শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬ আপডেট:

শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম : একজন সুবিদ আলীর কথা

মহিউদ্দিন আহমদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম : একজন সুবিদ আলীর কথা

স্পষ্ট মনে আছে মাসটি ছিল আগস্ট; তবে তারিখটি মনে নেই। বছর ১৯৭১, আমাদের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধটির পিক পিরিয়ড, ঘটনাস্থল লন্ডন। এক দিন সন্ধ্যায় স্যারের টেলিফোন। স্যার মানে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। অনেকেরই এখনো নিশ্চয়ই মনে আছে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের একজন বিচারপতি এবং একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভাইস চ্যান্সেলর জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী একাত্তরে ভারতের বাইরে মুজিবনগর সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

আমরা তখন লন্ডনে তার সঙ্গে যারা কাজ করছি এবং পরেও যোগাযোগ রেখেছি, আমাদের সবার কাছে তিনি ‘স্যার’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। স্যার বললেন, যদি ব্যস্ত না থাকেন তাহলে কি সন্ধ্যার দিকে একটু আসতে পারেন? বিচারপতি চৌধুরী বড় ছোট সবার সঙ্গেই বিনয় প্রকাশ করেই কথা বলতেন। তবে তিনি যত বিনয়ের সঙ্গেই বলুন না কেন, যারা তার সঙ্গে পাঁচ-দশ দিন একত্রে থেকেছেন, তারা বিচারপতি চৌধুরীর কোন কথাটি কেমন গুরুত্ব বহন করে, কোন কথাটি কেমন জরুরি তা এই কয়েক দিনের অভিজ্ঞতাতেই বুঝে নিতে পারতেন। আমারও বুঝতে অসুবিধা হলো না যে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজেই তিনি আমাকে ওই সময়ে টেলিফোন করেছেন। ঠিক কয়টার সময় তার বাসায় যাব জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ‘রাত ১০টার দিকে আসলে চলবে’। এবার তিনি আরও বললেন, আপনার সঙ্গে লুত্ফুল মতিনকেও আসতে বলুন। লুত্ফুল মতিন তখন লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের সদ্য পদত্যাগকারী ডাইরেক্টর। ’৭১-এর ১ আগস্ট লন্ডনের ট্রাফলগার স্কোয়ারে যুক্তরাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির বৃহত্তম সমাবেশে লন্ডনস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের আমার সেকেন্ড সেক্রেটারির পদটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পর লুত্ফুল মতিনও পদত্যাগ করেছিলেন। তখন আমি থাকি সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটনে। হল্যান্ড রোডে আমার বাসা। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী থাকেন উত্তর লন্ডনে। বাড়িটির ঠিকানা এখনো মনে আছে ২৩, দি গ্রিন। লুত্ফুল মতিনও তখন উত্তর লন্ডনে, ডলিস হিলে থাকতেন মনে পড়ে।

আমরা দুজন লন্ডনের দুই প্রান্ত থেকে আলাদা আলাদাভাবে জনাব চৌধুরীর বাড়িতে নির্ধারিত সময়ে হাজির হলাম। তার বাসায় পৌঁছে দেখি, আমাদেরই প্রায় সমবয়সী এক বন্ধু, ব্রিটেনে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন একনিষ্ঠ কর্মী, ডাক্তার আহমদ হোসেন জোয়ারদার বসার ঘরে স্যারের সঙ্গে কথা বলছেন। ডা. জোয়ারদার তখন লন্ডনের একটি হাসপাতালে কাজ করতেন।

মিনিট পাঁচ-দশেক দেশের অবস্থা, মুক্তিযুদ্ধের অগ্রগতি, বিদেশে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন— এসব নিয়ে আলোচনার পর স্যার বললেন, ডাক্তার জোয়ারদার পাঁচ হাজার পাউন্ড ক্যাশ নিয়ে এসেছেন; এটি রাখুন। এই পাউন্ডগুলো প্রাপ্তির একটি রসিদ দেবেন। এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ মিশনের খরচপত্র মেটানো হবে এবং এই মিশন খাতে আর সব খরচের জন্য আমি আরও ‘ফান্ড’ জোগাড় করব। টাকাটা কার কাছ থেকে পেয়েছেন বা কীভাবে জোগাড় করেছেন তা স্যার নিজেই যখন বললেন না, আমরাও জানতে চাইলাম না। তবে রসিদটি কার নামে হবে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। জবাবে স্যার বললেন, জনাব সুবিদ আলীর নামে রসিদটি ইস্যু করবেন। আমি আর লুত্ফুল মতিন কয়েক সেকেন্ড মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে থাকলাম। ব্রিটেনের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী প্রথম সারির অনেকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জানাশোনা, পরিচয় আছে। তবে জনাব সুবিদ আলী বলে কারও নাম কখনো শুনিনি। যে সুবিদ আলী পাঁচ হাজার পাউন্ড দিতে পারেন, তিনি নিশ্চয়ই কোনো হেলাফেলার মানুষ নন বুঝতেই পারছিলাম; তারপরও তার নাম জানি না, নিজেকে অপরাধী মনে করছিলাম। এবার  ঔত্সুক্য আর দমিয়ে রাখতে পারলাম না বলে স্যারকে প্রশ্নটা করেই ফেললাম; স্যার, জনাব সুবিদ আলীকে তো চিনলাম না, তিনি কোথায় থাকেন? আমার এক মুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল তিনি হয়তো ব্রিটেনের বাইরের কেউ, কোনো বাঙালি। ইউরোপের প্রায় সব দেশ থেকেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনগুলো স্যারের কাছে টেলিফোন এবং চিঠিতে উপদেশ, নির্দেশ, পরামর্শ চাইত। একবার ভাবলাম ওদের কেউ হয়তো হবেন। ’৭১-এ আমরা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকজন বাংলাদেশির কাছ থেকেও অল্প কিছু টাকা পেয়েছিলাম এখনো আবছা আবছা মনে পড়ে।

স্যার খুব স্বাভাবিকভাবে বললেন, জনাব সুবিদ আলীর সঙ্গে এক দিন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব; কিন্তু আর কিছু বললেন না। এরপর তো আর কোনো প্রশ্ন বা আলোচনা চলে না। আরও কিছুক্ষণ সময় স্যারের বাসায় কাটিয়ে আমরা তিনজনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে একত্রে বেরিয়ে আসলাম। লুত্ফুল মতিন কয়েক দিনের মধ্যেই ডাক্তার জোয়ারদারকে একটি রসিদ ইস্যু করলেন। পাউন্ডগুলো বোধহয় আমার কাছেই থাকল কিছুদিন। এখানে এই ফান্ড এবং বাংলাদেশ মিশন স্থাপনের একটু পটভূমি বর্ণনা করার প্রয়োজন বোধকরি। ব্রিটেন প্রবাসী প্রায় প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রতি সপ্তাহে এক পাউন্ড করে চাঁদা দিতেন। লন্ডনের হামব্রোজ ব্যাংকে এই উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছিল। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, ‘ডধৎ ড়হ ডধহঃ’- এর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড চেজওয়ার্থ এবং ব্রিটিশ ‘হাউস অব কমনস’-এর সদস্য জন স্টোন্হাউজ— এই তিনজন ট্রাস্টি এই ফান্ড পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং অন্য দুজনের যে কোনো একজনের সইতে টাকা পাঠানো যেত। অন্য কোনো বড় ব্যাংক— যেমন লয়েডস, ন্যাশনাল ওয়েস্ট মিনিস্টার, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এগুলোতে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়নি। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে চাঁদা গ্রহণ করার জন্য কোনো অ্যাকাউন্ট খুললে এই মাল্টিন্যাশনাল ব্যাংকগুলো পাকিস্তানে তাদের ব্যবসা হারাতে পারে— এ ভয়ে তখন আমাদের অ্যাকাউন্ট গ্রহণ করেনি। ’৭১-এ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রবাসী বাঙালিরা ‘বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যাকশন কমিটি’ বা এমন নামের প্রায় একশটি সংগঠন গড়ে তুলেছিল। যুক্তরাজ্যের যে ছোট শহরে দশ-বারো জনও বাংলাদেশি বাস করতেন, সেখানেও একটি বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি গঠিত হয়েছিল। তারা এই চাঁদা আদায় করে আমাদের কাছে পাঠালে আমরা ব্যাংকে জমা করে তাদের কাছে রসিদ পাঠিয়ে দিতাম। আবার অনেক কমিটি সরাসরিই ব্যাংকে জমা দিত।

সারা যুক্তরাজ্যে এই একশটি সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় এবং মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য Umbrella সংগঠন হিসেবে ‘স্টিয়ারিং কমিটি’ একটি তো ছিলই। স্যার এই কমিটির অ্যাডভাইজার হিসেবে মুখ্য নির্বাহী ছিলেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই কূটনৈতিক ফ্রন্টেও কাজ করার জন্য আলাদা একটি বাংলাদেশ মিশনের প্রয়োজনীয়তা স্যার অনুধাবন করতে থাকলেন। বিশেষ করে দুনিয়ার কয়েকটি পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে কয়েকজন বাঙালি কূটনীতিবিদ পদত্যাগ করে ভারতের বাইরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তম কেন্দ্র লন্ডনে চলে আসার পর প্রশিক্ষিত জনবলের সংস্থানও যখন হলো, তখন স্যার লন্ডন কূটনৈতিক ফ্রন্ট খোলার গুরুত্বারোপ বেশি দেখলেন এবং বুঝলেন। কিন্তু এই মিশনের খরচপাতি কীভাবে চলবে— এই প্রশ্নটিও সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিল। স্যার বললেন, হামব্র্রোজ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফান্ডের টাকা, ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ চালানোর জন্যই দিচ্ছেন। ওই ফান্ড থেকে টাকা নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য খরচপাতি মেটানো ঠিক হবে না। তিনি অনেক দিন ধরে আমাদের বলে আসছিলেন, মিশন চালানোর খরচের টাকা তিনি আলাদাভাবে জোগাড় করবেন। ১৯৭১-এর আগস্ট মাসেই বাংলাদেশের এক একনিষ্ঠ বন্ধু ডোনাল্ড চেজওয়ার্থের সহায়তায় ২৪ নম্বর পেমব্র্রিজ গার্ডেনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের কয়েকটি কামরা প্রস্তাবিত কূটনৈতিক মিশনের জন্য ভাড়া নিলাম। চিরকুমার চেজওয়ার্থ নিজে এই বাড়িটির দোতলায় একটি ঘরে থাকতেন। TOC ঐ নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান এ বাড়িটির মালিক ছিল। বাড়িটির অন্যান্য তলায় আরও ভাড়াটিয়া ছিল।

’৭১-এর ২৭ আগস্ট, শুক্রবার বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী আমাদের বাংলাদেশ মিশনের কাজ প্রায় তিনশ দেশি-বিদেশি বাঙালি, অবাঙালি, এবং সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েই শুরু, মানে উদ্বোধন করলেন। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আমাদের আরও দুই সমর্থক ও বন্ধু সায়মন ড্রিঙ্ক এবং অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাসও উপস্থিত ছিলেন, মনে পড়ে। আমাদের ভরসা কিন্তু ওই পাঁচ হাজার পাউন্ড। ইতিমধ্যে ওই পাঁচ হাজার পাউন্ড নিয়ে একটি অ্যাকাউন্টও খোলা হয়েছে। আমার এবং লুত্ফুল মতিনের যৌথ সইতে এ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠানো যেত।

কূটনৈতিক মিশন খোলা হলো বটে, তবে ব্রিটিশ সরকার আমাদের এই মিশনকে স্বীকৃতি দেয়নি। দেবে কী করে, তারা তো বাংলাদেশকেই স্বীকৃতি দেয়নি তখনো। ২৪ নম্বর পেমব্র্রিজ গার্ডেনের চার-পাঁচ তলার এ বাড়িটিতে লন্ডনে আমাদের এই হাইকমিশনের কাজ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১৯৭২-এর ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও চলে কয়েক বছর। পরে এই হাইকমিশন বর্তমান ‘কুইনস গেটে’ স্থানান্তরিত হয়। পেমব্র্রিজ গার্ডেনের ওই বাড়িটি এখন ‘বাংলাদেশ সেন্টার’ হিসেবে পরিচিত।

এই মিশনটি খোলার পরে আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে আরও বেশ কিছু বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। আমরা পাকিস্তান দূতাবাসে চাকরি করাকালে যে বেতন-ভাতা নিতাম, তার অংশবিশেষ এই সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মিশন থেকে সাবসিসটেন্স অ্যালাউন্স হিসেবে পাচ্ছিলাম। এ মিশনের খরচ যখন বাড়তে থাকল, স্যার আরও কিছু ফান্ড এই মিশনের খরচপাতির জন্য আলাদাভাবে জোগাড় করলেন। কিন্তু সুবিদ আলীর পরিচয় জানার আমাদের যতই ঔত্সুক্য থাকুক না কেন, স্যার নিজে থেকে এই ভদ্রলোকের পরিচয় জানাননি। আমরাও তার কাছ থেকে জানতে চাইনি। ডাক্তার জোয়ারদার আমাদের এত ঘনিষ্ঠ বন্ধু; কিন্তু নিজ থেকে কোনো দিন তিনিও কিছু বলেননি।

এরপরের ঘটনা আমাদের বিজয় দিবসের তিন সপ্তাহ পর, ১৯৭২-এর ৪ কি ৫ জানুয়ারি বিকালবেলা। লন্ডনের জানুয়ারি শীতকাল; দিন ছোট। ইতিমধ্যে ঘরে বাইরে বাতি জ্বলছে। স্যার তার অফিসে একদিন তার পাশের কামরায় আমার অফিস থেকে আমাকে ডেকে পাঠালেন। তলব পেয়ে তার কামরায় ঢুকতেই দেখলাম, একজন ভদ্রলোক বসে আছেন স্যারের মুখোমুখি। সামনে রাখা দু-তিনটি চেয়ারের একটিতে আমি বসলাম। সেই ভদ্রলোককে আমি আগে কোনো দিন দেখেছি বলে মনে করতে পারলাম না। আমি চেয়ারে বসে তার দিকে তাকাতেই স্যার বললেন, সেই পাঁচ হাজার পাউন্ডের চাঁদাটির কথা আপনার নিশ্চয়ই মনে থাকবে। আমি বললাম, অবশ্যই। ওই টাকা দিয়েই তো আমরা এই জায়গাটিতে আমাদের এই মিনশটি শুরু করলাম। স্যার এবার বললেন, সেই পাঁচ হাজার পাউন্ড যিনি দিয়েছিলেন, তখন তার নাম জনাব সুবিদ আলী বলেছিলাম। এখন সেই সুবিদ আলী আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। ইনিই সুবিদ আলী, আপনার পাশের চেয়ারে বসা।

ভদ্রলোক কিন্তু স্যারের দিকে তাকিয়ে আছেন। আমিও তার দিকে তাকাচ্ছি মাঝে মাঝে। স্যারের মুখে একটু মিটমিট হাসি। আমি জনাব সুবিদ আলীকে আগে কখনো দেখেছি বলে মনে করতে পারলাম না। স্যার এবার একটু শব্দ করে হেসে বললেন, এই জনাব সুবিদ আলী হচ্ছেন জরুহুল ইসলাম, যার নাম আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন।

এবার আমার বিস্মিত হওয়ার পালা। বললাম, নিশ্চয়ই শুনেছি। কোন বাঙালি তার নাম শোনেনি। জনাব সুবিদ আলী নামে জহুরুল ইসলাম সাহেবকে আমাদের ওই দুর্দিনে এমন বড় একটি অঙ্কের চাঁদা দিয়ে সাহায্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম। জহুরুল ইসলাম সাহেব একটু বিব্রত হলেন। তিনি বোধহয় এমনিতেই মৃদুভাষী ছিলেন। সেদিন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ বা অন্য কোনো বিষয়ে তার সঙ্গে তেমন প্রাণবন্ত কোনো আলোচনা হলো না, মনে আছে। কিছুক্ষণ পর আমি স্যারের কামরা থেকে বেরিয়ে আসি। বোধহয় তার পরদিন বিকালে স্যার বাংলাদেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকার পথে ৮ জানুয়ারিতে লন্ডন পৌঁছলেন, ইতিমধ্যে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডন-কলকাতা হয়ে ঢাকায় এক দিন বা দুই দিন আগে স্বাধীন বাংলাদেশে পৌঁছে গেছেন।

জহুরুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে আমার এরপর দুবার দেখা হয়েছে। প্রথমবার লন্ডনের ক্ল্যারিজেস হোটেলে, ১৯৭২-এর আগস্ট মাসে; বঙ্গবন্ধুর ‘গলস্টোন’ অপারেশনের সময়ে। লন্ডন ক্লিনিকে অপারেশন শেষে বঙ্গবন্ধু ক্ল্যারিজেস হোটেলে ফিরে এসেছেন। দুনিয়ার পাঁচ-সাতটি খান্দানী হোটেলের একটি এই ক্ল্যারিজেস হোটেলে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অন্যসব সদস্যের— বেগম মুজিব, শেখ হাসিনা, কামাল, জামাল, রেহানা, রাসেল— সবার থাকার ব্যবস্থা করেছিল ব্রিটিশ সরকার।

জহুরুল ইসলাম সাহেবও তখন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে লন্ডন গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে তার ‘সুইটে’ খবর দিলাম। বঙ্গবন্ধু কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে বললেন। বঙ্গবন্ধুর সুইটের সামনের কামরায় হোটেলে আমাদের ক্যাম্প অফিসে জহুরুল ইসলাম সাহেব অপেক্ষা করছেন। এ সময় সেই সময়কার এক ডাকসাইটের সাংবাদিকের ওই কামরায় প্রবেশ। জহুরুল ইসলাম সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে তার কোটের বুক পকেটে হাত ঢুকিয়ে পাউন্ড নোটের বান্ডিলটি বের করে আনলেন ওই সাংবাদিক। ওই বান্ডিল থেকে গুণে গুণে কিছু পাউন্ড নিজের জন্য আলাদা করে রেখে বাকি বান্ডিলটি ওই একইভাবে আবার জহুরুল ইসলাম সাহেবের পকেটে রেখে দিলেন। জহুরুল ইসলাম সাহেব একটু হাসলেন; কিন্তু কিছুই বললেন না। দুজনের আচরণে আমরা অবাক হলাম; একজন অবলীলায় কীভাবে আরেকজনের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বান্ডিল বের করে আনলেন; আর অন্যজন কেমন করে এমন নির্লিপ্ত থাকতে পারলেন। এরপরেরবার নতুন দিল্লি পালাম বিমানবন্দরে, খুব সম্ভব ১৯৭৩ কি ৭৪-এ। আমি তখন নতুন দিল্লিতে আমাদের হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি। কয়েক মাস আগে বদলি হয়ে লন্ডন থেকে এসেছি। একজন ভিআইপিকে অভ্যর্থনা জানাতে এয়ারপোর্টে গিয়েছি। অ্যারাইভেল লাউঞ্জের ভিতরে আমাদের বিশিষ্ট মেহমানের জন্য অপেক্ষা করছি। এ সময়ে দেখি জহুরুল ইসলাম সাহেবও লাউঞ্জে ঢুকছেন। তাকেও অভ্যর্থনা জানালাম। আমাকে তার চেনার কথা নয়। আমি তাকে সালাম দিয়ে আমার পরিচয় দিলাম। ১৯৭১-এর তার সেই দানের কথা তাকে স্মরণ করিয়ে সৌজন্যমূলক কিছু কথাবার্তা বলতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমি যেমন আগ্রহের সঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, তার পক্ষ থেকে তেমন উৎসাহ বা সময় ছিল না। একপর্যায়ে এখানে উল্লেখ করতে পারি যে, ডা. জোয়ারদারের সঙ্গে জহুরুল ইসলাম সাহেবের ঘনিষ্ঠতা ছিল বোধহয় আগে থেকেই।

’৭১-এ ডা. জোয়ারদারই শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম সাহেবকে তার হাসপাতালে একজন রোগী হিসেবে ভর্তি করিয়ে আড়াল করে রেখেছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং বর্তমান ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাসরত, প্রচারবিমুখ ডা. জোয়ারদার দুজনই আলাদাভাবে আমাকে এমনটি বলেছিলেন। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে তিনি দেশের সবচেয়ে ধনবান মানুষের একজন হয়েছিলেন। বাংলাদেশের শিল্প, বাণিজ্যের একজন ‘পাইওনিয়ার’ হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে তার বিরাট ভূমিকা ছিল। তার অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ কাজ করছে। তিনি তার নিজ এলাকায় বাজিতপুরে একটি উচ্চমানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের মতো মহৎ কাজ করেছেন। শহর বাদ দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে এমন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সাধারণ লোকজনের প্রতি তার ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি এখানে।

রাজনীতিতে জহুরুল ইসলাম সাহেব কার পক্ষে ছিলেন এ বিষয়ে কোনো দিন কিছু কোথাও পড়িনি। তবে ১৯৮৬-এর ৩১ আগস্টে লন্ডন অবজারভার পত্রিকায় আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ওপর Leslie Plummer-এর যে বিরাট কাহিনী ‘Love and Graft in the Worlds Poorest Nation’ শিরোনামে ছাপা হয়েছিল, সেখানে জহুরুল ইসলাম সাহেব সম্পর্কে এমন একটি বাক্য আছে— ‘Jahurul Islam was a friend of Mujib, a friend of Zia, a friend of Ershad and he will be a friend of the next fellow’ ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বোধহয় এমনই হতে হয়।

জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল এরশাদ সম্পর্কে বলতে পারব না। তবে লন্ডনের ক্ল্যারিজেস হোটেলে বঙ্গবন্ধুর জন্য জহুরুল ইসলাম সাহেবের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করেছি।

জহুরুল ইসলাম সাহেবের অন্য যে পরিচিতি বা এই দেশের অর্থনীতিতে তার যে ভূমিকা, আমি তাকে প্রথম সুবিদ আলী হিসেবে দেখেছি এবং তার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। সেই পরিচয়েই আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি তার মৃত্যুর পর তাকে ওই নামেই জানব। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন ফাইন্যান্সিয়ার হিসেবে আমার সে সব স্মৃতি কোনো দিন ভুলতে পারব না।

     লেখক :  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব, কলাম লেখক।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৫৬ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া
ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে
আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৫ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিবাহবার্ষিকীর দিনেই বাবা-মা হলেন রাজকুমার রাও-পত্রলেখা
বিবাহবার্ষিকীর দিনেই বাবা-মা হলেন রাজকুমার রাও-পত্রলেখা

৪১ মিনিট আগে | শোবিজ

মালিককে ‘গুলি করল কুকুর’!
মালিককে ‘গুলি করল কুকুর’!

৫০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ফুলবাড়ী বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ
ফুলবাড়ী বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ

৫১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে
জাদেজা–কারান রাজস্থানে, সঞ্জু স্যামসন যাচ্ছেন চেন্নাইয়ে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট
যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ শতাংশ মানুষ ট্রাম্পে অসন্তুষ্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজকের স্বর্ণের বাজারদর
আজকের স্বর্ণের বাজারদর

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব
নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?
‘দিদি নাম্বার ১’ এ থাকছেন না রচনা ব্যানার্জি?

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি
লুক্সেমবার্গকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিটের অপেক্ষায় জার্মানি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া
মিস ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশের জেসিয়া

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন
গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

১৯ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা