নীলফামারীতে দিগন্ত ভরা মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে আগাম ধানের স্বর্ণালি হাসি। আশ্বিনে মঙ্গাজয়ী আগুর জাতের নতুন ধানের বাম্পার ফলন ও ভাল বাজার মূল্যে পেয়ে হাজারো কৃষক পরিবারে এসেছে সমৃদ্ধি। ধানের পাশাপাশি গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় হাট-বাজারে চলছে কাঁচা খড়ের রমরমা ব্যবসা। কাটামাড়াই শেষে তারা খড় কিনে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে আগাম ধানকাটার পর ওই জমিতে আগাম আলুসহ শীতকালীন রকমারি রবিশস্য চাষে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আগাম আলু রোপণ করবেন চাষিরা। চারা রোপণের শুরু থেকে অনুকূল আবহাওয়া, যথাসময়ে ভারী থেকে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় বিগত ফলন ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রা।
কৃষি প্রণোদনার উচ্চ ফলনশীল, কম সময়ে উৎপাদিত খরাসহিষ্ণু ব্রি-৭১,৭৫,৮৭,৯৪,৯৮ সহ হাইব্রিড, চায়না জাতের ধানের ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উত্তর দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের চাষী আনারুল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে চায়না জাতের ধান চাষ করেছি। বিঘায় ফলন হয়েছে ২০/২৫ মণ। প্রতিমণ ধানবিক্রি করছেন ৮শ টাকার উপরে। প্রতি বিঘা জমির খড় বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। এতে ধান ও খড় বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
পুটিমারী ভেড়ভেড়ি গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, ৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হত। এখন আগাম জাতের চায়না ও হাইব্রিড ধান আসায় জমি ফেলে রাখা হয়না। ভুট্টা ও ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভাল হয়, দামও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, এ উপজেলায় ধানসহ আগাম আলু চাষে রোলমডেল। আগাম ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম ফসল ঘরে উঠায় খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান কাটার পর যথাসময়ে আগাম আলু চাষ করে কৃষক অধিক লাভবান হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ