শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

নিবন্ধ ♦ পিয়াস মজিদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

‘সব্যসাচী লেখক’ নামে দীর্ঘদিন তাঁকে আমরা ব্র্যাকেটবন্দী করে রেখেছি। ‘সব্যসাচী’ বলাটা যতটা সহজ ততটাই কঠিন সাহিত্যের শাখায় শাখায় সৈয়দ হকের বর্ণাঢ্য সফরকে বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ। ‘একদা এক রাজ্যে’ থেকে ‘তবু বেঁচে থাকা অপরূপ’ কবিতাগ্রন্থ পর্যন্ত, ‘তাস থেকে ফেরি জাহাজের অপেক্ষায়’ গল্পগ্রহ পর্যন্ত, ‘এক মহিলার ছবি’ থেকে ‘নদী কারো নয়’ উপন্যাস পর্যন্ত, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ থেকে ‘উত্তরবংশ’ কাব্যনাট্য পর্যন্ত তিনি নিয়ত নবায়িত। সৈয়দ শামসুল হক সর্বাধুনিক সাহিত্যরীতির আশ্রয়ে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে যে নিজস্ব-নতুন শিল্পপথ সৃষ্টি করেছেন তা নিঃসন্দেহে উদাহরণীয়। এ পথে সৈয়দ হক ছিলেন একক ও অনন্য। প্রচলিত ভাষা ও রীতিকে সর্বতোরূপে প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তি আর গণকণ্ঠ যুগপৎ তিনি ধারণ করেছেন অবিরত। 

২.

নিসর্গে তুমি নতুন বৃক্ষ

নতুন বর্ষা নতুন ফুল

দিগন্তে নতুন মাস্তুল

পিতৃপুরুষের চিত্রিত দণ্ড

দাউদাউ নাপামের

মধ্যে তুমি হেঁটে যাও

উদ্যত একাকী

জনশূন্য জনপদে  উজ্জ্বল এক চিতা।

(গেরিলা)

সত্তরের দশকে লেখা সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘গেরিলা’র পাশাপাশি মিলিয়ে পড়ি ২০০৬-এর একটি কবিতা্ব

প্রতিবিম্ব জলে যে সুস্থির্ব

সেও ক্ষণকাল মাত্র।

বালক মৃত্যুর মতো ঢিল হাতে দাঁড়িয়ে কিনারে

কিছুকাল তাকিয়ে দেখল্ব

তারপর ছুড়ে দিলো হাতের পাথর।

জীবনেরও কিছু কিছু থেকে যায়্ব

চূর্ণিত হওয়ার নয়্ব

বরং তা বৃত্তের আকারে

জলে ভেসে যায়্ব

যেতে থাকে তীরে যেতে যেতে তারপরও।

(প্রতিবিম্ব)

দুস্তর সময়-ব্যবধানের এ দুটো কবিতাই সাক্ষ্য দেবে সৈয়দ হকের বিরামহীন নিরীক্ষালগ্নতা। এ নিরীক্ষা যেমন ভাষাকাঠামোর তেমনি আঙ্গিক সংস্থানেরও। আর তাত্পর্যের দিক হচ্ছে আধুনিক কবিতা নিয়ে জনযোগাযোগহীনতার যে অভিযোগ তা থেকেও তার কবিতা আশ্চর্যরকমভাবে মুক্ত। ‘একদা এক রাজ্যে’ দিয়ে যে কবিতা যাত্রা তা ক্রমশ বিচিত্র-বর্ণিল বাঁক ঘুরে পৌঁছেছে সাম্প্রতিক পর্বের নিরাভরণ কবিতামালায়। ‘বৈশাখে রচিত পঙিক্তমালা’ থেকেই দীর্ঘাবয়বে জাজ্বল্য করা শুরু করলেন সমসাময়িক যাবতীয় তিতবাস্তবতা্বআমার সন্তান।/ যেন বাংলার শ্মশানে থাকে দুধে-ভাতে।

শ্মশানবাংলা থেকে অতঃপর পাড়ি দেন জগৎ ও জীবনের অনেকানেক নিগূঢ় পরিস্থিতির পানে। ‘আমার শহর’  কাব্যে চেনা-অচেনা গলি-ঘুপচির সমান্তরালে ইতিহাসের সরল-বক্র পথে পরিভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে বাঙ্ময় হতে দেখি। ‘পরানের গহীন ভিতর’  সনেটগুচ্ছে ধরা রইল ভূ-বাংলার লোকনন্দন, লোকভাষা। আজ যখন নতুন কাব্যভাষার নামে নানা ভাষা-সাম্প্রদায়িকতা গজিয়ে উঠতে দেখছি চতুর্দিকে তখন ‘পরানের গহীন ভিতর’-এর ভূমিকা-কথনের দিকে ফিরে তাকানো জরুরি হয়ে পড়্বে‘...বাংলাদেশের প্রধান দুর্ভাগ্য, ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক কূটচাল বহুদিন থেকে চলেই চলেছে... ইংরেজি ভাষার আওতার ভেতরেই একজন মার্কিন নিগ্রো কবি, একজন স্কটিশ কবি, একজন আফ্রিকান কবি যদি লৌকিক বাক্ভঙ্গি, শব্দ এবং উচ্চারণ্বব্যবহার করে সার্থক ও স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারেন, আমরাই বা বাংলার সে সম্ভাবনা পরীক্ষা করে কেন দেখব না? কখনো কখনো?্বপাশাপাশি? অথবা, একই সঙ্গে?’

সৈয়দ হকের এই ভিন্নমাত্রিক কাব্যপ্রয়াস পূর্ব বাংলা কিংবা পশ্চিম বাংলার পৃথক ভাষাবৈশিষ্ট্যের নামে বিভেদবাদী চক্রান্তে পক্ষে যায় না কারণ তার ভাষা-দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। রাজনীতিও স্পষ্ট। সৈয়দ হক বিভেদবাদী নন। তিনি বরং দুঃখী যমুনাবাদী। দুঃখী বাংলাবাদী। কোনো কূটচাল নয়; সে দুঃখকে যথাযথ রূপদানেই তার যত ভাষাকৌশল।

জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’য়  ভবিষ্যতে বাংলায় দীর্ঘ কবিতার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। সৈয়দ হকের কাব্যকাজ যেন তারই সাক্ষ্য। কারণ খণ্ডকবিতার ঔজ্জ্বল্য সত্ত্বেও দীর্ঘ কবিতাতেই যেন তার গরিমা পরস্ফুিট। ১৯৮৪-তে প্রকাশিত অন্তর্গততে কথাকাব্যের অবয়বে বিধৃত হয়েছে রক্তাক্ত একাত্তর। যেখানে আমাদের অপূর্ব ও নৃশংস অভিজ্ঞান—

চোখ ভিজে আসে, চোখ ভিজে যায়,

চোখ ভেসে যায় মানুষের চোখ,

মানুষের তো চোখ আছে,

সে চোখ শুধু দ্যাখে না,

সে চোখ কাঁদে, সে চোখ ভিজে আসে, ভেসে যায়...।

৩.

গল্পকে তিনি গল্প বলেন না। বলেন্ব গল্পপ্রবন্ধ। কারণ তিনি সবল সাহসী হাতে ভেঙে দিয়েছেন ফিকশন-ননফিকশন বিভাজন। আঠারো বছর পেরিয়ে যখন উনিশের দিকে চলেছেন তখন সাতটি গল্প নিয়ে বের হয় তার প্রথম গ্রন্থ ‘তাস’ (১৯৫৪)। পঞ্চাশ বছর যাবৎ তাঁর প্রায় শত সংখ্যক ছোট ও বড় গল্পের মধ্য দিয়ে অভিনতুন গল্পকলা তৈরি করে চলেছেন সৈয়দ হক।

মার্কেজের যেমন মাকন্দো, দেবেশ রায়ের যেমন তিস্তা তেমনি সৈয়দ হকের জলেশ্বরী। কল্পনায় গড়ে তোলা জনপদ। আধকোষা নদীর (তারই কল্পিত নাম) তীরে মূল শহর জলেশ্বরী। ভারত সীমান্ত পর্যন্ত উত্তরে চলে গেছে মান্দার বাড়ি, হরিশাল, হস্তিবাড়ি; দক্ষিণে নবগ্রাম, শকুনমারি, বুড়িরচর। উত্তর বাংলার পরিবেশ, গাছপালা, মানুষের সারল্য আর সংগ্রামকে ল্যান্ডস্কেপ করে সৈয়দ শামসুল হক তাঁর গল্পের ভুবন বিস্তৃত করেছেন। যে উত্তর বাংলার আরেক নাম মঙ্গা, সে উত্তর বাংলার অঘোষিত মুখপাত্র কথাকার সৈয়দ হক। জলেশ্বরীর জীবনকে আমরা যতই দূরের মনে করি ততই তা আমাদের অংশী হয়ে ওঠে। ‘কোথায় ঘুমোবে করিমন বেওয়া’ গল্পের ভুখা করিমন বেওয়ার লাশ জলেশ্বরীর কোথাও দাফন হয় না আবার একই সময় জলেশ্বরীর সর্বত্র করিমন বেওয়ার লাশের গন্ধ পাওয়া যায় এবং ‘...আমরা বিকটভাবে আবিষ্কার করি, করিমন বেওয়া আমাদেরই পাশে ঘুমিয়ে আছে, কারণ্বসে আর কোথায় ঘুমোবে?’ সৈয়দ হকের আবদুল খালেক সিরিজের কিছু গল্পে (‘আমার বন্ধু আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেক ফিলিপকুমার মুলাকাৎ’, ‘অভিনেতারূপে আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেকের আবার রাজনীতি’) বাস্তব ও অতিবাস্তবের অভূতপূর্ব মিশেল ঘটেছে। জাদুবাস্তব আখ্যান নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক উত্তেজনার অনেক আগেই তিনি এ ধারার স্মরণীর সব গল্প লিখেছেন। তবে কোনো শিল্পকৌশলই তাঁর গল্পকে গল্পহীন করে না। বড় মাপের ভাষাশিল্পী বলেই তিনি জানেন ভাষার সীমাবদ্ধতা।

তাঁর একটি গল্পের নাম ‘বিয়ের দেড় মাস পর ফৌজিয়া কিম্বা পুরুষ তার চেনা হয়ে গেছে।’ একটি গল্পের দুটো পরস্পর-বিকল্প নামের মধ্য দিয়ে এ লেখকের নবীনতা-অন্বেষা তার প্রাগ্রসর রুচিরই পরিচয়বহ। ‘আনন্দের মৃত্যু’ গল্পে পানশালার নিঃসঙ্গ লোকটির মৃত্যুদৃশ্য দেখে কলহরত দুই পানাহারী বন্ধু হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়। তারপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে তাদের উপলব্ধ্বি‘কিছুই কিছু না, আর সেই যে কিছু না তাও কিছু না।’

আপাত নিরর্থতাবোধের গল্পে সৈয়দ হক সঞ্চার করেন অনুক্ত বহু গূঢ়ার্থ। কারণ একজন দ্রষ্টা হিসেবে তিনি দেখে চলেছেন চারপাশে শুধু মৃত মাধুরীর কণা। দশদিক থেকে বর্বরেরা ধেয়ে আসছে। পূর্ণিমার ভিতর  বেচাকেনা হয়ে যাচ্ছে নারী। এক মহামারী থেকে আমরা চলেছি অন্য এক মহামারীর দিকে। জীবন এখানে গুপ্ত, মৃত্যুই প্রকাশ্য। আর জীবনভর রুটি ও গোলাপের দ্বন্দ্বে আমরা পিষ্ট হচ্ছি। তাঁর একটি বড় গল্পের নাম ‘নানা প্রকার নীরবতা।’ চারপাশের নেতিবাস্তবতা দেখেও আমরা যখন ভয়াবহ নীরব তখন সৈয়দ হকের গল্পগুলো যেন আমাদের নিষ্ঠুর নীরবতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

৪.

আর তাঁর উপন্যাস। ‘এক মহিলার ছবি, অনুপম দিন, দেয়ালের দেশ’ দিয়ে যে প্রারম্ভ ‘নিষিদ্ধ লোবান’, বা ‘নীলদংশন’ আবার তার থেকে বহু দূরগামী। ‘নীলদংশন’ উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলামের কাছাকাছি চেহারার এক অসহায় ব্যক্তিকে যে যুদ্ধবাস্তবের মুখোমুখি হতে হয় তাকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পরিবেশনে আর দৈব ভাবা যায় না। কারণ তখন বোধ জন্মে—মানুষ হিসেবে এই অসহায়তাই তো আমাদের বড় বাস্তবতা।

‘চোখবাজি’, ‘বারোদিনের শিশু’, ‘মৃগয়ায় কালক্ষেপ’, ‘দ্বিতীয় দিনের কাহিনী’, ‘দূরত্ব’, ‘বালিকার চন্দ্রযান’, ‘ইহা মানুষ’, ‘স্তব্ধতার অনুবাদ’, ‘বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল’ ইত্যাদি উপন্যাসে প্রযুক্ত হয়েছে নানাস্তরিক নিরীক্ষা প্রতিটি উপন্যাসে জারিত হয়েছে তাঁর গভীর জীবন ও মৃত্যুবোধ। প্রেম ও যৌনতা উভয় সৌন্দর্যের রসায়নে ঘনবদ্ধ তাঁর উপন্যাসকর্ম।

শ্লীলতা-অশ্লীলতার প্রসঙ্গ অবান্তর; শিল্পশর্ত পূরিত কিনা তা-ই দিয়ে কোনো শিল্পকর্মের মূল্য নির্ণীত হওয়া স্বাভাবিক ও সঙ্গত। ‘খেলারাম খেলে যা’ (১৯৭৩) উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে বাবর যখন সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্ছিত জাহেদার (যাকে ইতিপূর্বে সে নিজে ভোগ করেছে) বিপ্রতীপে কয়েক দশক আগের দাঙ্গায় ধর্ষিতা-নিহত বোন হাসনুকে দাঁড় করায় তখন মুহূর্তেই জাহেদা তার বোন হয়ে যায়। আর বোন মানে তো ধ্বস্ত দেশমায়েরই প্রতিকৃতি। এ অসাধারণ কোলাজ ‘খেলারাম খেলে যা’-কে মহত্তর উপন্যাসের কাতারে নিয়ে গেছে। সৈয়দ হকের ‘বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ’ শুধু ব্যাপ্তিতে নয়; গভীরতার দিক দিয়েও নিরূপম যুদ্ধসাহিত্য।

৫.

সৈয়দ হককে অনুবাদক বলব না রূপান্তরক? তিনি ভিনভাষী গল্প-কবিতার যান্ত্রিক অনুবাদে বিশ্বাসী নন। সৃষ্টিশীল রূপান্তরে তার আস্থা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘কেরায়া’ গল্পের অসামান্য অনুবাদ আমরা তাঁর প্রাথমিক অনুবাদক জীবনে পেয়েছি। শেকসপিয়রের কিছু নাটক (যেমন্বটেম্পেস্ট, ম্যাকবেথ, ত্রয়লাস ও ক্রেসিডা), সল বেলোর উপন্যাসের বাংলা ভাষ্য ‘শ্রাবণ রাজা’ থেকে শুরু করে জেরেমি সিব্রুকের ‘এক নারীর জীবন’ পর্যন্ত বহুমাত্রিক অনুবাদকর্ম তাঁর হাত হতে উচ্ছৃত হয়েছে। তবে হকের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকীর্তি বোধকরি ‘গোলাপের বনে দীর্ঘশ্বাস’ এবং ‘বিম্বিত কবিতাগুলো’।

প্রথমোক্ত বইয়ে গুচ্ছিত আছে উর্দু প্রেম-বিরহের কবিতার রূপান্তর, বাংলা-ভাষ্যেও যার মূলগত দীর্ঘশ্বাস একটুও ম্লান হয়নি। আর দ্বিতীয় বইটিতে ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষী কবিদের কবিতার নিজস্বতা-ব্যঞ্জিত বাংলা রূপান্তর। নিজ কবিতার খরা-দিনে নিজেরই কবিতাজ্ঞানে এসব কবিতাকে তিনি নতুন আত্মা দান করেন। তার রূপান্তরে অন্য ভাষার কবিতা কেমন কায়া গঠন করে তার একটি দৃষ্টান্ত্ব

আমি জয়নুল!

আকালে উজাড় গ্রাম থেকে উড়ে এসে

আমার দু’চোখ ঠুকরে খেয়ে গেছে কাক।

আমি-শোক

আমি-আর্তনাদ

যুদ্ধের আগুনে পোড়া শহরের আঁত নাড়ি প্লীহা্ব

আমি ক্ষুধা!

আমি-সানিক

ফুটপাথে পড়ে থাকা লাশের, যে

কুকুরের কাছে পরাজিত

আমি-জয়নুল।

...

(জয়নুল; আন্দ্রেই ভজেনসেনিস্ক, রূপান্তর—সৈ. শা. হ.)

কবিতার এই বিশ্বায়ন নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের বক্তব্য্ব‘এ সকল অন্য ভাষায় অন্য কবির লেখা হলেও এখন তারা আমারই উচ্চারণে আমার কবিতা বটে। আবার ঠিক আমারও নয়; যেমন বিম্বিত তারা আমার করোটিত্বেআমার অন্তর্গত জলের কম্পনে চূর্ণিত, স্থিরতায় আমারই বর্ণসংশ্লেষে ভিন্ন-রঞ্জিত।’

তাঁর হাতে রূপান্তরিত হয়েছেন্বলুই আরাগঁ, শার্ল বোদলেয়ার, আন্তোনিও মাচাদো, ডব্লিউ এইচ অডেন, লরেন্স ফারলিংগেটি, ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা, কার্ল স্যান্ডবার্গ, রবার্ট গ্রেভস প্রমুখ কবি।

৬.

যদি বলি কাব্যনাট্যকে বাংলায় জনপ্রিয় করেছেন সৈয়দ শামসুল হক তবে মনে হয় অত্যুক্তি করা হবে না। তাঁর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ কয়েক পুরুষ যাবৎ বাঙালির নিজস্ব গৌরবের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটের সময় আমরা প্রত্যাশা করি—‘আবার নূরলদীন আসিবে বাঙলায়।’

কাব্যনাট্যের মতো দুরূহ শিল্পমাধ্যমটির পাঠ ও মঞ্চসম্ভাবনা উভয় রক্ষা করে তিনি ক্রমাগত নতুন নতুন নাটক উপহার দিচ্ছেন। ‘খাট্টা তামাশা’, ‘এখানে এখন’, ‘নারীগণ’, ‘উত্তরবংশ’ ইত্যাদি প্রত্যেকটি নাটক বিষয় ও শৈলীবৈচিত্র্যে সমুজ্জ্বল।

উইলিয়াম শেকসপিয়রের ‘জুলিয়াস সীজার’ অবলম্বনে সৈয়দ হক লিখলেন ‘গণনায়ক’। দেশবাস্তবতা তার অবলম্বিত নাটককেও কবিতার মতোই তৃতীয় রসের সন্ধান দেয়। রাজনীতিতাড়িত কাব্যনাট্যের বাইরে শিল্পকলাকে ভিত্তিভূমে রেখে সৈয়দ শামসুল হকের উচ্চাভিলাষী নাট্যকর্ম ‘ঈর্ষা’। মাত্র তিনটি চরিত্র এবং সাতটি সংলাপের নাটক। এক একটি সংলাপ দৈর্ঘ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের। সার্ধশত রবীন্দ্রজন্মবর্ষে পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র সংসর্গ উপজীব্য করে সৈয়দ হকের নাট্যনিবেদন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।

৭.

মুক্তগদ্যের আদলে প্রবন্ধের সম্পূর্ণ পৃথক এক ঘরানা নির্মিত হয়েছে তাঁর হাতে। ‘কথা সামান্যই’তে আমাদের ভাষাগত নৈরাজ্যকে সামনে নিয়ে এসেছেন। দেখিয়েছেন মীমাংসার সূত্রও। কারণ ভাষা তার প্রথম ও প্রধান প্রেম।

‘গল্পের কলকব্জা’ এবং ‘কবিতার কিমিয়া’্বএ দুইভাগে বিশ্লিষ্ট ‘মার্জিনে মন্তব্য’। খণ্ড খণ্ড ব্যাখ্যায় তিনি বাংলা ভাষায় গল্পকার ও কবিদের জন্য গল্প-কবিতার নিগূঢ় রসায়ন, গঠনকৌশল, ভাষারহস্য ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়কে সউদাহরণে ব্যাখ্যা করেছেন। সাহিত্য যে সাধনার বিষয় সেটি নিজ অভিজ্ঞতাসূত্রে উপার্জিত বলে ভবিষ্যৎ লেখককে সে দুরূহ সাধনপথে স্বেচ্ছা-সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘হৃৎকলমের টানে’র দুটো খণ্ডকে প্রথাভাঙা সন্দর্ভ আখ্যা দিতে চাই। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিক অনুভূতিকে কীভাবে গুরুভাবনার বিষয় করে তোলা যায় তার দলিল হৃৎকলমের টানে। ‘বিশাল বাংলা’ নামের রিপোর্টাজধর্মী বইয়ে বাংলার আনাচে-কানাচে ভ্রমণসূত্রে তার বিচিত্র ভূগোল ও বিস্তীর্ণ জনজীবনকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন।

৮.

সুদূর কুড়িগ্রামের যে অনতি-বিশ তরুণ ‘শামসুল শায়ের’ নামে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি আজ চলে গেলেন আশি বছর নয় মাসে। ‘সাতাশ’ শব্দটি তাঁর জীবনে উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, ঘাসের উপর থেকে চলে যাওয়া ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। এই পোড়া দেশে যতবার মঙ্গা ততবার সৈয়দ হক। যতবার খাকি উর্দি ততবার সৈয়দ হক। যতবার মোল্লাতন্ত্র ততবার সৈয়দ হক। যতবার দুঃখ ও দারিদ্র্য ততবার সৈয়দ হক। ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’ ব্যতীত আর কোন ধ্বনি কালপূর্ণিমায় ভাঙাতে পারে বাঙালির ঘুম?

এই বিভাগের আরও খবর
পুরোনো চিঠির ভাঁজে
পুরোনো চিঠির ভাঁজে
তোমার কাছে ফিরছি
তোমার কাছে ফিরছি
ডিজিটাল হাটে
ডিজিটাল হাটে
সামনেই শীত, তুমি ব্যস্ত
সামনেই শীত, তুমি ব্যস্ত
হেমন্তবন্দনা
হেমন্তবন্দনা
বৈরী বাতাস
বৈরী বাতাস
বুকপকেট
বুকপকেট
ভুলপুরাণের জোছনা
ভুলপুরাণের জোছনা
সমুদ্রমন্থন
সমুদ্রমন্থন
দুপুরভরা চাঁদ এবং কিছু স্বায়ত্তশাসিত ছায়া
দুপুরভরা চাঁদ এবং কিছু স্বায়ত্তশাসিত ছায়া
লেনদেন
লেনদেন
যদি তুমি
যদি তুমি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৯ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে