আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হয় মোস্তাক মিয়া (২৬) নামে এক যুবক। তিনি হবিগঞ্জ পিডিবি অফিসের অস্থায়ী লাইনম্যান ছিলেন। মোস্তাক নিহত হওয়ার পর থেকেই হবিগঞ্জ শহরজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বাসভবন ও সরকারি স্থাপনায় হামলার প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠন। অন্যদিকে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের।
জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১ হাজার ২৫৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোস্তাক মিয়া (২৬) নামে এক যুবক। তার বাড়ি সিলেটের জালালাবাদ থানার গৌরিপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুল কাদিরের ছেলে।
নিহত মোস্তাক আহমেদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে। পরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটে। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। মোস্তাকের সহকর্মী মারুফ হোসেন বলেন, মোস্তাক জুতা কিনতে এসেছিল। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে সে গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন জানান, একজন নিহতের ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।