ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুর রহস্য গতকাল পর্যন্ত উন্মোচন করতে পারেনি পুলিশ। এটা হত্যা নাকি নিছক আত্মহত্যা তা নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা আলোচনা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশও এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যার রহস্য জানা যাবে। রবিবার উপজেলার বিজয়পাড়ায় নিজ ঘর থেকে কাপড় ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (৩২), স্ত্রী জান্নাতুল ইসলাম (২২) দুই মেয়ে ফারিহা আক্তার (৪) ও ফাহিমা আক্তারের (২) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচিন চাকমা বলেন, যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তা ভিতর থেকেই বন্ধ ছিল। কেউ হত্যা করে ভিন্ন উপায়ে দরজা-জানালা লাগিয়ে পালিয়ে গিয়েছে কিনা এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সোহাগ মিয়ার নবীনগরের নিউ মার্কেটে রঙ্গ মেলা বস্ত্রালয় নামে ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। সংসারে কোনো পারিবারিক কলহ ছিল না। তবে সম্প্রতি ছোট ভাইকে প্রবাসে পাঠাতে ও ব্যবসায়িক কারণে সোহাগ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর সৎমায়ের পাওনা এক লাখ টাকা নিয়ে প্রায় সময়ই বিতণ্ডা হতো। এসব বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন সোহাগ। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে জান্নাতুল ইসলামের বাবা মো. হানিফ মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, জামাতা সোহাগ মিয়া ঋণগ্রস্ত থাকায় স্ত্রী জান্নাতসহ দুই শিশুকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া সোহাগের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন। রবিবার তাদের দাফন করা হয়েছে।