বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

মর্যাদা বেড়েছে বাংলাদেশের, পাচ্ছে ৮ বিলিয়ন ডলার

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

দাতাদের ঋণ ব্যবহার সক্ষমতায় এশীয় দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ কারণে বাংলাদেশকে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ফল স্বরূপ ম্যানিলাভিত্তিক এই দাতা সংস্থাটি সর্বোচ্চ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য। এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সিনিয়র সচিব বলেন, এডিবিতে ‘ইমেজ’ এতটাই ভালো যে, সংস্থাটি এখন বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত। আগামী পাঁচ বছরের জন্য (২০১৬-২০২০ সাল) তারা যে ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্যাটেজি’ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশকে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিতে যাচ্ছে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে সংস্থাটি তাদের কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্যাটেজি ২০১১-২০১৫-তে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছিল। এবার তার চেয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি পাচ্ছে। সংস্থাটির এডিএফ ঋণ সহায়তার দিক থেকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। মাহবুব আহমেদ বলেন, এডিবি বাংলাদেশের ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ে গবেষণা করে দেখেছে, দেশটি ঋণ নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে। এমনভাবে এই ঋণ ব্যবহার হচ্ছে যার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ। এজন্য বাংলাদেশকে ভালো চোখে দেখছে এডিবি। এডিবির বিকল্প নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সংস্থাটির ৫০তম এজিএম অনুষ্ঠিত হবে ৫ থেকে ৭ মে। অনুষ্ঠিত হবে জাপানের ইয়াকোহোমাতে। এডিবির গভর্নর হিসেবে সেখানে যোগ দেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই এজিএমে কান্ট্রি পার্টনারশিপের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরা হবে। মাহবুব আহমেদ বলেন, এই অর্থায়ন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে এডিবি আমাদের উন্নয়ন প্রেক্ষিত হিসেবে যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা রয়েছে সেটির সঙ্গে সমন্বয় করেই তাদের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ নিয়ে সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এডিবি বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে, কারণ : দেশটির অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রচুর বিনিয়োগ দরকার। এই ঋণ সহায়তা দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করবে। এডিবি আরও বলেছে, তারা বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে যে অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে উঠেছে সেটি তারা কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে চায়।

সর্বশেষ খবর