শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ০৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রবন্ধ

রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

প্রবীর বিকাশ সরকার
প্রিন্ট ভার্সন
রবীন্দ্র অনুরাগী কাজুও আজুমা

জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক কাজুও আজুমা জাপান-বাংলা সাংস্কৃতিক বন্ধনের নবরূপকার এবং মৈত্রীর প্রতীক। রবীন্দ্রনাথের জাপানি ভক্তের সংখ্যা অসংখ্য। কিন্তু তাদের মধ্যে কাজুও আজুমা যেভাবে গুরুদেবকে অনুধাবন করেছিলেন এমনটি আজ পর্যন্ত পরিলক্ষিত হচ্ছে না শতবর্ষের ব্যবধানেও। কী পেয়েছিলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে? যার বাড়িতে ১০ হাজার বাংলা গ্রন্থের মধ্যে অধিকাংশই ছিল রবীন্দ্রনাথবিষয়ক। যখনই গিয়েছি দেখেছি টেবিলে মাদাম কেইকো আজুমার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে কিছু লিখছেন। রবীন্দ্রনাথের বই হাতের কাছে। দুজনেই ছিলেন বাংলা ভাষার অসম্ভব গুণমুগ্ধ ভক্ত। বাংলা ভাষার ছন্দ কাজুও আজুমাকে রবীন্দ্রনাথে আকৃষ্ট হওয়ার পথ তৈরি করে দিয়েছিল।

শুধু কী সুললিত ছন্দের কারণে রবীন্দ্রনাথকে ভালোবেসেছিলেন তিনি? আদৌ তা নয়। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'রবীন্দ্রনাথের জন্য বাংলা ভাষা শিখেছি। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সময় থেকেই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়তাম। অনেকে বলতেন, মূল বাংলা থেকে পড়লে আরও ভালো হয়। Indian Philosophy থেকেই বাংলা ভাষা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের রচনাকে জানার উৎসাহে বাংলা শেখা শুরু করি। রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে মনে হলো বাংলা ভাষা মধুর ভাষা। ছন্দ চমৎকার। পরে জানতে পারলাম যে, অনেক রকম ছন্দ আছে। মিষ্টি মনে হলো। ব্যাকরণ আরও ভালোভাবে শিখব। আমি সংস্কৃত ভাষা শিখেছি। কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত 'বাংলা ব্যাকরণ' প্রকাশ করেছি। এটি জাপান-ভারত সাংস্কৃতিক সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।' (প্রসঙ্গ কাজুও আজুমা, স্মারক গ্রন্থ, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ৫৪।)

১৯৩১ সালের ১৪ আগস্ট টোকিওতে জন্ম কাজুও আজুমা কৈশোরেই রবীন্দ্ররচনার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখে টোকিওতে সাড়ে তিন ঘণ্টার মার্কিনি যুদ্ধবিমানের চিরুনি আক্রমণে এক লাখ লোক মারা গিয়েছিল। পুড়ে অঙ্গার হয়ে গিয়েছিল অগণিত নিরপরাধ মানুষ। কাজুও আজুমার বিদ্যালয়েও বোমা পড়েছিল। বোমার আগুনে আর ধোঁয়ায় ১২০ জন মারা যায়। তাদের মৃতদেহ সংগ্রহ করে সৎকারের কাজ করেন কিশোর আজুমা।

যুদ্ধের শেষ প্রায়। চারদিকে আগুন, অঙ্গার আর ধ্বংসস্তূপ! ভাত ছিল না, গম ছিল না, নুন ছিল না! চরম দারিদ্র্যাবস্থায় পর্যবসিত কাজুও আজুমাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থ অবস্থায় ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্রনাথের 'ডাকঘর', 'গীতাঞ্জলি' এবং 'রক্তকরবী' পড়ার সুযোগ হয়। এই রচনাগুলো তাকে অভিভূত করে! বিশেষ করে 'ডাকঘর' তাকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। 'ডাকঘর' গল্পের অসুস্থ নায়ক 'অমল' কিশোর আজুমাকে এমনই প্রভাবিত করে যে, শেষ বয়সে এসেও তিনি অমলকে ভুলতে পারেননি! একাধিকবার তার সঙ্গে আলাপকালে অমলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। মনে হয় তিনি নিজেকে অমলের মতোই ভাবতেন। অমল যেমন রাজাকে দেখার জন্য প্রতীক্ষায় ছিল, সেই রাজা ছিল অদৃশ্য ভবিতব্য মৃত্যু কিন্তু কাজুও আজুমা নামক জাপানি অমলের চিন্তার রাজা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাজা মানবজীবনে সত্যের সন্ধান এবং আধ্যাত্মিক শান্তির পথ সৃজন করেছিলেন। জাপানে থেকে সেই পথের অন্বেষণ করেছিলেন বড় হয়ে কাজুও আজুমা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি পেয়েছিলেন দুজন শিক্ষাগুরুকে- বিশ্বখ্যাত জাপানি ভারততত্ত্ববিদ রবীন্দ্রভক্ত অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা আর বহুভাষাবিদ রবীন্দ্রসাহিত্যের বিশিষ্ট প্রবীণ অনুবাদক অধ্যাপক ড. শোওকো ওয়াতানাবেকে। অধ্যাপক ওয়াতানাবেই প্রথম মূল বাংলা ভাষা থেকে 'গীতাঞ্জলি' জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি তাকে বলেন রবীন্দ্রনাথকে জানতে হলে মূল বাংলা ভাষার মাধ্যমে জানতে হবে। শিক্ষাগুরুর কাছে রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠে আবৃত্ত 'হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থ জাগোরে ধীরে/এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে...' কবিতার রেকর্ড শুনে তিনি বাংলা ভাষার ছন্দ এবং রবীন্দ্রনাথের প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এই শিক্ষাগুরুর কাছেই বাংলা ভাষা শিক্ষার শুরু। আর পড়তে থাকেন ইংরেজি থেকে অনূদিত রবীন্দ্ররচনাসমূহ। নিজেও প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের আত্মপরিচয়, চণ্ডালিকা, নটীর পূজা, মুক্তধারা প্রভৃতি বিষয়ে।

রবীন্দ্রসাহিত্যের দর্শনই যে ভারতীয় দর্শনের প্রতিচ্ছায়া, তিনি সেটা অনুধাবন করতে থাকেন। প্রকৃতি, মানব এবং শান্তির আরাধনাই যে চিরকালের ভারতীয় উপমহাদেশের আদর্শগত আধ্যাত্মিক পথ এবং এই পথই যে তাকে আহ্বান করছে এটাও তিনি রবীন্দ্রসাহিত্যের মধ্যদিয়ে গভীরভাবে অনুভব করছিলেন। যুদ্ধপূর্বে বিশিষ্ট জাপানি যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সানি্নধ্যে এসেছিলেন তাদের রচনা, স্মৃতিচারণসমূহে 'শান্তিনিকেতনে'র বিবরণও তিনি পাঠ করে মনে মনে প্রদীপে আলো জ্বালানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। জাপানে শত বছর ধরেই রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতন সমার্থক আর ভারত মানেই যে বাংলা অঞ্চল এই বাস্তবতাও তিনি অনুধাবন করতে পারছিলেন।

পঞ্চাশের দশক। যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান। বেকারত্ব, অভাব, অনটন তীব্রতর। সেই সময় হয়তোবা রবীন্দ্রনাথের প্রভাবেই কাজুও আজুমা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি গ্যেটের (১৭৪৭-১৮৩২) সাহিত্যরচনা পড়া শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ গ্যেটেকে শ্রদ্ধা করতেন। মূল জার্মান ভাষায় গ্যেটেকে বোঝার জন্য তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা শিখলেন। ১৯৫৭ সালে এই ভাষা বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন করলেন। ১৯৫৯ সালে অর্জন করলেন ভারতীয় দর্শন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি। ১৯৬০ সালে জার্মান সাহিত্য ও ভাষায় এমএ ডিগ্রি নিলেন। একটি প্রবন্ধও লিখেছিলেন 'রবীন্দ্রনাথ ও জার্মানি' নামে।

কর্মজীবনে প্রবেশ করলেন ১৯৬১ সালে য়োকোহামা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষার প্রভাষক হিসেবে। ১৯৬৫ সালে সহযোগী অধ্যাপকে উন্নীত হলে পরে তার জীবনে সুযোগ এলো বিদেশে গিয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার জন্য। জার্মানিতে যখন যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন তখন শিক্ষাগুরু নাকামুরা হাজিমের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার আমন্ত্রণও এলো। তখনকার বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের অধ্যাপক তাৎসুও মোরিমোতোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মূল কারণ রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মিক শান্তির পথে হাঁটা আর বাংলা ভাষাকে আরও গভীরভাবে জানা। উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালে বিশ্বভারতীতে জাপানি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে সপরিবার অধ্যাপক কাজুও আজুমা জাপান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে শান্তিনিকেতনে গেলেন আনন্দচিত্তে।

শান্তিনিকেতন এবং বাংলা অঞ্চল তাকে আর তার পত্নী আরেক রবীন্দ্রঅন্তপ্রাণ মাদাম কেইকো আজুমাকে চিরদিনের জন্য 'গুরুদেব' এমনভাবে আধ্যাত্মিক বন্ধনে বেঁধে ফেললেন যে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত 'গুরুদেব' ছিলেন কাজুও আজুমার সাহিত্যজীবনের আদর্শই শুধু নয়, তার অন্তরের রাজা বা জীবনদেবতা। ২০১১ সালের ২৮ জুলাই অধ্যাপক আজুমার মহাপ্রয়াণের পর তার মহীয়সী স্ত্রী মাদাম কেইকো আজুমা 'গুরুদেব'কে নিয়ে অক্লান্ত ভেবে চলেছেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন বাঁধা পড়েছিলেন দুজনে রবীন্দ্রসাহিত্যের কারণেই। কেইকো আজুমা রবীন্দ্রনাথের 'বলাকা' কাব্যগ্রন্থের ওপর গবেষণালব্ধ অভিসন্দর্ভের বিনিময়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ভারততত্ত্ববিদ, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় দর্শনের অধ্যাপক ড. হাজিমে নাকামুরা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত তোওহোও গাকুয়েন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখেছেন, তার 'গল্পসল্প' (১৯৪১) অনুবাদ করেছেন এবং রবীন্দ্রসংগীতের চর্চাও করেছেন। কেইকো আজুমা ব্যতিরেকে অধ্যাপক কাজুও আজুমার ইতিহাস অসম্পূর্ণ।

শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য পরিবেশ, বাঙালির আবহমান সংস্কৃতি এবং রবীন্দ্রনাথের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ অধ্যাপক আজুমাকে আমূল পরিবর্তন করে দেয় বললে অত্যুক্তি হবে না। শান্তিনিকেতনে তিনি তার ছেলেবেলাকার গ্রামীণ পরিবেশকে খুঁজে পেয়েছিলেন। স্থানীয় ভাষার জটিলতা, রুক্ষ-রুদ্র আবহাওয়া, মানুষের ঈর্ষাজনিত আচার-আচরণ সবকিছুকেই অধ্যাপক আজুমা আরাধ্য ঈশ্বর রবীন্দ্রনাথের মহানশিক্ষার আলোকে জয় করে গেছেন। শান্তিনিকেতন, তৎসংলগ্ন সাঁওতাল গ্রাম, কলকাতা এবং বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট সর্বত্র তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার প্রিয় 'আজুমাসান' নামক এক সর্বদা হাস্যরসিক অসাধারণ অমায়িক মানুষ হিসেবে। জীবনের ৪০ বছরের অধিককাল তিনি শান্তিনিকেতন, কলকাতায় রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সংস্কৃতি গবেষণায়, সাধনায় নিমগ্ন থেকেছেন। এমন ঘটনা বাস্তবিকই বিরল!

জীবনে একদিনের জন্যও যে তিনি গুরুদেবকে ভুলে থাকতে পারেননি তার প্রমাণ তার বিপুল কর্মযজ্ঞ। ১৯৭১ সালে শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে আসার পর অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণে য়োকোহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের চাকরিটি হারান। বছরখানেক ব্যয়বহুল জাপানে দুঃখদৈন্যে কাটান। এসময় সমমনা বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন 'একলা চলোরে' নাম একটি সংগঠন গুরুদেবকে স্মরণে রেখেই। অন্তরে যার রবীন্দ্রনাথ নামক রাজেশ্বর বাস করেন তিনি কী কোনো সংকটকে তোয়াক্কা করতে পারেন? গুরুদেবকে কেন্দ্র করে গঠন করেন 'জাপান টেগোর সমিতি'। সভাপতি হন একদা রবীন্দ্রসুহৃদ অধ্যাপক ৎসুশোও বিয়োদোও, উপদেষ্টা হন আজীবন রবীন্দ্রভক্ত ও তার দোভাষী স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক নারীমুক্তি আন্দোলনের নেত্রী মাদাম তোমি কোরা (১৮৯৬-১৯৯৩) আর তিনি হন সাধারণ সম্পাদক। উদ্দেশ্য, রবীন্দ্রনাথের বাণী যুদ্ধবিধ্বস্ত শান্তির অন্বেষক জাপানে ছড়িয়ে দেওয়া। সেই সঙ্গে ১৯০২ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত মনীষী ওকাকুরা তেনশিন (১৮৬৩-১৯১৩) এবং রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তথা জাপান-বাংলা শিক্ষা-সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ধারাকে অব্যাহত রাখা।

এই সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে পূর্ববাংলায় স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। পূর্ববাংলা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের জন্মস্থান, শ্বশুরবাড়ি এবং বহুমূল্যবান স্মৃতিবিজড়িত পবিত্র ভূমি। সুতরাং উদ্যোগী হলেন জাপানে জনসমর্থন এবং ভারতে আশ্রিত লাখ লাখ শরণার্থীর জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহে। চাঁদা তুলে পাঠালেন ভারতে। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে মর্যাদাসম্পন্ন ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফরে এলে তিনি ছিলেন তার সার্বক্ষণিক দোভাষী। তারা হয়ে ওঠেন পরস্পরের গভীর বন্ধু। রবীন্দ্রনাথের পরম ভক্ত শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথের গান 'আমার সোনার বাংলা'কে করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- এটা ছিল অধ্যাপক আজুমার কাছে অভূতপূর্ব ঘটনা! তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের জাপানি অনুবাদক, অনুবাদক ভারতীয় জাতীয় সংগীতেরও।

কর্মবীর অধ্যাপক আজুমার জীবন নানা গুণে, কর্মে ও লক্ষ্যে অতুলনীয়। পঞ্চাশের দশক থেকে যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখালেখি, গবেষণা এবং অনুবাদের কাজ করছিলেন তার ছেদ পড়েনি ২০০৬ সালে রোগশয্যায় শুয়ে শুয়ে গুরুদেবের প্রতি শেষ প্রণতি 'তাগো-রু' বা 'টেগোর' গ্রন্থটি লেখা পর্যন্ত। ইংরেজি, জাপানি এবং বাংলা মিলিয়ে রবীন্দ্রবিষয়ক তার বিস্তর প্রবন্ধ জাপান, ভারত-বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। একক আর কোনো জাপানি রবীন্দ্রভক্ত এত লেখা লিখেননি জীবদ্দশায়। রবীন্দ্রনাথবিষয়ক তার কালজয়ী গ্রন্থ তাগো-রু : জিনরুই নো চিতেকি ইসান (টেগোর : মানবজাতির বুদ্ধিতাত্তি্বক সম্পদ, জাপানি, ১৯৮১, টোকিও), গোরা (বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮২, টোকিও), রবীন্দ্রচিত্রকলা : রবীন্দ্রসাহিত্যের পটভূমিকা/সোমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (নাওকি নিশিওকা ও মাসাইউকি উসুদাসহ অনুবাদ বাংলা থেকে জাপানি, ১৯৮৮, টোকিও), ভারত-ভ্রমণ দিনপঞ্জি/কাম্পো আরাই (অনুবাদ জাপানি থেকে বাংলা, ১৯৯৩, কলকাতা), শিকড়ের সন্ধানে/এম এইচ কবীর (বাংলা থেকে জাপানি অনুবাদ, ১৯৯৫, টোকিও), শিতোকু হরির দিনপঞ্জি (জাপানি থেকে বাংলায় অনুবাদ, ১৯৯৬, কলকাতা), উজ্জ্বল সূর্য (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৬), প্রসঙ্গ : রবীন্দ্রনাথ ও জাপান (বাংলা, কলকাতা, ১৯৯৮), জাপান, রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র ও অন্যান্য (বাংলা, কলকাতা, ২০০০), জাপান ও রবীন্দ্রনাথ : শতবর্ষের বিনিময় (বাংলা, কলকাতা, ২০০৪), তাগো-রু : শি. শিসোও. শোওগাই (টেগোর : কবিতা, চিন্তা, জীবন; জাপানি, ২০০৬, টোকিও) উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া 'চলন্তিকা'র (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ, 'গীতাঞ্জলি'র ছন্দ, রাজা রামমোহন রায়ের 'গৌড়ীয় ব্যাকরণ' নিয়ে শ্রমলব্ধ গবেষণা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য সপ্তাহ'র প্রবন্ধসমূহের (অধ্যাপক সেইজোও আয়োইয়াগিসহ) অনুবাদ অমূল্য সাহিত্যসম্পদ।

একমাত্র গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের জন্য অধ্যাপক কাজুও আজুমা যেভাবে নিঃস্বার্থ নিরলস কাজ করে গেছেন তার তুলনা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তার বিপুল কর্মযজ্ঞের দিকে তাকালে মেনে নিতে কষ্ট হয় না যে, তিনি রবীন্দ্রনাথের চিন্তা ও সাহিত্যের দিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আকৃষ্ট এবং গবেষণা করার লক্ষ্যে একাধিক মহৎ কাজের পুণ্যব্রত নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৯৪ সালে শান্তিনিকেতনে 'নিপ্পন ভবন' প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গুরুদেবের 'স্বপ্ন'কে পূরণ করেছেন। মূলত তারই উদ্যোগে ১২ খণ্ডে জাপানি ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে, যা এক কথায় অসামান্য কাজ! ২০০৭ সালে কলকাতার সল্টলেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন 'জাপান-ভারত সংস্কৃতি কেন্দ্র : রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবন'। অনুরূপ বাংলাদেশের সিলেট জেলার বড়লেখা উপজেলায় 'বাংলাদেশ-জাপান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র' গড়ে তোলার পরিকল্পনাস্বরূপ সাড়ে ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তার এক ঘনিষ্ঠজন দারাদ আহমেদকে কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি, সম্পূর্ণ টাকাই আত্মসাৎ করে পালিয়েছে সেই দুর্বৃত্ত।

জীবনে অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা অর্জন করেছেন রবীন্দ্র অনুরাগী অধ্যাপক কাজুও আজুমা তার অসামান্য কীর্তিকর্মের মূল্যায়নস্বরূপ। ২০০০ সালে বিশ্বভারতী ভূষিত করেছে 'দেশিকোত্তম' সম্মানে, ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদান করেছে 'রবীন্দ্র পুরস্কার', ২০০৮ সালে জাপান সরকার সম্মানিত করেছে রাষ্ট্রীয় পদক 'ক্কোকা কুনশোও' প্রদান করে। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির লালবাহাদুর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় তাকে দিয়েছে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি। 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য'রূপে তাকে বরণ করেছে টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি তাকে দিয়েছে রিসার্চ ফেলোশিপ সম্মান।

 

এই বিভাগের আরও খবর
একগুচ্ছ কবিতা
একগুচ্ছ কবিতা
লাল শাপলার বক্ষটান
লাল শাপলার বক্ষটান
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাসাহিত্য
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
সর্বশেষ খবর
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা

৩৭ মিনিট আগে | শোবিজ

যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক
যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক
রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা