রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেছেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।
পরীক্ষার্থীদের অনেকেই এ আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের কেউ কেউ আহত হয়, অনেকে শহীদ হয়েছে। সে সময় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা স্থগিত হয়। কোনো বোর্ডে ৬টি, কোনো বোর্ডে ৭টি পরীক্ষা হয়। আন্দোলনের উত্তাপের কারণে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও প্রস্তুতি বেশ বিঘিœত হয়েছে। তাই প্রতিকূলতার মধ্যেও এইচএসসির ফল সন্তোষজনক বলতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, এইচএসসিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠান আংশিক হলেও সেসবের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেগুলোর ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। গত বছর পাস বেশি ছিল, জিপিএ-৫ কম ছিল। আর এ বছর পাসের হার কিছুটা কম, জিপিএ-৫ এর হার বেড়েছে। তাই এ ফল নিয়ে তেমন সমালোচনার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর যেসব প্রতিষ্ঠানপ্রধান আগের সরকারের অনুগত ছিলেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন। আমি মনে করি, এ জায়গায় শিক্ষার্থীদের সংযম পালনের সুযোগ নেওয়া উচিত। প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের সীমাবদ্ধতা থাকলে, তা দেখার কর্তৃপক্ষ শিক্ষা অধিদপ্তর বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তাছাড়া পাঠপ্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এইচএসসি উত্তীর্ণদের ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশের সংকটের মধ্যে এই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যু যাদের বীরদর্প ভাঙতে পারেনি, তারা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।