বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, কাশিমপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান তুলাসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর জিরানী মাজার রোড এলাকার বাসিন্দা মো: এসিন (২২) বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. এসিন একটি মোটরসাইকেল কোম্পানীতে চাকরি করেন। গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য তার জিরানীর বাসা থেকে বের হন। ওইদিন কাশিমপুর থানাধীন তেতুঁইবাড়ী চক্রবর্তী এলাকার হালিম মার্কেটের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অবস্থান করে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ওই সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেআইনী জনতাবদ্ধ বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠি সোটা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ করে গুলি করতে থাকে এবং লাঠি সোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তখন পিস্তলের দুইটি গুলি তার পেটে লাগে যার একটি গুলি পেট ছিদ্র হয়ে পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। তখন সে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় ছাত্রজনতা তাকে উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই হাসপাতালে অপারেশন করে চিকিৎসকরা তার পেটের ভিতর থেকে একটি গুলি বের করে। ওই ঘটনায় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে ঘটনার বিষয়ে তার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে শনিবার দিবাগত রাতে মো: এসিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কাশিমপুর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলায় ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ওই মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।