জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ শিক্ষায় দ্বৈত ভর্তিতে বিপাকে পড়েছেন খুলনার কয়েক হাজার স্নাতক শিক্ষার্থী। রেজিস্ট্রেশন কার্ড ইস্যু না হওয়ায় বর্তমানে তারা ১ম বর্ষের পরীক্ষায় ফরম পূরণ করতে পারছেন না।
জানা যায়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এসব শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে দ্বৈত ভর্তির নীতিমালার সুযোগে উচ্চশিক্ষা নিতে তারা পুনরায় স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভর্তি হয়।
কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩ মে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দ্বৈত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের জরিমানা ও ভর্তি বাতিল বাবদ ১০ হাজার ৭০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, জরিমানা-ফি'র পাশাপাশি আলাদা ফরম পূরণ ফি রয়েছে। হঠাৎ করে এত টাকা জোগাড় করতে না পেরে তাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই জরিমানা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন খুলনার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় একই দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ত্রপা বিশ্বাস জানান, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে আমি বিএল কলেজে স্নাতক ১ম বর্ষে মার্কেটিংয়ে ও পরে উচ্চশিক্ষা নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে সুন্দরবন কলেজে মনোবিজ্ঞানে ভর্তি হই। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কার্ড না পেয়ে আমার মতো অনেকে শংকিত হয়ে পড়েছে। জরিমানার এত টাকাও বাড়ি থেকে দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
সরকারি সুন্দরবন আদর্শ কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহকারি অধ্যাপক প্রকাশ চন্দ্র অধিকারী জানান, দ্বিতীয়বার ভর্তিতে এসব শিক্ষার্থীরা শুধু নম্বরপত্র দিয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় ওই সময় তাদের পূর্বের ভর্তি বাতিল করা হয়নি। এখন জরিমানার টাকা দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে যারা রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, নীতিমালায় তাদের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ইস্যুর সুযোগ নেই।
তবে জরিমানা ও ভর্তি বাতিল ফি কমানোর শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করা হতে পারে বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা