১৪ জুলাই, ২০২৩ ১৫:১৮

পাহাড়ে আমের বাম্পার ফলন

রাঙামাটি প্রতিনিধি

পাহাড়ে আমের বাম্পার ফলন

টসটসে রসালো। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়। ঠিক তেমনি খেতেও মজাদার। এমন আমের বাম্পার ফলন হয়েছে পাহাড়ে। এসব আমের হাট এখন দেখা মিলছে রাঙামাটি পথে-প্রান্তরে। স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চাহিদা বেশি তাই দামও একটু বেশি। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ফুটেছে তাদের মুখে হাসি।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রাঙামাটি জেলায় এবার তিন হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাষবাদও হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ১২ টন। তবে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান সর্বনিম্ন বাজারদরে ২০০ কোটি টাকার অধিক আম বিক্রি হচ্ছে পাহাড়ি বাজারে। এখন বাজারে আছে দেশি জাতের আম। আম্রপালি, ফজলি, ল্যাংড়া, রাঙ্গুয়াই জাতের আম। এসব আমের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে হিমসাগর, মাহালিশা, মল্লিকা, লক্ষ্মণভোগ, হাঁড়িভাঙা, আলতাপেটি ও নাগ ফজলি।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, রাঙামাটি জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার আমের ফলন প্রচুর-যা বাম্পার ফলন বলা যায়। জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমের চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়া আমের ভাল ফলনের জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে অনেক কাজ করেছি। কৃষকদের বিভিন্ন পরার্মশ দেওয়া হয়েছে। আমের আরও ব্যাপক ফলন পাওয়া যেত যদি তীব্র তাপদাহ না থাকতো। এছাড়া বৃষ্টিপাত তেমন ভাল হয়নি। কিন্তু তবুও আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। এছাড়া আমরা নতুন আমের বাগান গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগামীতে যাতে রাঙামাটিকে আমের উৎপাদন ভাণ্ডার বলা যায়।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর