দেশে সামরিক আইন জারি ঘোষণার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদন্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ওই ঘোষণার পর তাঁকে অপসারণের নানা আয়োজন করা হয় দেশটিতে। কিন্তু সে যাত্রায় বেঁচে গেছেন তিনি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তদন্ত চলছে। দেশ ত্যাগেও তাঁর প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ সপ্তাহের শেষে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের ভোটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রতি দলের সমর্থনও কমে এসেছে।
আশা করা হচ্ছিল যে, তিনি হয়তো অভিশংসন এড়াতে পারবেন। কিন্তু না, তিনি এখন এক উদ্ধত ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী নেতায় পরিণত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর সামনে অনেক বিপদ অপেক্ষা করছে।
দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হলো প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করা। ইউনের স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে আজ পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাবে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদের এই প্রস্তাব সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা মিউং এ কথা বলেন।
গত ৩ ডিসেম্বর রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তাঁর এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়। কিন্তু পার্লামেন্ট তাঁর জারি করা ডিক্রির বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেওয়ার জন্য সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বেষ্টনী উপেক্ষা করার পর আদেশ বাতিল করেন তিনি, তার মধ্যেই প্রায় ছয় ঘণ্টা পার হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপে দক্ষিণ এশিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধীদলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন। -বিবিসি