১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:৩১

তেল মালিশের নামে ক্যাডেট মাদ্রাসার চার ছাত্রকে 'বলাৎকারের' অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

তেল মালিশের নামে ক্যাডেট মাদ্রাসার চার ছাত্রকে 'বলাৎকারের' অভিযোগ

আলহাজ্ব আলী আশরাফ। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উত্তর বানিয়াগাতী ফাতেমাতুজ্জ জহুরা কওমী মহিলা এবং ইউসুবিয়া কওমী ক্যাডেট মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এই ব্যক্তি নিজেই মাদ্রাসায় পড়েননি। কিন্তু তিনি মাদ্রাসা কাজের মাধ্যমে দিনের পর দিন প্রতারণা করে যাচ্ছেন।

একই সাথে ইউসুবিয়া কওমী ক্যাডেট মাদ্রাসার চার শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগও রয়েছে আলী আশরাফের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বলাৎকারের শিকার শিশু ছাত্ররা অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে ওই মুহতামিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাও. ইব্রাহীম ও মুফতি ওয়াদুদসহ স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করেও মাদ্রাসা দুটি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই মুহতামিম হিসেবে আলী আশরাফ দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসাটি দুটিকে পুঁজি করে বেলকুচির বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সহযোগিতা নিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাত করছেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিস্কারও করা হয়। পরবর্তীতে প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় মুহতামিম পদে যোগদান করেন।

সম্প্রতি তেল মালিশের নামে ক্যাডেট মাদ্রাসার চার ছাত্রকে পর্যায়ক্রমে বলাৎকার করেন। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসা দুটির ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকসহ স্থানীয়রা  মুহতামিমের অপসারণসহ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মুহতামিম আলহাজ আলী আশরাফ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার মান সম্মানহানির জন্য আমার বিরুদ্ধে কতিপয় শিক্ষক-ছাত্র এসব গুজব রটাচ্ছে। একটি কোম্পানির কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটি দখলের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। 

বিডি প্রতিদিন/১৯ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর