বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য সাহিত্য আসর। তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করতে ও সাহিত্যচর্চাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে এই আয়োজন করা হয় বলে জানান বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নাটোরের ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরিতে সাহিত্য আসরটি অনুষ্ঠিত হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তরুণদের সঙ্গে নিয়ে দেশজুড়ে নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি সংগঠনটি সংস্কৃতি ও সাহিত্য রক্ষায় নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। বর্তমান সময়ে তরুণরা মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়ছে, ফলে বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এ বাস্তবতায় নাটোর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তরুণ, শিশু ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় সাহিত্য আসর, যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সৈকতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুষ্ময় দাসের পরিচালনায় আসরে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক অধ্যাপক সুবীধ কুমার মৈত্র অলক, দীঘাপতিয়া এম কে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতিকর্মী সাজ্জিদ হোসেন ঝর্ণা, মো. আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ভিক্টোরিয়া লাইব্রেরি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার সদস্যবৃন্দ, বর্ষা খাতুন, আসলাম, শিশির কুমার দাস, সোহানুর হোসেন, আরিফ, চাঁদ, আলামিন, আসিফ মাহমুদ, জাহিদ হোসেন ও মো. আরিফুর ইসলাম প্রমুখ।
আলোচকবৃন্দ তাদের বক্তব্যে নিয়মিত বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, সাহিত্য মনন গঠন করে, প্রজন্মকে আলোকিত করে এবং সমাজকে সুস্থ ধারার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে তারা বসুন্ধরা শুভসংঘকে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত বলেন, সাহিত্য আসরের মতো আয়োজন আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুষ্ময় দাস ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, তরুণদের সমন্বিত উদ্যোগেই আমরা আমাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখব। সাহিত্যভিত্তিক এমন কার্যক্রম আমরা নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে চাই।
অনুষ্ঠান শেষে সাহিত্য বিষয়ক মুক্ত আলোচনা এবং শিশু-কিশোরদের তাৎক্ষণিক কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে আসরের সমাপ্তি ঘটে। সাহিত্যপ্রেমী তরুণরা মনে করছেন, এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত হলে নতুন প্রজন্ম আবারও বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সমাজ গড়ে উঠবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ