স্ত্রীকে (নেফারতিতি) পূজা করাও ছিল বাধ্যতামূলক। এ বিষয়টি পুরোহিতরা কোনো মতেই মানতে পারেননি। তাই ইতিহাসে নেফারতিতির কোনো উল্লেখ নেই সেই দিন থেকে, যেদিন তার মৃত্যু ঘটে। আর তার সম্পর্কিত সব তথ্য মুছে ফেলেন পুরোহিতরা। পুরোহিতদের কাছে এটা চরম অপমানজনক ছিল যে, একজন নারী তাদের ফারাও ছিলেন। তাই এ তথ্য তারা ইতিহাসে রাখতে চাইলেন না। তারা সমগ্র মিসরে যেখানেই নেফারতিতির নাম ছিল সেখানেই পরিবর্তন করেন। মিসরের বর্ণমালায় নেফারতিতির ছবিতে একজন নারীর প্রতিচ্ছবি থাকার কথা। পুরোহিতেরা নেফারতিতির ছবিগুলোতে বিকৃত করল- মাথায় সাপ এঁকে দিল। যাতে মনে হয় এই ফারাও একজন পুরুষ। এতকিছুর পরও সৃষ্টিকর্তার ভয়ে তারা নেফারতিতির মমি তৈরি বন্ধ করল না। তারা নেফারতিতির মমি তৈরি করে কিন্তু সেটিকে এমন এক জায়গায় ভ্যালি অব কিংসে রাখে যেন ভবিষ্যতে কারও চোখে না পড়ে। আর পড়লেও তাদের পক্ষে যেন এটা ধরা সম্ভব না হয় এই ফারাও একজন মহিলা। তাই সব জায়গায় লিখে রাখা হয় তিনি একজন পুরুষ। তবু ইতিহাসে নেফারতিতি সৌন্দর্য আর রহস্যের রানী হিসেবেই স্বীকৃত।  তার অদ্ভুত মায়াজাল ছিন্ন করে এমন সাধ্য কার আছে?

এই বিভাগের আরও খবর
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
হারিয়ে গেল ক্যাপ্টেন সিতারা
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
আশিরের বিমান থেকে ড্রোন
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
দাপিয়ে চলছে মন্টু মিয়ার আজব ভ্যান
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
বাংলার মাটি থেকে রকেট যাবে মহাকাশে
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ডিজিটাল দুনিয়ায় কী আছে
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
ফিলিপাইন থেকে আসা সেই পেট্রিয়াকা এখন জনপ্রতিনিধি
সর্বশেষ খবর
‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’
‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’

৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলি হামলায় ইরানিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে : থিংক-ট্যাঙ্ক
ইসরায়েলি হামলায় ইরানিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে : থিংক-ট্যাঙ্ক

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত চীনের
ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত চীনের

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাহত ২ পুলিশ সদস্য
বগুড়ায় আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাহত ২ পুলিশ সদস্য

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আষাঢের প্রথম দিনে বৃষ্টির দেখা নেই রংপুরে
আষাঢের প্রথম দিনে বৃষ্টির দেখা নেই রংপুরে

১৪ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

চুনিয়াগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত
চুনিয়াগাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাবা দিবসে শাকিব ও সন্তানদের নিয়ে অপু-বুবলীর আবেগঘন পোস্ট
বাবা দিবসে শাকিব ও সন্তানদের নিয়ে অপু-বুবলীর আবেগঘন পোস্ট

২০ মিনিট আগে | শোবিজ

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

২৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আগ্রহীদের ২০ জুনের মধ্যে ফরম পূরণের আহ্বান
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আগ্রহীদের ২০ জুনের মধ্যে ফরম পূরণের আহ্বান

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতুর রেলিং
মুন্সিগঞ্জে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতুর রেলিং

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে শত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ
ফরিদপুরে শত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদক ও অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতার ছেলে আটক
মাদক ও অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের সাবেক নেতার ছেলে আটক

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দীর্ঘ জীবন পেতে চাইলে কী খাবেন?
দীর্ঘ জীবন পেতে চাইলে কী খাবেন?

৪৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘যুক্তরাজ্যে জব্দ সম্পদ উদ্ধারে সরকার আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে’
‘যুক্তরাজ্যে জব্দ সম্পদ উদ্ধারে সরকার আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে’

৫৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ: বহিষ্কার যুবদল নেতা
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ: বহিষ্কার যুবদল নেতা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

লিভার সুস্থ রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত
লিভার সুস্থ রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে সাত লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটলো যাত্রীর!
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটলো যাত্রীর!

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না : সড়ক উপদেষ্টা
ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চলতে দেওয়া হবে না : সড়ক উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর
নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণ
ভারতে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের জরুরি অবতরণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি ঘোষণা
বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ পরিবহন মালিক সমিতির কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে ছিন্নমূল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে শুভসংঘের খাবার বিতরণ
মানিকগঞ্জে ছিন্নমূল ও আশ্রয়হীন মানুষের মাঝে শুভসংঘের খাবার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হাওরাঞ্চলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলে বজ্রপাত নিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র্র হয়নি
হাওরাঞ্চলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলে বজ্রপাত নিরোধী আশ্রয়কেন্দ্র্র হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুুন্সিগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা; মোটরসাইকেলে আগুন
মুুন্সিগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলা; মোটরসাইকেলে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৬,০০০ বছরের পুরনো কঙ্কাল আবিষ্কার, ডিএনএ-তে মিললো অজানা রহস্য!
৬,০০০ বছরের পুরনো কঙ্কাল আবিষ্কার, ডিএনএ-তে মিললো অজানা রহস্য!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ, আটক ৪৮
আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ, আটক ৪৮

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কায় আরোহী নিহত
সিরাজগঞ্জে গাছের সাথে ট্রাকের ধাক্কায় আরোহী নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান
আয়রন ডোম ব্যর্থ করে ইসরায়েলি সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ
ইরানের যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার
জাতীয় গাদ্দারদের খুঁজতে ইরানের অভিযান শুরু, ৫ ইসরায়েলি গুপ্তচর গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক
ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা ইরানের, হতাহত দুই শতাধিক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ
ইরাকের আকাশসীমা লঙ্ঘনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা
নেতানিয়াহু একটি জাতিকে ধ্বংস করছে, ভারত তাকে সমর্থন ও উৎসাহও দিচ্ছে: প্রিয়াঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
১ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ১০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানি মিসাইলে ইসরায়েলের ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে সতর্ক করে যা বলল ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক
ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?
পালিয়েছেন নেতানিয়াহু?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল
রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান
ইসরায়েলে ফের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইরান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’
ঈদের ছুটিতে সপরিবার সরকারি সফরে গিয়ে অতিরিক্ত সচিবের ‘আনন্দভ্রমণ’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'
'ইরানে হামলায় কেবল সমর্থন নয়, ইসরায়েলকে উৎসাহও দিচ্ছে ভারত'

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের
ইসরায়েলের আরও একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি ইরানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার
পর্যটক নিখোঁজ-মৃত্যুর ঘটনায় বর্ষা গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?
পাকিস্তান কি ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে
ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন
ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের তেল ডিপোতে আগুন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি
যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত
বিমান দুর্ঘটনার পর যে সিদ্ধান্ত নিল ভারত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে যে কোনো মুহূর্তে ভয়াবহ হামলার ঘোষণা ইরানের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?
অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত
বিশ্বযুদ্ধের অশনিসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক
কোয়েলকে কেন কাঁদাতেন বাবা রঞ্জিত মল্লিক

শোবিজ

ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে
ক্ষোভ কাটেনি প্রশাসনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ
সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব বাবা দিবস
আজ বিশ্ব বাবা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি
বেগম জিয়াই জাতির কান্ডারি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি
বিএনপিতে স্বস্তি, জামায়াতে অস্বস্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’
৫০ লাখেরও বেশি ভিউ অর্জন করল ‘প্রিয় প্রজাপতি’

শোবিজ

আজ পয়লা আষাঢ়
আজ পয়লা আষাঢ়

পেছনের পৃষ্ঠা

পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...
পৃথিবীতে বাবার মতো আর আছে কেবা...

শোবিজ

সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই
সাতসকালে র‌্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা
বাবার প্রতি সুহানার ভালোবাসা

শোবিজ

দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ
দুটি জোট ও ২৮টি দল নিয়ে জাতীয় সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশ

নগর জীবন

গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’
গৌতমকে কেন বাবা উত্তমের ‘না’

শোবিজ

দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ
দুর্লভ কালাঘাড় রাজন পাখির পিতৃত্ববোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

অনেকের মনে এখন জ্বালা
অনেকের মনে এখন জ্বালা

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন

মাঠে ময়দানে

দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে
দারিদ্র্যমোচন ব্যয় কমছেই বাজেটে

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন
প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন
বাংলাদেশিরা ইরানে কেমন আছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য
কাবরেরার পদত্যাগ চাইলেন বাফুফে সদস্য

মাঠে ময়দানে

নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম
নাইটহুড উপাধিতে ভূষিত ডেভিড বেকহ্যাম

মাঠে ময়দানে

বাবা দিবসে আবুল হায়াত
বাবা দিবসে আবুল হায়াত

শোবিজ

বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট
বদলাতে পারে লিগের ফরম্যাট

মাঠে ময়দানে

বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান
বিজিএমইএর নতুন সভাপতি মাহমুদ হাসান

প্রথম পৃষ্ঠা

গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন
গলে স্পিনারদের সঙ্গে ব্যাটাররাও সুবিধা পাবেন

মাঠে ময়দানে

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে
মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কোড সংশোধন হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা

রকমারি

মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন
মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন