গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ‘ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বিষয়ে শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ফতেউল্লাহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিশুদের সঙ্গে তাদের মত করে গল্পের ভঙ্গিতে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বর্জন করার কারণ বুঝিয়ে বলেন আয়োজকরা।
উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি তনু রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম, সুমনা বিল্লাহ, মৃত্যুঞ্জয় সরকার ও শুভ সংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমদ বিপ্লব।
এসময় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আয়েশা খাতুন নিজের বাড়ির পাশে পানি নিষ্কাশন ড্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে। সে জানায় তাদের পরিবার এবং আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে করে ফেলার কারণে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে ড্রেনটি গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরে সরকারিভাবে পরিষ্কার করার সময় দেখা গেছে, ভেতরে থাকা সব জিনিস পচে গেলেও দু’তিন বছরের পলিথিন আগের মতই রয়েছে। এখন সবাই বুঝতে পেরেছে পলিথিন কি ভাবে জলাধার ও পরিবেশকে নষ্ট করে।
শিক্ষক দেলোয়ারা বেগম বলেন, 'সরকার সাম্প্রতিক কালে এ সব নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের জীবনকে নির্মল বাতাস থেকে অবরুদ্ধ করে এই দুই সামগ্রী। জীববৈচিত্র্যের জন্য পলিথিন বিপজ্জনক।' তিনি শিশুদের পলিথিনের বদলে কাগজ, কাপড়, চটের ব্যাগ ব্যবহারে আগ্রহী হতে আহ্বান জানান।
সুমনা বিল্লাহ বলেন, পলিথিন কোনোভাবেই ড্রেন বা জলাশয়ে ফেলা যাবে না। অনেকে রান্নার সময় চুলায় পলিথিন পোড়ান। কিন্তু এর বিষাক্ত গন্ধেই বলে দেয় এটা ক্ষতিকর।
শুভসংঘের জেলা সভাপতি হুমায়ুন আহমদ বিপ্লব বলেন, বসুন্ধরা শুভ সংঘের কর্মীরা সারাদেশে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে।
আলোচনা শেষে শুভসংঘ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় চত্বর থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী কুড়িয়ে এনে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পুড়িয়ে ফেলেন। শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সহায়তায় সমগ্র অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন অয়ন সুলতান, মাহফুজ রহমান মুনসহ অন্যরা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা