ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি যাত্রীবাহী বাস অপর একটি বাসকে ধাক্কা দেওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে এক শিশু ও এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১২ জন যাত্রী।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বসদরদী এলাকায় (ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক) এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত নারীর নাম শামসুন্নাহার বেগম (৪৩)। তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলামের স্ত্রী। নিহত শিশুর নাম রাবেয়া আক্তার (৮)। সে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোডা গ্রামের আবু হানিফ গাজীর মেয়ে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সূত্রে জানা গেছে, একে অপরকে ওভারটেক করার সময় ঢাকা থেকে বরিশালগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় ইউরো লাইনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে পড়ে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১২ জন যাত্রী।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত ১৩ জন রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল ফোনে শিশু রাবেয়ার চাচা ফিরোজ গাজী জানান, দুপুর ২টার দিকে রাবেয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছি। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি তোলার জন্য কিছু সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল