শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

নিবন্ধ ♦ পিয়াস মজিদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

‘সব্যসাচী লেখক’ নামে দীর্ঘদিন তাঁকে আমরা ব্র্যাকেটবন্দী করে রেখেছি। ‘সব্যসাচী’ বলাটা যতটা সহজ ততটাই কঠিন সাহিত্যের শাখায় শাখায় সৈয়দ হকের বর্ণাঢ্য সফরকে বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ। ‘একদা এক রাজ্যে’ থেকে ‘তবু বেঁচে থাকা অপরূপ’ কবিতাগ্রন্থ পর্যন্ত, ‘তাস থেকে ফেরি জাহাজের অপেক্ষায়’ গল্পগ্রহ পর্যন্ত, ‘এক মহিলার ছবি’ থেকে ‘নদী কারো নয়’ উপন্যাস পর্যন্ত, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ থেকে ‘উত্তরবংশ’ কাব্যনাট্য পর্যন্ত তিনি নিয়ত নবায়িত। সৈয়দ শামসুল হক সর্বাধুনিক সাহিত্যরীতির আশ্রয়ে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে যে নিজস্ব-নতুন শিল্পপথ সৃষ্টি করেছেন তা নিঃসন্দেহে উদাহরণীয়। এ পথে সৈয়দ হক ছিলেন একক ও অনন্য। প্রচলিত ভাষা ও রীতিকে সর্বতোরূপে প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তি আর গণকণ্ঠ যুগপৎ তিনি ধারণ করেছেন অবিরত। 

২.

নিসর্গে তুমি নতুন বৃক্ষ

নতুন বর্ষা নতুন ফুল

দিগন্তে নতুন মাস্তুল

পিতৃপুরুষের চিত্রিত দণ্ড

দাউদাউ নাপামের

মধ্যে তুমি হেঁটে যাও

উদ্যত একাকী

জনশূন্য জনপদে  উজ্জ্বল এক চিতা।

(গেরিলা)

সত্তরের দশকে লেখা সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘গেরিলা’র পাশাপাশি মিলিয়ে পড়ি ২০০৬-এর একটি কবিতা্ব

প্রতিবিম্ব জলে যে সুস্থির্ব

সেও ক্ষণকাল মাত্র।

বালক মৃত্যুর মতো ঢিল হাতে দাঁড়িয়ে কিনারে

কিছুকাল তাকিয়ে দেখল্ব

তারপর ছুড়ে দিলো হাতের পাথর।

জীবনেরও কিছু কিছু থেকে যায়্ব

চূর্ণিত হওয়ার নয়্ব

বরং তা বৃত্তের আকারে

জলে ভেসে যায়্ব

যেতে থাকে তীরে যেতে যেতে তারপরও।

(প্রতিবিম্ব)

দুস্তর সময়-ব্যবধানের এ দুটো কবিতাই সাক্ষ্য দেবে সৈয়দ হকের বিরামহীন নিরীক্ষালগ্নতা। এ নিরীক্ষা যেমন ভাষাকাঠামোর তেমনি আঙ্গিক সংস্থানেরও। আর তাত্পর্যের দিক হচ্ছে আধুনিক কবিতা নিয়ে জনযোগাযোগহীনতার যে অভিযোগ তা থেকেও তার কবিতা আশ্চর্যরকমভাবে মুক্ত। ‘একদা এক রাজ্যে’ দিয়ে যে কবিতা যাত্রা তা ক্রমশ বিচিত্র-বর্ণিল বাঁক ঘুরে পৌঁছেছে সাম্প্রতিক পর্বের নিরাভরণ কবিতামালায়। ‘বৈশাখে রচিত পঙিক্তমালা’ থেকেই দীর্ঘাবয়বে জাজ্বল্য করা শুরু করলেন সমসাময়িক যাবতীয় তিতবাস্তবতা্বআমার সন্তান।/ যেন বাংলার শ্মশানে থাকে দুধে-ভাতে।

শ্মশানবাংলা থেকে অতঃপর পাড়ি দেন জগৎ ও জীবনের অনেকানেক নিগূঢ় পরিস্থিতির পানে। ‘আমার শহর’  কাব্যে চেনা-অচেনা গলি-ঘুপচির সমান্তরালে ইতিহাসের সরল-বক্র পথে পরিভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে বাঙ্ময় হতে দেখি। ‘পরানের গহীন ভিতর’  সনেটগুচ্ছে ধরা রইল ভূ-বাংলার লোকনন্দন, লোকভাষা। আজ যখন নতুন কাব্যভাষার নামে নানা ভাষা-সাম্প্রদায়িকতা গজিয়ে উঠতে দেখছি চতুর্দিকে তখন ‘পরানের গহীন ভিতর’-এর ভূমিকা-কথনের দিকে ফিরে তাকানো জরুরি হয়ে পড়্বে‘...বাংলাদেশের প্রধান দুর্ভাগ্য, ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক কূটচাল বহুদিন থেকে চলেই চলেছে... ইংরেজি ভাষার আওতার ভেতরেই একজন মার্কিন নিগ্রো কবি, একজন স্কটিশ কবি, একজন আফ্রিকান কবি যদি লৌকিক বাক্ভঙ্গি, শব্দ এবং উচ্চারণ্বব্যবহার করে সার্থক ও স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারেন, আমরাই বা বাংলার সে সম্ভাবনা পরীক্ষা করে কেন দেখব না? কখনো কখনো?্বপাশাপাশি? অথবা, একই সঙ্গে?’

সৈয়দ হকের এই ভিন্নমাত্রিক কাব্যপ্রয়াস পূর্ব বাংলা কিংবা পশ্চিম বাংলার পৃথক ভাষাবৈশিষ্ট্যের নামে বিভেদবাদী চক্রান্তে পক্ষে যায় না কারণ তার ভাষা-দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। রাজনীতিও স্পষ্ট। সৈয়দ হক বিভেদবাদী নন। তিনি বরং দুঃখী যমুনাবাদী। দুঃখী বাংলাবাদী। কোনো কূটচাল নয়; সে দুঃখকে যথাযথ রূপদানেই তার যত ভাষাকৌশল।

জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’য়  ভবিষ্যতে বাংলায় দীর্ঘ কবিতার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। সৈয়দ হকের কাব্যকাজ যেন তারই সাক্ষ্য। কারণ খণ্ডকবিতার ঔজ্জ্বল্য সত্ত্বেও দীর্ঘ কবিতাতেই যেন তার গরিমা পরস্ফুিট। ১৯৮৪-তে প্রকাশিত অন্তর্গততে কথাকাব্যের অবয়বে বিধৃত হয়েছে রক্তাক্ত একাত্তর। যেখানে আমাদের অপূর্ব ও নৃশংস অভিজ্ঞান—

চোখ ভিজে আসে, চোখ ভিজে যায়,

চোখ ভেসে যায় মানুষের চোখ,

মানুষের তো চোখ আছে,

সে চোখ শুধু দ্যাখে না,

সে চোখ কাঁদে, সে চোখ ভিজে আসে, ভেসে যায়...।

৩.

গল্পকে তিনি গল্প বলেন না। বলেন্ব গল্পপ্রবন্ধ। কারণ তিনি সবল সাহসী হাতে ভেঙে দিয়েছেন ফিকশন-ননফিকশন বিভাজন। আঠারো বছর পেরিয়ে যখন উনিশের দিকে চলেছেন তখন সাতটি গল্প নিয়ে বের হয় তার প্রথম গ্রন্থ ‘তাস’ (১৯৫৪)। পঞ্চাশ বছর যাবৎ তাঁর প্রায় শত সংখ্যক ছোট ও বড় গল্পের মধ্য দিয়ে অভিনতুন গল্পকলা তৈরি করে চলেছেন সৈয়দ হক।

মার্কেজের যেমন মাকন্দো, দেবেশ রায়ের যেমন তিস্তা তেমনি সৈয়দ হকের জলেশ্বরী। কল্পনায় গড়ে তোলা জনপদ। আধকোষা নদীর (তারই কল্পিত নাম) তীরে মূল শহর জলেশ্বরী। ভারত সীমান্ত পর্যন্ত উত্তরে চলে গেছে মান্দার বাড়ি, হরিশাল, হস্তিবাড়ি; দক্ষিণে নবগ্রাম, শকুনমারি, বুড়িরচর। উত্তর বাংলার পরিবেশ, গাছপালা, মানুষের সারল্য আর সংগ্রামকে ল্যান্ডস্কেপ করে সৈয়দ শামসুল হক তাঁর গল্পের ভুবন বিস্তৃত করেছেন। যে উত্তর বাংলার আরেক নাম মঙ্গা, সে উত্তর বাংলার অঘোষিত মুখপাত্র কথাকার সৈয়দ হক। জলেশ্বরীর জীবনকে আমরা যতই দূরের মনে করি ততই তা আমাদের অংশী হয়ে ওঠে। ‘কোথায় ঘুমোবে করিমন বেওয়া’ গল্পের ভুখা করিমন বেওয়ার লাশ জলেশ্বরীর কোথাও দাফন হয় না আবার একই সময় জলেশ্বরীর সর্বত্র করিমন বেওয়ার লাশের গন্ধ পাওয়া যায় এবং ‘...আমরা বিকটভাবে আবিষ্কার করি, করিমন বেওয়া আমাদেরই পাশে ঘুমিয়ে আছে, কারণ্বসে আর কোথায় ঘুমোবে?’ সৈয়দ হকের আবদুল খালেক সিরিজের কিছু গল্পে (‘আমার বন্ধু আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেক ফিলিপকুমার মুলাকাৎ’, ‘অভিনেতারূপে আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেকের আবার রাজনীতি’) বাস্তব ও অতিবাস্তবের অভূতপূর্ব মিশেল ঘটেছে। জাদুবাস্তব আখ্যান নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক উত্তেজনার অনেক আগেই তিনি এ ধারার স্মরণীর সব গল্প লিখেছেন। তবে কোনো শিল্পকৌশলই তাঁর গল্পকে গল্পহীন করে না। বড় মাপের ভাষাশিল্পী বলেই তিনি জানেন ভাষার সীমাবদ্ধতা।

তাঁর একটি গল্পের নাম ‘বিয়ের দেড় মাস পর ফৌজিয়া কিম্বা পুরুষ তার চেনা হয়ে গেছে।’ একটি গল্পের দুটো পরস্পর-বিকল্প নামের মধ্য দিয়ে এ লেখকের নবীনতা-অন্বেষা তার প্রাগ্রসর রুচিরই পরিচয়বহ। ‘আনন্দের মৃত্যু’ গল্পে পানশালার নিঃসঙ্গ লোকটির মৃত্যুদৃশ্য দেখে কলহরত দুই পানাহারী বন্ধু হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়। তারপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে তাদের উপলব্ধ্বি‘কিছুই কিছু না, আর সেই যে কিছু না তাও কিছু না।’

আপাত নিরর্থতাবোধের গল্পে সৈয়দ হক সঞ্চার করেন অনুক্ত বহু গূঢ়ার্থ। কারণ একজন দ্রষ্টা হিসেবে তিনি দেখে চলেছেন চারপাশে শুধু মৃত মাধুরীর কণা। দশদিক থেকে বর্বরেরা ধেয়ে আসছে। পূর্ণিমার ভিতর  বেচাকেনা হয়ে যাচ্ছে নারী। এক মহামারী থেকে আমরা চলেছি অন্য এক মহামারীর দিকে। জীবন এখানে গুপ্ত, মৃত্যুই প্রকাশ্য। আর জীবনভর রুটি ও গোলাপের দ্বন্দ্বে আমরা পিষ্ট হচ্ছি। তাঁর একটি বড় গল্পের নাম ‘নানা প্রকার নীরবতা।’ চারপাশের নেতিবাস্তবতা দেখেও আমরা যখন ভয়াবহ নীরব তখন সৈয়দ হকের গল্পগুলো যেন আমাদের নিষ্ঠুর নীরবতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

৪.

আর তাঁর উপন্যাস। ‘এক মহিলার ছবি, অনুপম দিন, দেয়ালের দেশ’ দিয়ে যে প্রারম্ভ ‘নিষিদ্ধ লোবান’, বা ‘নীলদংশন’ আবার তার থেকে বহু দূরগামী। ‘নীলদংশন’ উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলামের কাছাকাছি চেহারার এক অসহায় ব্যক্তিকে যে যুদ্ধবাস্তবের মুখোমুখি হতে হয় তাকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পরিবেশনে আর দৈব ভাবা যায় না। কারণ তখন বোধ জন্মে—মানুষ হিসেবে এই অসহায়তাই তো আমাদের বড় বাস্তবতা।

‘চোখবাজি’, ‘বারোদিনের শিশু’, ‘মৃগয়ায় কালক্ষেপ’, ‘দ্বিতীয় দিনের কাহিনী’, ‘দূরত্ব’, ‘বালিকার চন্দ্রযান’, ‘ইহা মানুষ’, ‘স্তব্ধতার অনুবাদ’, ‘বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল’ ইত্যাদি উপন্যাসে প্রযুক্ত হয়েছে নানাস্তরিক নিরীক্ষা প্রতিটি উপন্যাসে জারিত হয়েছে তাঁর গভীর জীবন ও মৃত্যুবোধ। প্রেম ও যৌনতা উভয় সৌন্দর্যের রসায়নে ঘনবদ্ধ তাঁর উপন্যাসকর্ম।

শ্লীলতা-অশ্লীলতার প্রসঙ্গ অবান্তর; শিল্পশর্ত পূরিত কিনা তা-ই দিয়ে কোনো শিল্পকর্মের মূল্য নির্ণীত হওয়া স্বাভাবিক ও সঙ্গত। ‘খেলারাম খেলে যা’ (১৯৭৩) উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে বাবর যখন সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্ছিত জাহেদার (যাকে ইতিপূর্বে সে নিজে ভোগ করেছে) বিপ্রতীপে কয়েক দশক আগের দাঙ্গায় ধর্ষিতা-নিহত বোন হাসনুকে দাঁড় করায় তখন মুহূর্তেই জাহেদা তার বোন হয়ে যায়। আর বোন মানে তো ধ্বস্ত দেশমায়েরই প্রতিকৃতি। এ অসাধারণ কোলাজ ‘খেলারাম খেলে যা’-কে মহত্তর উপন্যাসের কাতারে নিয়ে গেছে। সৈয়দ হকের ‘বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ’ শুধু ব্যাপ্তিতে নয়; গভীরতার দিক দিয়েও নিরূপম যুদ্ধসাহিত্য।

৫.

সৈয়দ হককে অনুবাদক বলব না রূপান্তরক? তিনি ভিনভাষী গল্প-কবিতার যান্ত্রিক অনুবাদে বিশ্বাসী নন। সৃষ্টিশীল রূপান্তরে তার আস্থা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘কেরায়া’ গল্পের অসামান্য অনুবাদ আমরা তাঁর প্রাথমিক অনুবাদক জীবনে পেয়েছি। শেকসপিয়রের কিছু নাটক (যেমন্বটেম্পেস্ট, ম্যাকবেথ, ত্রয়লাস ও ক্রেসিডা), সল বেলোর উপন্যাসের বাংলা ভাষ্য ‘শ্রাবণ রাজা’ থেকে শুরু করে জেরেমি সিব্রুকের ‘এক নারীর জীবন’ পর্যন্ত বহুমাত্রিক অনুবাদকর্ম তাঁর হাত হতে উচ্ছৃত হয়েছে। তবে হকের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকীর্তি বোধকরি ‘গোলাপের বনে দীর্ঘশ্বাস’ এবং ‘বিম্বিত কবিতাগুলো’।

প্রথমোক্ত বইয়ে গুচ্ছিত আছে উর্দু প্রেম-বিরহের কবিতার রূপান্তর, বাংলা-ভাষ্যেও যার মূলগত দীর্ঘশ্বাস একটুও ম্লান হয়নি। আর দ্বিতীয় বইটিতে ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষী কবিদের কবিতার নিজস্বতা-ব্যঞ্জিত বাংলা রূপান্তর। নিজ কবিতার খরা-দিনে নিজেরই কবিতাজ্ঞানে এসব কবিতাকে তিনি নতুন আত্মা দান করেন। তার রূপান্তরে অন্য ভাষার কবিতা কেমন কায়া গঠন করে তার একটি দৃষ্টান্ত্ব

আমি জয়নুল!

আকালে উজাড় গ্রাম থেকে উড়ে এসে

আমার দু’চোখ ঠুকরে খেয়ে গেছে কাক।

আমি-শোক

আমি-আর্তনাদ

যুদ্ধের আগুনে পোড়া শহরের আঁত নাড়ি প্লীহা্ব

আমি ক্ষুধা!

আমি-সানিক

ফুটপাথে পড়ে থাকা লাশের, যে

কুকুরের কাছে পরাজিত

আমি-জয়নুল।

...

(জয়নুল; আন্দ্রেই ভজেনসেনিস্ক, রূপান্তর—সৈ. শা. হ.)

কবিতার এই বিশ্বায়ন নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের বক্তব্য্ব‘এ সকল অন্য ভাষায় অন্য কবির লেখা হলেও এখন তারা আমারই উচ্চারণে আমার কবিতা বটে। আবার ঠিক আমারও নয়; যেমন বিম্বিত তারা আমার করোটিত্বেআমার অন্তর্গত জলের কম্পনে চূর্ণিত, স্থিরতায় আমারই বর্ণসংশ্লেষে ভিন্ন-রঞ্জিত।’

তাঁর হাতে রূপান্তরিত হয়েছেন্বলুই আরাগঁ, শার্ল বোদলেয়ার, আন্তোনিও মাচাদো, ডব্লিউ এইচ অডেন, লরেন্স ফারলিংগেটি, ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা, কার্ল স্যান্ডবার্গ, রবার্ট গ্রেভস প্রমুখ কবি।

৬.

যদি বলি কাব্যনাট্যকে বাংলায় জনপ্রিয় করেছেন সৈয়দ শামসুল হক তবে মনে হয় অত্যুক্তি করা হবে না। তাঁর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ কয়েক পুরুষ যাবৎ বাঙালির নিজস্ব গৌরবের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটের সময় আমরা প্রত্যাশা করি—‘আবার নূরলদীন আসিবে বাঙলায়।’

কাব্যনাট্যের মতো দুরূহ শিল্পমাধ্যমটির পাঠ ও মঞ্চসম্ভাবনা উভয় রক্ষা করে তিনি ক্রমাগত নতুন নতুন নাটক উপহার দিচ্ছেন। ‘খাট্টা তামাশা’, ‘এখানে এখন’, ‘নারীগণ’, ‘উত্তরবংশ’ ইত্যাদি প্রত্যেকটি নাটক বিষয় ও শৈলীবৈচিত্র্যে সমুজ্জ্বল।

উইলিয়াম শেকসপিয়রের ‘জুলিয়াস সীজার’ অবলম্বনে সৈয়দ হক লিখলেন ‘গণনায়ক’। দেশবাস্তবতা তার অবলম্বিত নাটককেও কবিতার মতোই তৃতীয় রসের সন্ধান দেয়। রাজনীতিতাড়িত কাব্যনাট্যের বাইরে শিল্পকলাকে ভিত্তিভূমে রেখে সৈয়দ শামসুল হকের উচ্চাভিলাষী নাট্যকর্ম ‘ঈর্ষা’। মাত্র তিনটি চরিত্র এবং সাতটি সংলাপের নাটক। এক একটি সংলাপ দৈর্ঘ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের। সার্ধশত রবীন্দ্রজন্মবর্ষে পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র সংসর্গ উপজীব্য করে সৈয়দ হকের নাট্যনিবেদন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।

৭.

মুক্তগদ্যের আদলে প্রবন্ধের সম্পূর্ণ পৃথক এক ঘরানা নির্মিত হয়েছে তাঁর হাতে। ‘কথা সামান্যই’তে আমাদের ভাষাগত নৈরাজ্যকে সামনে নিয়ে এসেছেন। দেখিয়েছেন মীমাংসার সূত্রও। কারণ ভাষা তার প্রথম ও প্রধান প্রেম।

‘গল্পের কলকব্জা’ এবং ‘কবিতার কিমিয়া’্বএ দুইভাগে বিশ্লিষ্ট ‘মার্জিনে মন্তব্য’। খণ্ড খণ্ড ব্যাখ্যায় তিনি বাংলা ভাষায় গল্পকার ও কবিদের জন্য গল্প-কবিতার নিগূঢ় রসায়ন, গঠনকৌশল, ভাষারহস্য ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়কে সউদাহরণে ব্যাখ্যা করেছেন। সাহিত্য যে সাধনার বিষয় সেটি নিজ অভিজ্ঞতাসূত্রে উপার্জিত বলে ভবিষ্যৎ লেখককে সে দুরূহ সাধনপথে স্বেচ্ছা-সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘হৃৎকলমের টানে’র দুটো খণ্ডকে প্রথাভাঙা সন্দর্ভ আখ্যা দিতে চাই। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিক অনুভূতিকে কীভাবে গুরুভাবনার বিষয় করে তোলা যায় তার দলিল হৃৎকলমের টানে। ‘বিশাল বাংলা’ নামের রিপোর্টাজধর্মী বইয়ে বাংলার আনাচে-কানাচে ভ্রমণসূত্রে তার বিচিত্র ভূগোল ও বিস্তীর্ণ জনজীবনকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন।

৮.

সুদূর কুড়িগ্রামের যে অনতি-বিশ তরুণ ‘শামসুল শায়ের’ নামে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি আজ চলে গেলেন আশি বছর নয় মাসে। ‘সাতাশ’ শব্দটি তাঁর জীবনে উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, ঘাসের উপর থেকে চলে যাওয়া ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। এই পোড়া দেশে যতবার মঙ্গা ততবার সৈয়দ হক। যতবার খাকি উর্দি ততবার সৈয়দ হক। যতবার মোল্লাতন্ত্র ততবার সৈয়দ হক। যতবার দুঃখ ও দারিদ্র্য ততবার সৈয়দ হক। ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’ ব্যতীত আর কোন ধ্বনি কালপূর্ণিমায় ভাঙাতে পারে বাঙালির ঘুম?

এই বিভাগের আরও খবর
রূপকথার গান গানের রূপকথা
রূপকথার গান গানের রূপকথা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
একটি চুমুর আকাঙ্ক্ষা
প্রভাত পাখির গান
প্রভাত পাখির গান
রঙ বদলের খেলা
রঙ বদলের খেলা
বিষণ্নতা
বিষণ্নতা
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
একা দাঁড়িয়ে একটি গাছ
চূর্ণ পঙ্ক্তি
চূর্ণ পঙ্ক্তি
ইস্কুলকালের ইরেজার
ইস্কুলকালের ইরেজার
আঁকারীতি
আঁকারীতি
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
একলা হয়ে যায় সন্ধ্যা
অব্যক্ত আলাপ
অব্যক্ত আলাপ
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
কবিতার ময়মনসিংহ সেকাল-একাল
সর্বশেষ খবর
ভারতে আটক তিন বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতে আটক তিন বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত, নিখোঁজ অনেকে
থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে নৌকাডুবে ১১ রোহিঙ্গা নিহত, নিখোঁজ অনেকে

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভদ্ররা চুপ থাকে, অভদ্ররা ভাবে জবাব দিতে পারে না : প্রভা
ভদ্ররা চুপ থাকে, অভদ্ররা ভাবে জবাব দিতে পারে না : প্রভা

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

পদ্মার চরে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, গ্রেপ্তার ৬৭
পদ্মার চরে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, গ্রেপ্তার ৬৭

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কম্পিউটার চালু হতে সময় লাগে, এই সময়ের বেতন দাবিতে কর্মীদের মামলা
কম্পিউটার চালু হতে সময় লাগে, এই সময়ের বেতন দাবিতে কর্মীদের মামলা

১৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বসুন্ধরা আবাসিকে ‘হেরিটেজ সুইটস’-এর তৃতীয় শাখা উদ্বোধন
বসুন্ধরা আবাসিকে ‘হেরিটেজ সুইটস’-এর তৃতীয় শাখা উদ্বোধন

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

এমপি হলেও আছি, না হলেও আপনাদের পাশে আছি : শামীম
এমপি হলেও আছি, না হলেও আপনাদের পাশে আছি : শামীম

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

অস্ট্রেলিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
অস্ট্রেলিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

৩২ মিনিট আগে | পরবাস

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আরও ৩৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের আরও ৩৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

পঙ্গু ছেলে ও ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
পঙ্গু ছেলে ও ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার
সুন্দরবনে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে বায়ুদূষণ
মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলছে বায়ুদূষণ

৪৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচন পিছিয়ে গেলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে : মির্জা ফখরুল

৪৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ বরদাস্ত করা হবে না: রাকসুর হুঁশিয়ারি
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আচরণ বরদাস্ত করা হবে না: রাকসুর হুঁশিয়ারি

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে ২৫ মিলিয়ন ক্রোন সহায়তার ঘোষণা ডেনমার্কের
বাংলাদেশকে ২৫ মিলিয়ন ক্রোন সহায়তার ঘোষণা ডেনমার্কের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নোয়াখালীতে মতবিনিময় সভা
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নোয়াখালীতে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি
হ্যান্ডসেটের শুল্ক কমানো, বাজারে থাকা ফোন বৈধ করতে চায় বিটিআরসি

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দলে জায়গা হারালেন হাসান নওয়াজ
দলে জায়গা হারালেন হাসান নওয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জে ডিবির অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে একজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরানে দূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু
ইরানে দূষণে প্রতিদিন ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
মাঠ পর্যায়ে এনআইডির বয়স সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে বার্সার জয়, হোঁচট রিয়ালের
লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে বার্সার জয়, হোঁচট রিয়ালের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারার অভিযোগে স্বাধীন তদন্ত কমিটি চাইলেন তামিম
জাহানারার অভিযোগে স্বাধীন তদন্ত কমিটি চাইলেন তামিম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাটহাজারীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
হাটহাজারীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নবজাতকদের এনআইসিইউতে প্রাণঘাতী ‘ফাঙ্গাল সুপারবাগ’র বিস্তারে উদ্বেগ
নবজাতকদের এনআইসিইউতে প্রাণঘাতী ‘ফাঙ্গাল সুপারবাগ’র বিস্তারে উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা
ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে ভাড়াবাসা থেকে ১৮ রোহিঙ্গা আটক
কক্সবাজারে ভাড়াবাসা থেকে ১৮ রোহিঙ্গা আটক

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্র্যামির মনোনয়ন থেকে বাদ টেইলর সুইফট
গ্র্যামির মনোনয়ন থেকে বাদ টেইলর সুইফট

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মার্কিন সরকারে শাটডাউন, একদিনে বাতিল ৩ হাজার ৩০০ ফ্লাইট
মার্কিন সরকারে শাটডাউন, একদিনে বাতিল ৩ হাজার ৩০০ ফ্লাইট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব : ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!
বদলে যাচ্ছে পাকিস্তান সেনাপ্রধানের পদবি!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার
বিএনপির ৫ নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক
সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে দুই বাসে আগুন
রাজধানীতে দুই বাসে আগুন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মামদানি নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন?
মামদানি নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যে বার্তা দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের জরুরি নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা
এক দিনে পদ ফিরে পেলেন বিএনপির ৪০ নেতা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল
রাবির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে জিএস আম্মারের বাগবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ
হাসিনার সাথে আপস করিনি তাই বিএনপিতে যোগদান করেছি : স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ
হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ফারুক আহমেদ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’
কাফনের কাপড় হাতে শপথ ‘১০ম গ্রেড ছাড়া ফিরবেন না শিক্ষকরা’

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক
নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চালু হচ্ছে এআই পদ্ধতির চিকিৎসাসেবা : নিন্স পরিচালক

২৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
মেট্রোরেলের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড
তেল রপ্তানিতে ইরানের নতুন রেকর্ড

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ বছর পর ফিরছে ‘রাউডি রাঠোর’, থাকছেন না অক্ষয় কুমার
১২ বছর পর ফিরছে ‘রাউডি রাঠোর’, থাকছেন না অক্ষয় কুমার

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের
গাজার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ২০০ ফিলিস্তিনির নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা তুরস্কের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে মোশারফ হোসেনের গণসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে
তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে নামতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন নাগরিকদের ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের আগে গণভোট নয়, ভোটের দিনেই গণভোট হবে : মির্জা ফখরুল

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’
‘১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে জনগণ প্রতিশোধ নেবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
এনসিপির আইনজীবী সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গণভোটের নাটক ও গোপনে আঁতাত
গণভোটের নাটক ও গোপনে আঁতাত

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে হবে মীমাংসা
কীভাবে হবে মীমাংসা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি দাতিনা মাছ বিক্রি ১ লাখ টাকায়
একটি দাতিনা মাছ বিক্রি ১ লাখ টাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে আজ সিদ্ধান্ত
আদানির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে আজ সিদ্ধান্ত

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!
রাজনীতির বিজ্ঞানে ম্যাটিকুলাস ডিজাইন!

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার
নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন : চাই রাজনৈতিক অঙ্গীকার

সম্পাদকীয়

বেড়িবাঁধে সরকারি জমি বিক্রি, দুই নেতার সিন্ডিকেট
বেড়িবাঁধে সরকারি জমি বিক্রি, দুই নেতার সিন্ডিকেট

পেছনের পৃষ্ঠা

তৃণমূলে চাঙা বিএনপি
তৃণমূলে চাঙা বিএনপি

নগর জীবন

বিচারিক ক্ষমতা চায় সেনাবাহিনী, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ২৮,৬৬৩
বিচারিক ক্ষমতা চায় সেনাবাহিনী, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ২৮,৬৬৩

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মা ব্যাংক কেলেঙ্কারি
পদ্মা ব্যাংক কেলেঙ্কারি

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু
কেন বাড়ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

নকল বিতর্কে শাকিব খান
নকল বিতর্কে শাকিব খান

শোবিজ

কেন পালালেন তেজস্বী
কেন পালালেন তেজস্বী

শোবিজ

ভোটের আগে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা
ভোটের আগে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু
ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীর মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোচনায় তাহসান
আলোচনায় তাহসান

শোবিজ

নির্ধারিত দিনই হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ
নির্ধারিত দিনই হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ

প্রথম পৃষ্ঠা

‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার
‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে এস আলমের বিরুদ্ধে মামলা
১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে এস আলমের বিরুদ্ধে মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

তামার পদক জিতলেন মারজিয়া
তামার পদক জিতলেন মারজিয়া

মাঠে ময়দানে

আজীবন সম্মাননায় জুয়েল আইচ
আজীবন সম্মাননায় জুয়েল আইচ

শোবিজ

তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজ হার এড়াল যুবারা
তামিমের সেঞ্চুরিতে সিরিজ হার এড়াল যুবারা

মাঠে ময়দানে

স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপের অপেক্ষায়
স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপের অপেক্ষায়

মাঠে ময়দানে

রাইবাকিনা ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে
রাইবাকিনা ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে

মাঠে ময়দানে

লিগে রোনালদোর শত গোল
লিগে রোনালদোর শত গোল

মাঠে ময়দানে

প্রথম নারী চলচ্চিত্র নির্মাতারা
প্রথম নারী চলচ্চিত্র নির্মাতারা

শোবিজ

বাংলাদেশিসহ ৯০ অভিবাসী নিয়ে নৌকাডুবি
বাংলাদেশিসহ ৯০ অভিবাসী নিয়ে নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

করপোরেট ফুটসাল কাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্যাশন হাউস
করপোরেট ফুটসাল কাপে চ্যাম্পিয়ন ফ্যাশন হাউস

মাঠে ময়দানে

সালমানের বিরুদ্ধে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ
সালমানের বিরুদ্ধে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ

নগর জীবন