শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

নিবন্ধ ♦ পিয়াস মজিদ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অপ্রতিম সৈয়দ শামসুল হক

‘সব্যসাচী লেখক’ নামে দীর্ঘদিন তাঁকে আমরা ব্র্যাকেটবন্দী করে রেখেছি। ‘সব্যসাচী’ বলাটা যতটা সহজ ততটাই কঠিন সাহিত্যের শাখায় শাখায় সৈয়দ হকের বর্ণাঢ্য সফরকে বিশ্লেষণ-সংশ্লেষণ। ‘একদা এক রাজ্যে’ থেকে ‘তবু বেঁচে থাকা অপরূপ’ কবিতাগ্রন্থ পর্যন্ত, ‘তাস থেকে ফেরি জাহাজের অপেক্ষায়’ গল্পগ্রহ পর্যন্ত, ‘এক মহিলার ছবি’ থেকে ‘নদী কারো নয়’ উপন্যাস পর্যন্ত, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ থেকে ‘উত্তরবংশ’ কাব্যনাট্য পর্যন্ত তিনি নিয়ত নবায়িত। সৈয়দ শামসুল হক সর্বাধুনিক সাহিত্যরীতির আশ্রয়ে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে যে নিজস্ব-নতুন শিল্পপথ সৃষ্টি করেছেন তা নিঃসন্দেহে উদাহরণীয়। এ পথে সৈয়দ হক ছিলেন একক ও অনন্য। প্রচলিত ভাষা ও রীতিকে সর্বতোরূপে প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তি আর গণকণ্ঠ যুগপৎ তিনি ধারণ করেছেন অবিরত। 

২.

নিসর্গে তুমি নতুন বৃক্ষ

নতুন বর্ষা নতুন ফুল

দিগন্তে নতুন মাস্তুল

পিতৃপুরুষের চিত্রিত দণ্ড

দাউদাউ নাপামের

মধ্যে তুমি হেঁটে যাও

উদ্যত একাকী

জনশূন্য জনপদে  উজ্জ্বল এক চিতা।

(গেরিলা)

সত্তরের দশকে লেখা সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা ‘গেরিলা’র পাশাপাশি মিলিয়ে পড়ি ২০০৬-এর একটি কবিতা্ব

প্রতিবিম্ব জলে যে সুস্থির্ব

সেও ক্ষণকাল মাত্র।

বালক মৃত্যুর মতো ঢিল হাতে দাঁড়িয়ে কিনারে

কিছুকাল তাকিয়ে দেখল্ব

তারপর ছুড়ে দিলো হাতের পাথর।

জীবনেরও কিছু কিছু থেকে যায়্ব

চূর্ণিত হওয়ার নয়্ব

বরং তা বৃত্তের আকারে

জলে ভেসে যায়্ব

যেতে থাকে তীরে যেতে যেতে তারপরও।

(প্রতিবিম্ব)

দুস্তর সময়-ব্যবধানের এ দুটো কবিতাই সাক্ষ্য দেবে সৈয়দ হকের বিরামহীন নিরীক্ষালগ্নতা। এ নিরীক্ষা যেমন ভাষাকাঠামোর তেমনি আঙ্গিক সংস্থানেরও। আর তাত্পর্যের দিক হচ্ছে আধুনিক কবিতা নিয়ে জনযোগাযোগহীনতার যে অভিযোগ তা থেকেও তার কবিতা আশ্চর্যরকমভাবে মুক্ত। ‘একদা এক রাজ্যে’ দিয়ে যে কবিতা যাত্রা তা ক্রমশ বিচিত্র-বর্ণিল বাঁক ঘুরে পৌঁছেছে সাম্প্রতিক পর্বের নিরাভরণ কবিতামালায়। ‘বৈশাখে রচিত পঙিক্তমালা’ থেকেই দীর্ঘাবয়বে জাজ্বল্য করা শুরু করলেন সমসাময়িক যাবতীয় তিতবাস্তবতা্বআমার সন্তান।/ যেন বাংলার শ্মশানে থাকে দুধে-ভাতে।

শ্মশানবাংলা থেকে অতঃপর পাড়ি দেন জগৎ ও জীবনের অনেকানেক নিগূঢ় পরিস্থিতির পানে। ‘আমার শহর’  কাব্যে চেনা-অচেনা গলি-ঘুপচির সমান্তরালে ইতিহাসের সরল-বক্র পথে পরিভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে বাঙ্ময় হতে দেখি। ‘পরানের গহীন ভিতর’  সনেটগুচ্ছে ধরা রইল ভূ-বাংলার লোকনন্দন, লোকভাষা। আজ যখন নতুন কাব্যভাষার নামে নানা ভাষা-সাম্প্রদায়িকতা গজিয়ে উঠতে দেখছি চতুর্দিকে তখন ‘পরানের গহীন ভিতর’-এর ভূমিকা-কথনের দিকে ফিরে তাকানো জরুরি হয়ে পড়্বে‘...বাংলাদেশের প্রধান দুর্ভাগ্য, ভাষা নিয়ে রাজনৈতিক কূটচাল বহুদিন থেকে চলেই চলেছে... ইংরেজি ভাষার আওতার ভেতরেই একজন মার্কিন নিগ্রো কবি, একজন স্কটিশ কবি, একজন আফ্রিকান কবি যদি লৌকিক বাক্ভঙ্গি, শব্দ এবং উচ্চারণ্বব্যবহার করে সার্থক ও স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারেন, আমরাই বা বাংলার সে সম্ভাবনা পরীক্ষা করে কেন দেখব না? কখনো কখনো?্বপাশাপাশি? অথবা, একই সঙ্গে?’

সৈয়দ হকের এই ভিন্নমাত্রিক কাব্যপ্রয়াস পূর্ব বাংলা কিংবা পশ্চিম বাংলার পৃথক ভাষাবৈশিষ্ট্যের নামে বিভেদবাদী চক্রান্তে পক্ষে যায় না কারণ তার ভাষা-দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। রাজনীতিও স্পষ্ট। সৈয়দ হক বিভেদবাদী নন। তিনি বরং দুঃখী যমুনাবাদী। দুঃখী বাংলাবাদী। কোনো কূটচাল নয়; সে দুঃখকে যথাযথ রূপদানেই তার যত ভাষাকৌশল।

জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’য়  ভবিষ্যতে বাংলায় দীর্ঘ কবিতার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। সৈয়দ হকের কাব্যকাজ যেন তারই সাক্ষ্য। কারণ খণ্ডকবিতার ঔজ্জ্বল্য সত্ত্বেও দীর্ঘ কবিতাতেই যেন তার গরিমা পরস্ফুিট। ১৯৮৪-তে প্রকাশিত অন্তর্গততে কথাকাব্যের অবয়বে বিধৃত হয়েছে রক্তাক্ত একাত্তর। যেখানে আমাদের অপূর্ব ও নৃশংস অভিজ্ঞান—

চোখ ভিজে আসে, চোখ ভিজে যায়,

চোখ ভেসে যায় মানুষের চোখ,

মানুষের তো চোখ আছে,

সে চোখ শুধু দ্যাখে না,

সে চোখ কাঁদে, সে চোখ ভিজে আসে, ভেসে যায়...।

৩.

গল্পকে তিনি গল্প বলেন না। বলেন্ব গল্পপ্রবন্ধ। কারণ তিনি সবল সাহসী হাতে ভেঙে দিয়েছেন ফিকশন-ননফিকশন বিভাজন। আঠারো বছর পেরিয়ে যখন উনিশের দিকে চলেছেন তখন সাতটি গল্প নিয়ে বের হয় তার প্রথম গ্রন্থ ‘তাস’ (১৯৫৪)। পঞ্চাশ বছর যাবৎ তাঁর প্রায় শত সংখ্যক ছোট ও বড় গল্পের মধ্য দিয়ে অভিনতুন গল্পকলা তৈরি করে চলেছেন সৈয়দ হক।

মার্কেজের যেমন মাকন্দো, দেবেশ রায়ের যেমন তিস্তা তেমনি সৈয়দ হকের জলেশ্বরী। কল্পনায় গড়ে তোলা জনপদ। আধকোষা নদীর (তারই কল্পিত নাম) তীরে মূল শহর জলেশ্বরী। ভারত সীমান্ত পর্যন্ত উত্তরে চলে গেছে মান্দার বাড়ি, হরিশাল, হস্তিবাড়ি; দক্ষিণে নবগ্রাম, শকুনমারি, বুড়িরচর। উত্তর বাংলার পরিবেশ, গাছপালা, মানুষের সারল্য আর সংগ্রামকে ল্যান্ডস্কেপ করে সৈয়দ শামসুল হক তাঁর গল্পের ভুবন বিস্তৃত করেছেন। যে উত্তর বাংলার আরেক নাম মঙ্গা, সে উত্তর বাংলার অঘোষিত মুখপাত্র কথাকার সৈয়দ হক। জলেশ্বরীর জীবনকে আমরা যতই দূরের মনে করি ততই তা আমাদের অংশী হয়ে ওঠে। ‘কোথায় ঘুমোবে করিমন বেওয়া’ গল্পের ভুখা করিমন বেওয়ার লাশ জলেশ্বরীর কোথাও দাফন হয় না আবার একই সময় জলেশ্বরীর সর্বত্র করিমন বেওয়ার লাশের গন্ধ পাওয়া যায় এবং ‘...আমরা বিকটভাবে আবিষ্কার করি, করিমন বেওয়া আমাদেরই পাশে ঘুমিয়ে আছে, কারণ্বসে আর কোথায় ঘুমোবে?’ সৈয়দ হকের আবদুল খালেক সিরিজের কিছু গল্পে (‘আমার বন্ধু আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেক ফিলিপকুমার মুলাকাৎ’, ‘অভিনেতারূপে আবদুল খালেক’, ‘আবদুল খালেকের আবার রাজনীতি’) বাস্তব ও অতিবাস্তবের অভূতপূর্ব মিশেল ঘটেছে। জাদুবাস্তব আখ্যান নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক উত্তেজনার অনেক আগেই তিনি এ ধারার স্মরণীর সব গল্প লিখেছেন। তবে কোনো শিল্পকৌশলই তাঁর গল্পকে গল্পহীন করে না। বড় মাপের ভাষাশিল্পী বলেই তিনি জানেন ভাষার সীমাবদ্ধতা।

তাঁর একটি গল্পের নাম ‘বিয়ের দেড় মাস পর ফৌজিয়া কিম্বা পুরুষ তার চেনা হয়ে গেছে।’ একটি গল্পের দুটো পরস্পর-বিকল্প নামের মধ্য দিয়ে এ লেখকের নবীনতা-অন্বেষা তার প্রাগ্রসর রুচিরই পরিচয়বহ। ‘আনন্দের মৃত্যু’ গল্পে পানশালার নিঃসঙ্গ লোকটির মৃত্যুদৃশ্য দেখে কলহরত দুই পানাহারী বন্ধু হঠাৎ শান্ত হয়ে যায়। তারপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে তাদের উপলব্ধ্বি‘কিছুই কিছু না, আর সেই যে কিছু না তাও কিছু না।’

আপাত নিরর্থতাবোধের গল্পে সৈয়দ হক সঞ্চার করেন অনুক্ত বহু গূঢ়ার্থ। কারণ একজন দ্রষ্টা হিসেবে তিনি দেখে চলেছেন চারপাশে শুধু মৃত মাধুরীর কণা। দশদিক থেকে বর্বরেরা ধেয়ে আসছে। পূর্ণিমার ভিতর  বেচাকেনা হয়ে যাচ্ছে নারী। এক মহামারী থেকে আমরা চলেছি অন্য এক মহামারীর দিকে। জীবন এখানে গুপ্ত, মৃত্যুই প্রকাশ্য। আর জীবনভর রুটি ও গোলাপের দ্বন্দ্বে আমরা পিষ্ট হচ্ছি। তাঁর একটি বড় গল্পের নাম ‘নানা প্রকার নীরবতা।’ চারপাশের নেতিবাস্তবতা দেখেও আমরা যখন ভয়াবহ নীরব তখন সৈয়দ হকের গল্পগুলো যেন আমাদের নিষ্ঠুর নীরবতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

৪.

আর তাঁর উপন্যাস। ‘এক মহিলার ছবি, অনুপম দিন, দেয়ালের দেশ’ দিয়ে যে প্রারম্ভ ‘নিষিদ্ধ লোবান’, বা ‘নীলদংশন’ আবার তার থেকে বহু দূরগামী। ‘নীলদংশন’ উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলামের কাছাকাছি চেহারার এক অসহায় ব্যক্তিকে যে যুদ্ধবাস্তবের মুখোমুখি হতে হয় তাকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পরিবেশনে আর দৈব ভাবা যায় না। কারণ তখন বোধ জন্মে—মানুষ হিসেবে এই অসহায়তাই তো আমাদের বড় বাস্তবতা।

‘চোখবাজি’, ‘বারোদিনের শিশু’, ‘মৃগয়ায় কালক্ষেপ’, ‘দ্বিতীয় দিনের কাহিনী’, ‘দূরত্ব’, ‘বালিকার চন্দ্রযান’, ‘ইহা মানুষ’, ‘স্তব্ধতার অনুবাদ’, ‘বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল’ ইত্যাদি উপন্যাসে প্রযুক্ত হয়েছে নানাস্তরিক নিরীক্ষা প্রতিটি উপন্যাসে জারিত হয়েছে তাঁর গভীর জীবন ও মৃত্যুবোধ। প্রেম ও যৌনতা উভয় সৌন্দর্যের রসায়নে ঘনবদ্ধ তাঁর উপন্যাসকর্ম।

শ্লীলতা-অশ্লীলতার প্রসঙ্গ অবান্তর; শিল্পশর্ত পূরিত কিনা তা-ই দিয়ে কোনো শিল্পকর্মের মূল্য নির্ণীত হওয়া স্বাভাবিক ও সঙ্গত। ‘খেলারাম খেলে যা’ (১৯৭৩) উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে বাবর যখন সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্ছিত জাহেদার (যাকে ইতিপূর্বে সে নিজে ভোগ করেছে) বিপ্রতীপে কয়েক দশক আগের দাঙ্গায় ধর্ষিতা-নিহত বোন হাসনুকে দাঁড় করায় তখন মুহূর্তেই জাহেদা তার বোন হয়ে যায়। আর বোন মানে তো ধ্বস্ত দেশমায়েরই প্রতিকৃতি। এ অসাধারণ কোলাজ ‘খেলারাম খেলে যা’-কে মহত্তর উপন্যাসের কাতারে নিয়ে গেছে। সৈয়দ হকের ‘বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ’ শুধু ব্যাপ্তিতে নয়; গভীরতার দিক দিয়েও নিরূপম যুদ্ধসাহিত্য।

৫.

সৈয়দ হককে অনুবাদক বলব না রূপান্তরক? তিনি ভিনভাষী গল্প-কবিতার যান্ত্রিক অনুবাদে বিশ্বাসী নন। সৃষ্টিশীল রূপান্তরে তার আস্থা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ‘কেরায়া’ গল্পের অসামান্য অনুবাদ আমরা তাঁর প্রাথমিক অনুবাদক জীবনে পেয়েছি। শেকসপিয়রের কিছু নাটক (যেমন্বটেম্পেস্ট, ম্যাকবেথ, ত্রয়লাস ও ক্রেসিডা), সল বেলোর উপন্যাসের বাংলা ভাষ্য ‘শ্রাবণ রাজা’ থেকে শুরু করে জেরেমি সিব্রুকের ‘এক নারীর জীবন’ পর্যন্ত বহুমাত্রিক অনুবাদকর্ম তাঁর হাত হতে উচ্ছৃত হয়েছে। তবে হকের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকীর্তি বোধকরি ‘গোলাপের বনে দীর্ঘশ্বাস’ এবং ‘বিম্বিত কবিতাগুলো’।

প্রথমোক্ত বইয়ে গুচ্ছিত আছে উর্দু প্রেম-বিরহের কবিতার রূপান্তর, বাংলা-ভাষ্যেও যার মূলগত দীর্ঘশ্বাস একটুও ম্লান হয়নি। আর দ্বিতীয় বইটিতে ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষী কবিদের কবিতার নিজস্বতা-ব্যঞ্জিত বাংলা রূপান্তর। নিজ কবিতার খরা-দিনে নিজেরই কবিতাজ্ঞানে এসব কবিতাকে তিনি নতুন আত্মা দান করেন। তার রূপান্তরে অন্য ভাষার কবিতা কেমন কায়া গঠন করে তার একটি দৃষ্টান্ত্ব

আমি জয়নুল!

আকালে উজাড় গ্রাম থেকে উড়ে এসে

আমার দু’চোখ ঠুকরে খেয়ে গেছে কাক।

আমি-শোক

আমি-আর্তনাদ

যুদ্ধের আগুনে পোড়া শহরের আঁত নাড়ি প্লীহা্ব

আমি ক্ষুধা!

আমি-সানিক

ফুটপাথে পড়ে থাকা লাশের, যে

কুকুরের কাছে পরাজিত

আমি-জয়নুল।

...

(জয়নুল; আন্দ্রেই ভজেনসেনিস্ক, রূপান্তর—সৈ. শা. হ.)

কবিতার এই বিশ্বায়ন নিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের বক্তব্য্ব‘এ সকল অন্য ভাষায় অন্য কবির লেখা হলেও এখন তারা আমারই উচ্চারণে আমার কবিতা বটে। আবার ঠিক আমারও নয়; যেমন বিম্বিত তারা আমার করোটিত্বেআমার অন্তর্গত জলের কম্পনে চূর্ণিত, স্থিরতায় আমারই বর্ণসংশ্লেষে ভিন্ন-রঞ্জিত।’

তাঁর হাতে রূপান্তরিত হয়েছেন্বলুই আরাগঁ, শার্ল বোদলেয়ার, আন্তোনিও মাচাদো, ডব্লিউ এইচ অডেন, লরেন্স ফারলিংগেটি, ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা, কার্ল স্যান্ডবার্গ, রবার্ট গ্রেভস প্রমুখ কবি।

৬.

যদি বলি কাব্যনাট্যকে বাংলায় জনপ্রিয় করেছেন সৈয়দ শামসুল হক তবে মনে হয় অত্যুক্তি করা হবে না। তাঁর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ এবং ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ কয়েক পুরুষ যাবৎ বাঙালির নিজস্ব গৌরবের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যে কোনো দুর্ঘটের সময় আমরা প্রত্যাশা করি—‘আবার নূরলদীন আসিবে বাঙলায়।’

কাব্যনাট্যের মতো দুরূহ শিল্পমাধ্যমটির পাঠ ও মঞ্চসম্ভাবনা উভয় রক্ষা করে তিনি ক্রমাগত নতুন নতুন নাটক উপহার দিচ্ছেন। ‘খাট্টা তামাশা’, ‘এখানে এখন’, ‘নারীগণ’, ‘উত্তরবংশ’ ইত্যাদি প্রত্যেকটি নাটক বিষয় ও শৈলীবৈচিত্র্যে সমুজ্জ্বল।

উইলিয়াম শেকসপিয়রের ‘জুলিয়াস সীজার’ অবলম্বনে সৈয়দ হক লিখলেন ‘গণনায়ক’। দেশবাস্তবতা তার অবলম্বিত নাটককেও কবিতার মতোই তৃতীয় রসের সন্ধান দেয়। রাজনীতিতাড়িত কাব্যনাট্যের বাইরে শিল্পকলাকে ভিত্তিভূমে রেখে সৈয়দ শামসুল হকের উচ্চাভিলাষী নাট্যকর্ম ‘ঈর্ষা’। মাত্র তিনটি চরিত্র এবং সাতটি সংলাপের নাটক। এক একটি সংলাপ দৈর্ঘ্যে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের। সার্ধশত রবীন্দ্রজন্মবর্ষে পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র সংসর্গ উপজীব্য করে সৈয়দ হকের নাট্যনিবেদন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।

৭.

মুক্তগদ্যের আদলে প্রবন্ধের সম্পূর্ণ পৃথক এক ঘরানা নির্মিত হয়েছে তাঁর হাতে। ‘কথা সামান্যই’তে আমাদের ভাষাগত নৈরাজ্যকে সামনে নিয়ে এসেছেন। দেখিয়েছেন মীমাংসার সূত্রও। কারণ ভাষা তার প্রথম ও প্রধান প্রেম।

‘গল্পের কলকব্জা’ এবং ‘কবিতার কিমিয়া’্বএ দুইভাগে বিশ্লিষ্ট ‘মার্জিনে মন্তব্য’। খণ্ড খণ্ড ব্যাখ্যায় তিনি বাংলা ভাষায় গল্পকার ও কবিদের জন্য গল্প-কবিতার নিগূঢ় রসায়ন, গঠনকৌশল, ভাষারহস্য ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়কে সউদাহরণে ব্যাখ্যা করেছেন। সাহিত্য যে সাধনার বিষয় সেটি নিজ অভিজ্ঞতাসূত্রে উপার্জিত বলে ভবিষ্যৎ লেখককে সে দুরূহ সাধনপথে স্বেচ্ছা-সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ‘হৃৎকলমের টানে’র দুটো খণ্ডকে প্রথাভাঙা সন্দর্ভ আখ্যা দিতে চাই। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিক অনুভূতিকে কীভাবে গুরুভাবনার বিষয় করে তোলা যায় তার দলিল হৃৎকলমের টানে। ‘বিশাল বাংলা’ নামের রিপোর্টাজধর্মী বইয়ে বাংলার আনাচে-কানাচে ভ্রমণসূত্রে তার বিচিত্র ভূগোল ও বিস্তীর্ণ জনজীবনকে ব্যবচ্ছেদ করেছেন।

৮.

সুদূর কুড়িগ্রামের যে অনতি-বিশ তরুণ ‘শামসুল শায়ের’ নামে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি আজ চলে গেলেন আশি বছর নয় মাসে। ‘সাতাশ’ শব্দটি তাঁর জীবনে উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল। জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫, ঘাসের উপর থেকে চলে যাওয়া ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬। এই পোড়া দেশে যতবার মঙ্গা ততবার সৈয়দ হক। যতবার খাকি উর্দি ততবার সৈয়দ হক। যতবার মোল্লাতন্ত্র ততবার সৈয়দ হক। যতবার দুঃখ ও দারিদ্র্য ততবার সৈয়দ হক। ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’ ব্যতীত আর কোন ধ্বনি কালপূর্ণিমায় ভাঙাতে পারে বাঙালির ঘুম?

এই বিভাগের আরও খবর
নিজের মাটি
নিজের মাটি
কুমির
কুমির
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ভুল দুয়ারে এক পশলা কবিতা
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
ছায়া পোড়ার ধোঁয়া
সংহার
সংহার
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ
স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
জেগে থাকার জন্য
জেগে থাকার জন্য
অগ্নিসখা
অগ্নিসখা
নাই কিছু নাই
নাই কিছু নাই
সর্বশেষ খবর
সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট
সোহাগ হত্যার তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট

এই মাত্র | জাতীয়

কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে দাদির কোলে ফিরলো হারিয়ে যাওয়া শিশু রোজামনি
অবশেষে দাদির কোলে ফিরলো হারিয়ে যাওয়া শিশু রোজামনি

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন
প্যারিসের প্রেমের সেতুতে তালা দিলেন মেহজাবীন

১৭ মিনিট আগে | শোবিজ

সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন পরিপত্র
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের নতুন পরিপত্র

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে তালা

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কর্মবিরতি
কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কর্মবিরতি

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্যালগেরির সংগীত সন্ধ্যায় প্রবাসীদের মাতালেন মিনার-মিলা
ক্যালগেরির সংগীত সন্ধ্যায় প্রবাসীদের মাতালেন মিনার-মিলা

৫০ মিনিট আগে | পরবাস

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

৫৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত চার সাংসদের নাম ঘোষণা
ভারতের রাজ্যসভায় মনোনীত চার সাংসদের নাম ঘোষণা

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন
বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫১ জন

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর
লোহারপুল-পোস্তগোলা রাস্তা সংস্কারসহ দুই দাবি এলাকাবাসীর

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও
চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প
যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ
২৯ বন্দিকে মুক্তি দিলো কারা কর্তৃপক্ষ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২
শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
‘জুলাই শহীদ দিবস’ ঘিরে বেরোবিতে নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি
সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার
সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক
সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাকচাপায় প্রবাসী নিহত, চালক-হেলপার আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে চলেছে ভারত: রিপোর্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন
পুরান ঢাকায় সোহাগ হত্যা: আসামি রবিনের স্বীকারোক্তি, ৫ দিনের রিমান্ডে টিটন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে
খুতবার সময় হামলা, খতিব শঙ্কামুক্ত, হামলাকারী জেলহাজতে

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ফের দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার
ভারতে গুহা থেকে দুই সন্তানসহ রুশ নারীকে উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী
যৌন হয়রানি: শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় নিজেকে জ্বালিয়ে দিলেন ছাত্রী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের
১০ লাখ পিস প্যান্টের অর্ডার স্থগিত ওয়ালমার্টের

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার
সোহাগ হত্যার ভিডিও না আসা পর্যন্ত সরকার কী করল-প্রশ্ন রুমিন ফারহানার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা সরকারের কাছেই প্রশ্ন: তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের
চাঁদা না দেওয়ায় বাসস্ট্যান্ডে গেলেই গাড়ি ভাঙচুর সেই ফাহিমের

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের
যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ইউরোপীয় কমিশনের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস
দেশে সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন বেড়েছে: মির্জা আব্বাস

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি
কঠোর বিএনপি অপরাধ করলেই শাস্তি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল
সম্পূর্ণ সত্য বললে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে : ট্রাইব্যুনাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম
বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা চায় বাম

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী
মিটফোর্ডের ঘটনায় কিছু দল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি
গোয়েন্দা সংস্থা এলাকা ভিত্তিক তালিকা করে অপরাধীদের চিহ্নিত করছে: আইজিপি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা
মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগে উদ্বেগ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি
অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম
২০০০ বছরের বছরের পুরনো কফিন মিসরকে ফেরত দিল বেলজিয়াম

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি
ইরান-আইএইএ সহযোগিতা ‘নতুন রূপে চলবে’: আরাগচি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!
এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল!

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত
বড় ঝুঁকিতে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি
চাঁদাবাজি না ব্যবসার দ্বন্দ্ব, স্বজন ও পুলিশের ভিন্ন দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার
স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ টুকরা করা স্বামী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

নৃশংস হত্যায় তোলপাড়
নৃশংস হত্যায় তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র
চোরাই মোবাইলের ভয়ংকর চক্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব
৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে পল্লবীতে তাণ্ডব

প্রথম পৃষ্ঠা

কাটল না শুল্কসংকট
কাটল না শুল্কসংকট

প্রথম পৃষ্ঠা

যত আলো  তত অন্ধকার
যত আলো তত অন্ধকার

শোবিজ

প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক
প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমিকও আটক

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ
জুলুম নির্যাতন হত্যা গুম কামালের বড় গুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে অটোরিকশার দখলে

পেছনের পৃষ্ঠা

কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
কিলিং মিশনে তিনজন, কেউ গ্রেপ্তার হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান
প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী নেবে জাপান

পেছনের পৃষ্ঠা

হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা
হুমায়ুন ফরীদির পারিশ্রমিক ১০১ টাকা

শোবিজ

হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে
হত্যা মামলায় সাজা কমছে যেভাবে

পেছনের পৃষ্ঠা

ববির সমুদ্রবিলাস
ববির সমুদ্রবিলাস

শোবিজ

নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন
নদীর তীরের স্টেডিয়াম ঘিরে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি
পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাধ্যতামূলক ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন
সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশ করলে ক্ষমা পাবেন চৌধুরী মামুন

প্রথম পৃষ্ঠা

তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের
তালিকা হচ্ছে দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর সাব্বিরের

মাঠে ময়দানে

কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান
কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া
ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স
রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের
ডাম্বুলায় টি-২০ অভিষেক বাংলাদেশের

মাঠে ময়দানে

অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই
অধিনায়ক কেন ম্যাচে নেই

মাঠে ময়দানে

সিনেমার মানুষে তারা...
সিনেমার মানুষে তারা...

শোবিজ

বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল
বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল

শোবিজ

তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই
তাবিজ ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনি প্রতিরোধ চাই

সম্পাদকীয়