পথের কাঁটা জো বাইডেন আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। শিকাগোতে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্ল্যাক জার্নালিস্টস সম্মেলনে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ও (কমলা হ্যারিস) ভারতীয় বলেই জানতাম। নিজেও বরাবর ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রচার করেছেন। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও আমি জানতাম না যে ও কৃষ্ণাঙ্গ। যখন ও কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে গেল, তখনই ওই বিষয়ে জানলাম। এখন ও কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচিত হতে চায়। তাই আমি ঠিক জানি না, ও ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?’
কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য। এটা অপমানজনক।’ গত মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করার পর অনলাইনে লৈঙ্গিক ও বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হচ্ছেন কমলা। কিছুসংখ্যক উগ্র ডানপন্থি ব্যবহারকারী অনলাইনে তার বর্ণবাদী পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। ট্রাম্প নিজেও ব্যক্তিগতভাবে কমলাকে আক্রমণ করছেন। নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি উভয় জাতি-সম্প্রদায়কেই সম্মান করি, কিন্তু ও করে না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কারণ এতদিন ও ভারতীয় ছিল, হঠাৎ করেই কৃৃষ্ণাঙ্গ হয়ে গেল।’ ট্রাম্পের এ বক্তব্যের সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ডেমোক্র্যাটদের দাবি, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায় তুলে কমলাকে অপমান করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘অপমানজনক’ বলা হয়েছে।