শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রবন্ধ

রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

প্রবীর বিকাশ সরকার
প্রিন্ট ভার্সন
রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা জাপান-বাংলা সাংস্কৃতিক বন্ধনের নবরূপকার এবং মৈত্রীর প্রতীক। রবীন্দ্রনাথের জাপানি ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। কিন্তু তাদের মধ্যে কাজুও আজুমা যেভাবে গুরুদেবকে অনুধাবন করেছিলেন এমনটি আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না শতবর্ষের ব্যবধানেও। কী পেয়েছিলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে? যার বাড়িতে ১০ হাজার বাংলা গ্রন্থের মধ্যে অধিকাংশই ছিল রবীন্দ্রনাথবিষয়ক। যখনই গিয়েছি দেখেছি টেবিলে মাদাম কেইকো আজুমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু লিখছেন। রবীন্দ্রনাথের বই হাতের কাছে। দুজনেই ছিলেন বাংলা ভাষার অসম্ভব গুণমুগ্ধ ভক্ত। বাংলা ভাষার ছন্দ কাজুও আজুমাকে রবীন্দ্রনাথে আকৃষ্ট হওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছিল।

শুধু কী সুললিত ছন্দের কারণে রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসেছিলেন তিনি? আদৌ তা নয়। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'রবীন্দ্রনাথের জন্য বাংলা ভাষা শিখেছি। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তাম। অনেকে বলতেন, মূল বাংলা থেকে পড়লে আরও ভালো হয়। Indian Philosophy থেকেই বাংলা ভাষা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের রচনাকে জানার উৎসাহে বাংলা শেখা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে মনে হলো বাংলা ভাষা মধুর ভাষা। ছন্দ চমৎকার। পরে জানতে পারলাম যে, অনেক রকম ছন্দ আছে। মিষ্টি মনে হলো। ব্যাকরণ আরও ভালোভাবে শিখব। আমি সংস্কৃত ভাষা শিখেছি। কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত 'বাংলা ব্যাকরণ' প্রকাশ করেছি। এটি জাপান-ভারত সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।' (প্রসঙ্গ কাজুও আজুমা, স্মারক গ্রন্থ, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ৫৪।)

১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট টোকিওতে জন্ম কাজুও আজুমা কৈশোরেই রবীন্দ্ররচনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখে টোকিওতে সাড়ে তিন ঘণ্টার মার্কিনি যুদ্ধবিমানের চিরুনি আক্রমণে এক লাখ লোক মারা গিয়েছিল। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছিল অগণিত নিরপরাধ মানুষ। কাজুও আজুমার বিদ্যালয়েও বোমা পড়েছিল। বোমার আগুনে আর ধোঁয়ায় ১২০ জন মারা যায়। তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে সৎকারের কাজ করেন কিশোর আজুমা।

যুদ্ধের শেষ প্রায়। চারদিকে আগুন, অঙ্গার আর ধ্বংসস্তূপ! ভাত ছিল না, গম ছিল না, নুন ছিল না! চরম দারিদ্র্যাবস্থায় পর্যবসিত কাজুও আজুমাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর', 'গীতাঞ্জলি' এবং 'রক্তকরবী' পড়ার সুযোগ হয়। এই রচনাগুলো তাকে অভিভূত করে! বিশেষ করে 'ডাকঘর' তাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। 'ডাকঘর' গল্পের অসুস্থ নায়ক 'অমল' কিশোর আজুমাকে এমনই প্রভাবিত করে যে, শেষ বয়সে এসেও তিনি অমলকে ভুলতে পারেননি! একাধিকবার তার সঙ্গে আলাপকালে অমলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। মনে হয় তিনি নিজেকে অমলের মতোই ভাবতেন। অমল যেমন রাজাকে দেখার জন্য প্রতীক্ষায় ছিল, সেই রাজা ছিল অদৃশ্য ভবিতব্য মৃত্যু কিন্তু কাজুও আজুমা নামক জাপানি অমলের চিন্তার রাজা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাজা মানবজীবনে সত্যের সন্ধান এবং আধ্যাত্মিক শান্তির পথ সৃজন করেছিলেন। জাপানে থেকে সেই পথের অন্বেষণ করেছিলেন বড় হয়ে কাজুও আজুমা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি পেয়েছিলেন দুজন শিক্ষাগুরুকে- বিশ্বখ্যাত জাপানি ভারততত্ত্ববিদ রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা আর বহুভাষাবিদ রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশিষ্ট প্রবীণ অনুবাদক অধ্যাপক ড. শোওকো ওয়াতানাবেকে। অধ্যাপক ওয়াতানাবেই প্রথম মূল বাংলা ভাষা থেকে 'গীতাঞ্জলি' জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি তাকে বলেন রবীন্দ্রনাথকে জানতে হলে মূল বাংলা ভাষার মাধ্যমে জানতে হবে। শিক্ষাগুরুর কাছে রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠে আবৃত্ত 'হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থ জাগোরে ধীরে/এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে...' কবিতার রেকর্ড শুনে তিনি বাংলা ভাষার ছন্দ এবং রবীন্দ্রনাথের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এই শিক্ষাগুরুর কাছেই বাংলা ভাষা শিক্ষার শুরু। আর পড়তে থাকেন ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্ররচনাসমূহ। নিজেও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের আত্মপরিচয়, চণ্ডালিকা, নটীর পূজা, মুক্তধারা প্রভৃতি বিষয়ে।

রবীন্দ্রসাহিত্যের দর্শনই যে ভারতীয় দর্শনের প্রতিচ্ছায়া, তিনি সেটা অনুধাবন করতে থাকেন। প্রকৃতি, মানব এবং শান্তির আরাধনাই যে চিরকালের ভারতীয় উপমহাদেশের আদর্শগত আধ্যাত্মিক পথ এবং এই পথই যে তাকে আহ্বান করছে এটাও তিনি রবীন্দ্রসাহিত্যের মধ্যদিয়ে গভীরভাবে অনুভব করছিলেন। যুদ্ধপূর্বে বিশিষ্ট জাপানি যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সানি্নধ্যে এসেছিলেন তাদের রচনা, স্মৃতিচারণসমূহে 'শান্তিনিকেতনে'র বিবরণও তিনি পাঠ করে মনে মনে প্রদীপে আলো জ্বালানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। জাপানে শত বছর ধরেই রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন সমার্থক আর ভারত মানেই যে বাংলা অঞ্চল এই বাস্তবতাও তিনি অনুধাবন করতে পারছিলেন।

পঞ্চাশের দশক। যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান। বেকারত্ব, অভাব, অনটন তীব্রতর। সেই সময় হয়তোবা রবীন্দ্রনাথের প্রভাবেই কাজুও আজুমা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি গ্যেটের (১৭৪৭-১৮৩২) সাহিত্যরচনা পড়া শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ গ্যেটেকে শ্রদ্ধা করতেন। মূল জার্মান ভাষায় গ্যেটেকে বোঝার জন্য তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা শিখলেন। ১৯৫৭ সালে এই ভাষা বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন করলেন। ১৯৫৯ সালে অর্জন করলেন ভারতীয় দর্শন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি। ১৯৬০ সালে জার্মান সাহিত্য ও ভাষায় এমএ ডিগ্রি নিলেন। একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ও জার্মানি' নামে।

কর্মজীবনে প্রবেশ করলেন ১৯৬১ সালে য়োকোহামা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার প্রভাষক হিসেবে। ১৯৬৫ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হলে পরে তার জীবনে সুযোগ এলো বিদেশে গিয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার জন্য। জার্মানিতে যখন যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন তখন শিক্ষাগুরু নাকামুরা হাজিমের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণও এলো। তখনকার বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের অধ্যাপক তাৎসুও মোরিমোতোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মূল কারণ রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক শান্তির পথে হাঁটা আর বাংলা ভাষাকে আরও গভীরভাবে জানা। উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতীতে জাপানি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে সপরিবার অধ্যাপক কাজুও আজুমা জাপান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে শান্তিনিকেতনে গেলেন আনন্দচিত্তে।

শান্তিনিকেতন এবং বাংলা অঞ্চল তাকে আর তার পত্নী আরেক রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ মাদাম কেইকো আজুমাকে চিরদিনের জন্য 'গুরুদেব' এমনভাবে আধ্যাত্মিক বন্ধনে বেঁধে ফেললেন যে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত 'গুরুদেব' ছিলেন কাজুও আজুমার সাহিত্যজীবনের আদর্শই শুধু নয়, তার অন্তরের রাজা বা জীবনদেবতা। ২০১১ সালের ২৮ জুলাই অধ্যাপক আজুমার মহাপ্রয়াণের পর তার মহীয়সী স্ত্রী মাদাম কেইকো আজুমা 'গুরুদেব'কে নিয়ে অক্লান্ত ভেবে চলেছেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে রবীন্দ্রসাহিত্যের কারণেই। কেইকো আজুমা রবীন্দ্রনাথের 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের ওপর গবেষণালব্ধ অভিসন্দর্ভের বিনিময়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ভারততত্ত্ববিদ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় দর্শনের অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত তোওহোও গাকুয়েন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখেছেন, তার 'গল্পসল্প' (১৯৪১) অনুবাদ করেছেন এবং রবীন্দ্রসংগীতের চর্চাও করেছেন। কেইকো আজুমা ব্যতিরেকে অধ্যাপক কাজুও আজুমার ইতিহাস অসম্পূর্ণ।

শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য পরিবেশ, বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ অধ্যাপক আজুমাকে আমূল পরিবর্তন করে দেয় বললে অত্যুক্তি হবে না। শান্তিনিকেতনে তিনি তার ছেলেবেলাকার গ্রামীণ পরিবেশকে খুঁজে পেয়েছিলেন। স্থানীয় ভাষার জটিলতা, রুক্ষ-রুদ্র আবহাওয়া, মানুষের ঈর্ষাজনিত আচার-আচরণ সবকিছুকেই অধ্যাপক আজুমা আরাধ্য ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথের মহানশিক্ষার আলোকে জয় করে গেছেন। শান্তিনিকেতন, তৎসংলগ্ন সাঁওতাল গ্রাম, কলকাতা এবং বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট সর্বত্র তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় 'আজুমাসান' নামক এক সর্বদা হাস্যরসিক অসাধারণ অমায়িক মানুষ হিসেবে। জীবনের ৪০ বছরের অধিককাল তিনি শান্তিনিকেতন, কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সংস্কৃতি গবেষণায়, সাধনায় নিমগ্ন থেকেছেন। এমন ঘটনা বাস্তবিকই বিরল!

জীবনে একদিনের জন্যও যে তিনি গুরুদেবকে ভুলে থাকতে পারেননি তার প্রমাণ তার বিপুল কর্মযজ্ঞ। ১৯৭১ সালে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসার পর অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণে য়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাকরিটি হারান। বছরখানেক ব্যয়বহুল জাপানে দুঃখদৈন্যে কাটান। এসময় সমমনা বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন 'একলা চলোরে' নাম একটি সংগঠন গুরুদেবকে স্মরণে রেখেই। অন্তরে যার রবীন্দ্রনাথ নামক রাজেশ্বর বাস করেন তিনি কী কোনো সংকটকে তোয়াক্কা করতে পারেন? গুরুদেবকে কেন্দ্র করে গঠন করেন 'জাপান টেগোর সমিতি'। সভাপতি হন একদা রবীন্দ্রসুহৃদ অধ্যাপক ৎসুশোও বিয়োদোও, উপদেষ্টা হন আজীবন রবীন্দ্রভক্ত ও তার দোভাষী স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক নারীমুক্তি আন্দোলনের নেত্রী মাদাম তোমি কোরা (১৮৯৬-১৯৯৩) আর তিনি হন সাধারণ সম্পাদক। উদ্দেশ্য, রবীন্দ্রনাথের বাণী যুদ্ধবিধ্বস্ত শান্তির অন্বেষক জাপানে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মনীষী ওকাকুরা তেনশিন (১৮৬৩-১৯১৩) এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তথা জাপান-বাংলা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারাকে অব্যাহত রাখা।

এই সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পূর্ববাংলায় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পূর্ববাংলা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের জন্মস্থান, শ্বশুরবাড়ি এবং বহুমূল্যবান স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ভূমি। সুতরাং উদ্যোগী হলেন জাপানে জনসমর্থন এবং ভারতে আশ্রিত লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহে। চাঁদা তুলে পাঠালেন ভারতে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে মর্যাদাসম্পন্ন ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফরে এলে তিনি ছিলেন তার সার্বক্ষণিক দোভাষী। তারা হয়ে ওঠেন পরস্পরের গভীর বন্ধু। রবীন্দ্রনাথের পরম ভক্ত শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথের গান 'আমার সোনার বাংলা'কে করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- এটা ছিল অধ্যাপক আজুমার কাছে অভূতপূর্ব ঘটনা! তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের জাপানি অনুবাদক, অনুবাদক ভারতীয় জাতীয় সংগীতেরও।

কর্মবীর অধ্যাপক আজুমার জীবন নানা গুণে, কর্মে ও লক্ষ্যে অতুলনীয়। পঞ্চাশের দশক থেকে যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখালেখি, গবেষণা এবং অনুবাদের কাজ করছিলেন তার ছেদ পড়েনি ২০০৬ সালে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে গুরুদেবের প্রতি শেষ প্রণতি 'তাগো-রু' বা 'টেগোর' গ্রন্থটি লেখা পর্যন্ত। ইংরেজি, জাপানি এবং বাংলা মিলিয়ে রবীন্দ্রবিষয়ক তার বিস্তর প্রবন্ধ জাপান, ভারত-বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একক আর কোনো জাপানি রবীন্দ্রভক্ত এত লেখা লিখেননি জীবদ্দশায়। রবীন্দ্রনাথবিষয়ক তার কালজয়ী গ্রন্থ তাগো-রু : জিনরুই নো চিতেকি ইসান (টেগোর : মানবজাতির বুদ্ধিতাত্তি্বক সম্পদ, জাপানি, ১৯৮১, টোকিও), গোরা (বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮২, টোকিও), রবীন্দ্রচিত্রকলা : রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা/সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (নাওকি নিশিওকা ও মাসাইউকি উসুদাসহ অনুবাদ বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮৮, টোকিও), ভারত-ভ্রমণ দিনপঞ্জি/কাম্পো আরাই (অনুবাদ জাপানি থেকে বাংলা, ১৯৯৩, কলকাতা), শিকড়ের সন্ধানে/এম এইচ কবীর (বাংলা থেকে জাপানি অনুবাদ, ১৯৯৫, টোকিও), শিতোকু হরির দিনপঞ্জি (জাপানি থেকে বাংলায় অনুবাদ, ১৯৯৬, কলকাতা), উজ্জ্বল সূর্য (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৬), প্রসঙ্গ : রবীন্দ্রনাথ ও জাপান (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৮), জাপান, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য (বাংলা, কলকাতা, ২০০০), জাপান ও রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষের বিনিময় (বাংলা, কলকাতা, ২০০৪), তাগো-রু : শি. শিসোও. শোওগাই (টেগোর : কবিতা, চিন্তা, জীবন; জাপানি, ২০০৬, টোকিও) উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া 'চলন্তিকা'র (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ, 'গীতাঞ্জলি'র ছন্দ, রাজা রামমোহন রায়ের 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' নিয়ে শ্রমলব্ধ গবেষণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য সপ্তাহ'র প্রবন্ধসমূহের (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ অমূল্য সাহিত্যসম্পদ।

একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের জন্য অধ্যাপক কাজুও আজুমা যেভাবে নিঃস্বার্থ নিরলস কাজ করে গেছেন তার তুলনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বিপুল কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালে মেনে নিতে কষ্ট হয় না যে, তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও সাহিত্যের দিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আকৃষ্ট এবং গবেষণা করার লক্ষ্যে একাধিক মহৎ কাজের পুণ্যব্রত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে 'নিপ্পন ভবন' প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গুরুদেবের 'স্বপ্ন'কে পূরণ করেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১২ খণ্ডে জাপানি ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে, যা এক কথায় অসামান্য কাজ! ২০০৭ সালে কলকাতার সল্টলেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'জাপান-ভারত সংস্কৃতি কেন্দ্র : রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন'। অনুরূপ বাংলাদেশের সিলেট জেলার বড়লেখা উপজেলায় 'বাংলাদেশ-জাপান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' গড়ে তোলার পরিকল্পনাস্বরূপ সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তার এক ঘনিষ্ঠজন দারাদ আহমেদকে কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি, সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাৎ করে পালিয়েছে সেই দুর্বৃত্ত।

জীবনে অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রবীন্দ্র অনুরাগী অধ্যাপক কাজুও আজুমা তার অসামান্য কীর্তিকর্মের মূল্যায়নস্বরূপ। ২০০০ সালে বিশ্বভারতী ভূষিত করেছে 'দেশিকোত্তম' সম্মানে, ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদান করেছে 'রবীন্দ্র পুরস্কার', ২০০৮ সালে জাপান সরকার সম্মানিত করেছে রাষ্ট্রীয় পদক 'ক্কোকা কুনশোও' প্রদান করে। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির লালবাহাদুর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দিয়েছে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি। 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য'রূপে তাকে বরণ করেছে টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি তাকে দিয়েছে রিসার্চ ফেলোশিপ সম্মান।

 

এই বিভাগের আরও খবর
প্রস্থানবিন্দু
প্রস্থানবিন্দু
আকাল
আকাল
এবং দিনাজপুর
এবং দিনাজপুর
আকাশবাদ
আকাশবাদ
ধূসর হলুদবোধ
ধূসর হলুদবোধ
দেশনা
দেশনা
আত্মসমর্পণ এবং প্রতিজ্ঞা
আত্মসমর্পণ এবং প্রতিজ্ঞা
৯৪ বছরের লাইব্রেরি
৯৪ বছরের লাইব্রেরি
পেশা
পেশা
দিনাজপুরে শিল্প-সাহিত্যচর্চার ক্রমবিকাশ
দিনাজপুরে শিল্প-সাহিত্যচর্চার ক্রমবিকাশ
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
লেখা পাঠানোর ঠিকানা ও জরুরি তথ্য
ফুলচাষী
ফুলচাষী
সর্বশেষ খবর
৯ মাসে ছয়শ'র বেশি ধর্ষণ
৯ মাসে ছয়শ'র বেশি ধর্ষণ

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

উন্নয়ন-স্থিতিশীলতার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া অন্য উপায় নেই
উন্নয়ন-স্থিতিশীলতার জন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া অন্য উপায় নেই

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় বন্দী বাংলাদেশির পরিচয় জানতে হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তি
মালয়েশিয়ায় বন্দী বাংলাদেশির পরিচয় জানতে হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছিনতাই হওয়া মোবাইল যায় কোথায়
ছিনতাই হওয়া মোবাইল যায় কোথায়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি
সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল জলদস্যুতা করেছে : এরদোয়ান
ইসরায়েল জলদস্যুতা করেছে : এরদোয়ান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয় দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
জয় দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ১০ হাজারের বেশি শিশু চিরস্থায়ী শারীরিক ক্ষতির শিকার
গাজায় ১০ হাজারের বেশি শিশু চিরস্থায়ী শারীরিক ক্ষতির শিকার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড্ডা থানায় নতুন ওসি
বাড্ডা থানায় নতুন ওসি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেয়ার বিক্রিতে ওপেনএআই-এর মূল্য দাঁড়াল ৫০০ বিলিয়ন ডলার
শেয়ার বিক্রিতে ওপেনএআই-এর মূল্য দাঁড়াল ৫০০ বিলিয়ন ডলার

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শুক্র গ্রহের কাছে লুকানো গ্রহাণু, ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি
শুক্র গ্রহের কাছে লুকানো গ্রহাণু, ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য ঝুঁকি

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো 'বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫'
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো 'বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫'

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার
পর্যটকে ভরপুর কক্সবাজার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল কিশোর
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল কিশোর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা
তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তুরাগ নদে নৌকাডুবি, দুই শিশু নিখোঁজ
তুরাগ নদে নৌকাডুবি, দুই শিশু নিখোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নৌকা থেকে নদীতে পড়ে কিশোর নিখোঁজ
নৌকা থেকে নদীতে পড়ে কিশোর নিখোঁজ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশ নারী দলের
পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশ নারী দলের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুবা ডাইভিংয়ে নয়, মৃত্যুসনদে জুবিন গার্গের মৃত্যুর কারণ ভিন্ন
স্কুবা ডাইভিংয়ে নয়, মৃত্যুসনদে জুবিন গার্গের মৃত্যুর কারণ ভিন্ন

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সব সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র শাহাদাত
সব সম্প্রদায়ের জন্য নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়তে চাই: মেয়র শাহাদাত

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জালে আটকা গন্ধগোকুল উদ্ধার, পরে অবমুক্ত
জালে আটকা গন্ধগোকুল উদ্ধার, পরে অবমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কেন্দ্র শুধু ঢাকায়
৪৯তম বিসিএস পরীক্ষা ১০ অক্টোবর, কেন্দ্র শুধু ঢাকায়

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে স্বামী নিহত, স্ত্রী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করল ইসরায়েল
গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘যারা ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদের মাইনাস করেছেন’
‘যারা ইমামদের মাইনাসের চেষ্টা করেছে, আল্লাহ তাদের মাইনাস করেছেন’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্দুকসহ গ্রেফতার ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্দুকসহ গ্রেফতার ১

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুবিয়া-নিগারের ব্যাটে জয় ছোঁয়া দূরত্বে বাংলাদেশ
রুবিয়া-নিগারের ব্যাটে জয় ছোঁয়া দূরত্বে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা
গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন সেনাদের যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ, যা বললো রাশিয়া
মার্কিন সেনাদের যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ, যা বললো রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপিকে তবলা-হাঁসসহ ৫০ প্রতীকের অপশন দিল ইসি
এনসিপিকে তবলা-হাঁসসহ ৫০ প্রতীকের অপশন দিল ইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রফি বিতর্কে ভারতকে ধুয়ে দিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স
ট্রফি বিতর্কে ভারতকে ধুয়ে দিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়
গাজা ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাগামী ফ্লোটিলা থেকে গ্রেটা থুনবার্গসহ কয়েকজন অধিকারকর্মী আটক
গাজাগামী ফ্লোটিলা থেকে গ্রেটা থুনবার্গসহ কয়েকজন অধিকারকর্মী আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল, জাহাজগুলোর ভাগ্যে কী আছে?
ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল, জাহাজগুলোর ভাগ্যে কী আছে?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান
প্রথমবারের মতো বিলিয়নিয়ার ক্লাবে শাহরুখ খান

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজামুখী এখন মাত্র চারটি নৌযান, বাকিগুলো আটক : ফ্লোটিলা ট্র্যাকার
গাজামুখী এখন মাত্র চারটি নৌযান, বাকিগুলো আটক : ফ্লোটিলা ট্র্যাকার

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করল ইসরায়েল
গাজাগামী সুমুদ ফ্লোটিলার একটি বাদে সব নৌযান আটক করল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, সাত জেলায় বন্যার শঙ্কা
ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস, সাত জেলায় বন্যার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুমুদ ফ্লোটিলা আটকানোর প্রতিবাদে ইতালিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক
সুমুদ ফ্লোটিলা আটকানোর প্রতিবাদে ইতালিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রেটা থুনবার্গদের জাহাজে ইসরায়েলি সেনা, যা জানা গেল
গ্রেটা থুনবার্গদের জাহাজে ইসরায়েলি সেনা, যা জানা গেল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে বজ্রপাতে বিএনপি নেতাসহ নিহত ২
যশোরে বজ্রপাতে বিএনপি নেতাসহ নিহত ২

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজামুখী কোনো নৌযান অবরোধ ভাঙতে পারেনি, দাবি ইসরায়েলের
গাজামুখী কোনো নৌযান অবরোধ ভাঙতে পারেনি, দাবি ইসরায়েলের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের নিন্দা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের নিন্দা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী?
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজাগামী ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাধা, যুক্তরাজ্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া
গাজাগামী ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাধা, যুক্তরাজ্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময়
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা বিনিময়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত লাখ ফেডারেল কর্মীকে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা, শাটডাউন এড়ানোর উপায় দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
সাত লাখ ফেডারেল কর্মীকে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা, শাটডাউন এড়ানোর উপায় দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : হুমায়ুন কবীর
তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : হুমায়ুন কবীর

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রুশ তেল ক্রয়কারী দেশকে টার্গেট করে কাজের প্রতিশ্রুতি জি-৭ মন্ত্রীদের
রুশ তেল ক্রয়কারী দেশকে টার্গেট করে কাজের প্রতিশ্রুতি জি-৭ মন্ত্রীদের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দোকানের ওপর উল্টে পড়লো নিয়ন্ত্রণহীন বাস, তিনজন নিহত
দোকানের ওপর উল্টে পড়লো নিয়ন্ত্রণহীন বাস, তিনজন নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশ নারী দলের
পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশ নারী দলের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বোনের অপকর্ম দেখে ফেলায় ভাই খুন
বোনের অপকর্ম দেখে ফেলায় ভাই খুন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্লোটিলায় আক্রমণের জেরে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করলো কলম্বিয়া
ফ্লোটিলায় আক্রমণের জেরে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করলো কলম্বিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ শুরু টাইগার-আফগান লড়াই, শক্তিতে কারা এগিয়ে?
আজ শুরু টাইগার-আফগান লড়াই, শক্তিতে কারা এগিয়ে?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
১০ মিনিটেই হবে ক্যানসার শনাক্ত
১০ মিনিটেই হবে ক্যানসার শনাক্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

আটকে গেল মানবতার বহর
আটকে গেল মানবতার বহর

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অর্জন করেই নির্বাচন
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি অর্জন করেই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ফের রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা
ফের রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

এক পর্দা, দশ প্রজন্ম
এক পর্দা, দশ প্রজন্ম

শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে শঙ্কা বাড়ছে
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে শঙ্কা বাড়ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

যে রেকর্ড শুধুই নিয়াজ মোরশেদের
যে রেকর্ড শুধুই নিয়াজ মোরশেদের

মাঠে ময়দানে

বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

নগর জীবন

ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৬
ডেঙ্গুতে আরও দুই মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৬

নগর জীবন

সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি
সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর, নিহত ৯
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর, নিহত ৯

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবন্দরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, এনসিপির সংবাদ বর্জন
বিমানবন্দরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, এনসিপির সংবাদ বর্জন

প্রথম পৃষ্ঠা

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলে ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজাগামী নৌবহর আটক দস্যুতা
গাজাগামী নৌবহর আটক দস্যুতা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বিঘ্নে পূজা উদ্‌যাপনে আইজিপির ধন্যবাদ
নির্বিঘ্নে পূজা উদ্‌যাপনে আইজিপির ধন্যবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেনের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত
ট্রেনের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত

দেশগ্রাম

ঢামেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে হাজতির মৃত্যু

নগর জীবন

বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে
বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে

নগর জীবন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪৫

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদ নির্বাচন
সংসদ নির্বাচন

সম্পাদকীয়

সিরাজ-বুমরাহর দুরন্ত বোলিং
সিরাজ-বুমরাহর দুরন্ত বোলিং

মাঠে ময়দানে

জলাবদ্ধতা
জলাবদ্ধতা

সম্পাদকীয়

এনসিপিকে শাপলা দিলে আপত্তি নেই
এনসিপিকে শাপলা দিলে আপত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতি চলেছে কোন পথে
রাজনীতি চলেছে কোন পথে

সম্পাদকীয়

খাগড়াছড়িতে তিন মামলা, ১৪৪ ধারা বহাল
খাগড়াছড়িতে তিন মামলা, ১৪৪ ধারা বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাঙের নাও
ব্যাঙের নাও

ডাংগুলি

ফুল ও পাখি
ফুল ও পাখি

ডাংগুলি

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে